সংক্ষিপ্ত
- রাজনৈতিক মহল মনে করে বিজেপির ভোট মূলত উত্তর কলকাতা কেন্দ্রিক।
- দক্ষিণ কলকাতায় মালা রায় অনেকটা এগিয়ে আছেন।
- লড়াই দেবেন নন্দিনীদেবীও।
দলের অস্তিত্ব আর যাই হোক, সিট দখলের মতো নয়। দক্ষিণ কলকাতায় কংগ্রেস সম্পর্কে এইটাই মত এলাকাবাসীর। কিন্তু তিনি জিতে গেছেন।
হ্যাঁ, আর্থিক ক্ষমতার বিচারে বাকিদের দশ গোল দেবেন কংগ্রেসের এই প্রার্থী। মনোনয়ন পেশের সময়ে দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মিতা চক্রবর্তী জানিয়েছেন ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে মিতাদেবীর রোজগার ছিল ৪৭ লক্ষ ১৭ হাজার ৩০২ টাকা। ওই বছর তাঁর স্বামীর রোজগার ছিল ৫৩ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা। মিতা দেবীর নিজের কাছে সোনা আছে এক কেজির বেশি। এখনও পর্যন্ত গাড়ি নেই তাঁর। তাঁর অস্থাবর সম্পতির মোট পরিমাণ ৮ কোটি ৯১ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা, আর স্থাবর সম্পত্তি ১৮ কোটি ৬০ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা।
আর্থিক ভাবে কয়েক গুণ পিছিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে তাঁর আর্থিক রোজগার ছিল ৩ লক্ষ ৬ হাজার ৪দদ টাকা। মালাদেবীর স্থাবর সম্পত্তি তাঁর ফ্ল্যাট, যেটি স্বামী নির্বেদ রায়ের সঙ্গে কেনা।
অন্য দিকে সিপিএম প্রার্থী নন্দিনী মুখোপাধ্যায় গত ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে আয় করেছেন ১২ লক্ষ ৫৫ হাজার ৫৩০ টাকা। তাঁর হাতে থাকা অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ৩১ লক্ষ ৩১ হাজার টাকার, যার মধ্যে রয়েছে একটি ছোট গাড়ি। তাঁর বসতবাড়ির বাজারদর ৫৩ লক্ষ টাকা, জানিয়েছেন অধ্যাপিকা নন্দিনীদেবী।
বিজেপির প্রতিনিধি মালিক চন্দ্র বসুর বাৎসরিক রোজগার ১১ লক্ষ টকা। তাঁর কোনও গাড়ি নেই. নেই কোনও স্থাবর সম্পতিও।
১৯ মে শেষ দফায় দক্ষিণ কলকাতায় নির্বাচন। রাজনৈতিক মহল মনে করে বিজেপির ভোট মূলত উত্তর কলকাতা কেন্দ্রিক। দক্ষিণ কলকাতায় মালা রায় অনেকটা এগিয়ে আছেন। লড়াই দেবেন নন্দিনীদেবীও। সেই জন্যে ১৭মে মেট্রো চ্যানেল থেকে উত্তর কলকাতার সিমলা স্ট্রিট পর্যন্ত রোড শোও করবে বিজেপি, যার নেতৃত্ব দেবেন অমিত শাহ। তারপর ২৩ মে ফলের অপেক্ষা। ফল যাই হোক, আপাতত আর্থিক ক্ষমতার বিচারে জিতেই গিয়েছেন এই কংগ্রেস প্রার্থী।