সংক্ষিপ্ত

  • গোটা দেশে উঠেছে মোদী সুনামি
  • গতবারের থেকেও বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরছেন নরেন্দ্র মোদী
  • এবারের মন্ত্রিসভায় হতে পারে বেশ কিছু রদবদল
  • স্বষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্ব নিতে পারেন অমিত শাহ

 

বিজেপি কর্মী সমর্থকরা বলছেন, গতবার যদি মোদী ঝড় বয়ে থাকে এইবার গোটা দেশে উঠেছে মোদী সুনামি। গত লোকসভা নির্বাচনের থেকেও বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরছেন নরেন্দ্র মোদী। তবে মোদী মন্ত্রিসভা ২.০ -তে বিদায়ী মন্ত্রিসভার অনেকগুলি মুখই বদলে যেতে পারে। দিল্লির অশোক রোডের বিজেপির সদর দফতরে কান পাতলে এমনই কথা শোনা যাচ্ছে। বেশ কয়েকজন পরিচিত মুখ সরে যেতে পারেন। আসতে পারেন কিছু নতুন মুখ। আবার পদোন্নতি ঘটতে পারে বেশ কয়েকজনের।

গত পাঁচ বছরে নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভায় দারুণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। নোট বাতিল থেকে জিএসটি - নরেন্দ্র মোদী সরকারের বেশ কিছু সংস্কারমুখী পদক্ষেপের নেপথ্যের মস্তিষ্ক ছিলেন জেটলি। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতা মাঝে মাঝেই তাঁকে সমস্যায় ফেলেছে। দীর্ঘদিন মন্ত্রকে যেতেও পারেননি। এইবার তিনি নিজেকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে নিতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।

জেটলি অর্থমন্ত্রক থেকে সরে গেলে, সেই দায়িত্ব পড়তে পারে, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের কাঁধে। এর আগে জেটলি অসুস্থ থাকায় অন্তর্বর্তীকালীন অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি ভালোই কাজ করেছিলেন বলে মনে করে বিজেপি নেতৃত্ব। এবার পূর্ণ দায়িত্ব পেতে পারেন পীযূষ।
 
শারীরিক অসুস্থতার কারণেই মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতি নিতে পারেন আরেক প্রবীন বিজেপি নেতা ও অন্যতম সফল বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তিনি ক্যাবিনেটে না যোগ দিলে, তাঁর স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন বর্তমান কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।  

তবে এইবার মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে বড় চমক হতে পারে বিজেপির সরভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এইবার তিনি মোদী মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব নিতে পারেন বলে খবর রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং সরে যাবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে।

কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এইবার কংগ্রেসের ঘাঁটি আমেঠি লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে পরাজিত করেছেন। এই দারুণ জয়ের পুরস্কার হিসেবে কোনও বড় মন্ত্রক তিনি পেতে পারেন বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। পাটনা সাহিব কেন্দ্রে শত্রুঘ্ন সিনহাকে পরাজিত করার জন্য পদোন্নতি ঘটতে পারে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদেরও। জাহাজ, বন্দর, নদী, সড়ক পরিবহন-সহ বেশ কয়েকটি দফতরের দায়িত্বে আছেন নীতিন গড়কড়ি। প্রতি দফতরের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখতে তিনি দারুণ কাজ করেছেন বলে মনে করছে নেতৃত্ব। কাজেই, তাঁকে সম্ভবত ওই দায়িত্বেই রেখে দেওয়া হবে।

সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি এইবার পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা পেতে পারেন। ধর্মেন্দ্র প্রধান, প্রকাশ জাভড়েকর, জগৎ প্রকাশ নাড্ডা-র মতো নেতারাও টিম মোদী --তে বড় জায়গা  পেতে  পারেন।