সংক্ষিপ্ত

৮০০বছরের রীতি মেনে পুজোর আগেই শুরু হয়েছে ২৭ দিনের দুর্গাপুজো মুর্শিদাবাদের ঘোষ বাড়িতে। শুরুটা হয়েছিল সুদূর উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা নগরী থেকে, পরে সেখান থেকে ঘোষ বাড়ির এই পুজোর শুরু হয় তৎকালীন কয়েকশো বছর আগের জেলার ভরতপুরে আসা পরিবারের কোনও এক সদস্যের হাত ধরে। 

৮০০বছরের রীতি মেনে (800 years old tradition ) পুজোর আগেই শুরু হয়েছে ২৭ দিনের দুর্গাপুজো (Durga Pujo 2021) মুর্শিদাবাদের ঘোষ বাড়িতে (Murshidabad Zamindar House)। শুরুটা হয়েছিল সুদূর উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা নগরী থেকে। পরে সেখান থেকে ঘোষ বাড়ির এই পুজোর শুরু হয় ভরতপুরে আসা পরিবারের এক সদস্যের হাত ধরে। কথিত আছে কয়েকশো বছর আগে স্বপ্নাদেশ পান ওই সানন্দ ঘোষ (Sananda Ghosh)।

আরও পড়ুন, Durga Puja 2021: সর্বমঙ্গলা মায়ের ঘট আনার মাধ্যমেই শারদ উৎসবের সূচনা বর্ধমানে
বৈচিত্রের কোন খামতি নেই বলেই এমন দুর্গাপুজোর কথা শুনে তার টানে হাজার হাজার মানুষ এখানে ছুটে আসেন। আর আসবে নাইবা কেন। চারিদিকে যখন মাত্র চার দিনের পরেই দশমীর মধ্য দিয়ে দুর্গাপুজোর সমাপ্তি ঘটে। তখন সকলকে চমকে দিয়ে মুর্শিদাবাদের পার রসড়া গ্রামের ঘোষ বাড়িতে দুর্গাপূজা হয় পাক্কা ২৭ দিন ধরে। যা ইতিমধ্যেই চণ্ডীপাঠ এর মধ্যে দিয়ে শুরু করে ফেলেছেন ঘোষ পরিবার।এমন রীতি চলে আসছে কয়েকশো বছর ধরে বলেই  জানান বাড়ির বর্তমান প্রজন্মের কর্তারা। আর পুজোর বয়স শুনেও কপালে চোখ উঠতে বাধ্য। মেরে কেটে প্রায় সাড়ে ৮০০-৮৫০ বছরের পুরাতন এই পূজা। শুরুটা হয়েছিল সুদূর উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা নগরী থেকে। পরে সেখান থেকে ঘোষ বাড়ির এই পুজোর শুরু হয় তৎকালীন কয়েকশো বছর আগের জেলার ভরতপুরে আসা পরিবারের কোনো এক সদস্যের হাত ধরে।পরে তার দুই সন্তান সানন্দ ঘোষ ও সীমন্ত ঘোষ  এলাকায় শুরু করেন এই পুজো। জমিদার পরিবারের এই দুই সন্তান এলাকার সেই সময়ে বহু জমিজমার মালিক হয়ে ওঠেন। সেই সূত্রেই তারা স্থানীয় নিজেদের রসড়ার বাড়িতে চতুর্ভূজা দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। কথিত আছে কয়েকশো বছর আগে স্বপ্নাদেশ পান ওই সানন্দ ঘোষ। সেইমতো পুজোর রীতিনীতি  আর আচার মেনেই ২৭ দিন ধরে চলা পুজোর প্রথাও চালু হয় সেই স্বপ্নাদেশ মেনেই। এমনকি পূজোর শুরুর দিকে পশুবলি চালু থাকলেও তাও পরবর্তীতে ওই স্বপ্না দেশেই বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে পরিবারের বর্তমান সদস্যরা জানান।

"

আরও পড়ুন, Durga Puja: কুলিক নদীতে ভাসে না বাংলাদেশের বজরা, আজও সাড়ম্বরে চলে রায়গঞ্জের দুর্গা পুজো

এই ব্যাপারে ঘোষ পরিবারের বর্তমান সদস্য  প্রৌঢ়া স্নিগ্ধ ঘোষ বলেন,"সে বহুকাল আগের কথা আমরা আমাদের বাপ ঠাকুরদার কাছ থেকে শুনেছি ১০০ বছরেও আগে স্বপ্ন দিয়েই এই চন্ডী পাঠের মাধ্যমে ২৭ দিনের দুর্গাপুজোর চালু হয় কান্দির এই বাড়ীতে। আর তারপর থেকে সেই নিয়ম মেনেই আজও বহাল তবিয়তে চলছে এই পুজো"। এক চালাতেই দেবীর শান্ত স্নিগ্ধ রূপ এখানে ফুটে ওঠে। ঘোষ বাড়ির পুজোর বয়স থেকে শুরু করে রীতিনীতি সবই একেবারে বৈচিত্র্যময় বলেই জানান পাড়ার প্রতিবেশীরাও। এ ব্যাপারে নিতাই মন্ডল রাজু দাস বলেন, এ ব্যাপারে নিতাই মন্ডল রাজু দাস বলেন"চারিদিকে সবাই যখন দুর্গাপুজোর চারদিনের আনন্দেই কেবলমাত্র মেতে থাকে আমরা সেখানে ২৭ দিন ধরে আনন্দ-উৎসবে মেতে থাকি"।

আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

YouTube video player