সংক্ষিপ্ত
- কাঠফাটা রোদ আর খারাপ ইভিএম, এই জোড়া বিপদকে মাথায় নিয়ে শেষ দফার ভোটে লাইনে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষ।
- দু' এক পশলা বৃষ্টি আসলে হয়তো জ্বালাটা জুড়তো
রাজ্যে চলছে শেষ দফার ভোটগ্রহণ। মোট তিনটি জেলার নয়টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। রোদ আর খারাপ ইভিএম এই জোড়া বিপদকে মাথায় নিয়ে শেষ দফার ভোটে লাইনে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষ। দু' এক পশলা বৃষ্টি আসলে হয়তো জ্বালাটা জুড়তো কিন্তু বিধিবাম। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিল বৃষ্টির কোন সম্ভাবনাই নেই এই দিন। বরং শেষ দফায় যথেষ্ট ভোগান্তির মধ্যে দিয়েই যেতে হবে সাধারণ মানুষকে।
আবহবিদরা জানাচ্ছেন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে গরম পশ্চিমী হওয়া ঢুকছে তাই এই গরমের কষ্ট বজায় থাকবে ।ন বিশেষ করে পশ্চিমের জেলা দুই বর্ধমান,পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম,মুর্শিদাবাদ,বীরভূম,বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে গরমের প্রকোপ থাকবে বেশি। দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া,হুগলিতেও য খুব অস্বস্তিকর অবস্থা থাকবে। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৭ ডিগ্রি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৮ ডিগ্রি। পুরুলিয়ায় চলবে তাপপ্রবাহ।
সব থেকে খারাপ খবর হল বৃষ্টির এখন কোনও সম্ভাবনাই নেই।
প্রসঙ্গত আন্দামান নিকোবারে বর্ষা ঢুকে গিয়েছে। আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে পোর্টেব্লেয়ারে ঢুকবে। তবে পশ্চিমবঙ্গে এবার বর্ষা ঢুকতে স্বাভাবিকের থেকে দিন তিনেক দেরি হবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
হাওয়া অফিসের মতে, গত লোকসভা ভোটে (২০১৪ সাল) ১৪ মে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.৩ ডিগ্রি। এবার তার থেকে কম উষ্ণতা। কিন্ত বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অস্বাভিক বেশি হওয়ার অস্বস্তি, প্যাচপ্যাচে ঘাম বেড়েছে বই কমেনি। এদিনও বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ প্রায় ৬৮ শতাংশ।
চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন সারাদিন শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক রাখতে। প্রয়োজনে নুন চিনির জল, ওআরএস খেতে।