সংক্ষিপ্ত

বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় ছেয়ে গিয়েছে ঋত্বিকের ফেসবুক। অভিনেতা আদতে কী বলতে চেয়েছিলেন? জানতে এশিয়ানেট নিউজ বাংলা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল ঋত্বিকের সঙ্গে।

ফেসবুকে ঋত্বিক চক্রবর্তীর সাদামাঠা প্রশ্ন, ‘অনেককেই দেখি নানা কারণে ফেসবুকে প্রার্থনা করেন। কিন্তু যাঁর কাছে প্রার্থনা করা হয় তিনি ফেসবুক করেন তো?’ বুধবার সকালের খবর, ভাল নেই ঐন্দ্রিলা শর্মা। তার পরেই অভিনেতার এই পোস্ট বিতর্কের ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যথারীতি দ্বিধাবিভক্ত নেট ব্যবহারকারীরা। বিদীপ্তা চক্রবর্তী, ঊষসী চক্রবর্তী, পৌলমী দাস-সহ বহু জনের দাবি, সঠিক প্রশ্ন তুলেছেন ঋত্বিক। বাকিরা অভিনেতাকে বাক্যবাণে বিদ্ধ করেছেন। কেউ বলেছেন, এই মুহূর্তে ২২ বছরের একটি মেয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুয়ে লড়ছে। এখন েই ধরনের প্রশ্ন করা বা তোলা কতটা মানবিকতা? অধিকাংশ সমর্থন জানিয়েছেন প্রার্থনাকারীদের এবং সব্যসাচী চৌধুরীকে। কেউ কেউ ঋত্বিককে সরাসরি তোপ দেগেছেন, ‘আপনিও কি সস্তায় জনপ্রিয় হওয়ার পথে পা বাড়াচ্ছেন?’

সোমবার সব্যসাচী চৌধুরী ফেসবুকে সবাইকে অনুরোধ জানান, সবার প্রার্থনাই ঐন্দ্রিলাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারে। এক মাত্র অলৌকিক ঘটনা বা দৈব শক্তি ছাড়া ঐন্দ্রিলাকে বাঁচানো বোধহয় অসম্ভব। তার পরেই ফেসবুকে প্রার্থনা, শুভ কামনার ঢল। সাধারণ, অ-সাধারণ সবাই পোস্ট করতে থাকেন। ভরসা দেন সব্যসাচীকে। পাশে থাকার আশ্বাস দেন ঐন্দ্রিলাকে। তার মধ্যে এ হেন পোস্ট স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। ফলে, বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় ছেয়ে গিয়েছে ঋত্বিকের ফেসবুক। অভিনেতা আদতে কী বলতে চেয়েছিলেন? জানতে এশিয়ানেট নিউজ বাংলা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল ঋত্বিকের সঙ্গে। তাঁর ফোন বেজে গিয়েছে। তবে পোস্টটি পড়ে টলিউডের একাধিক বিশিষ্টদের মত, সম্ভবত প্রার্থনা নিয়ে ঋত্বিকের কোনও বক্তব্য নেই। হয়তো তাঁর বক্তব্য প্রার্থনার ধরণ নিয়ে। তিনি মনে মনে প্রার্থনাতেই বিশ্বাসী। সে কথা বলতে চেয়ে খানিক রসিকতার ছলেই ঈশ্বর ফেসবুক করেন কিনা জানতে চেয়েছেন।

 

 

ঋত্বিকের এই প্রশ্নের জবাব এক এক জন এক এক রকম করে দিয়েছেন। যেমন বিদীপ্তার কাছে, ‘আমার কাছে প্রার্থনার সমার্থক মন থেকে চাওয়া। বেশি বেশি করে মন থেকে চাওয়া।’ কারওর মতে, ‘যার জন্য প্রার্থনা করা তিনি ফেসবুকে থাকুক বা না থাকুক তার আশপাশের কিছু মানুষ অবশ্যই থাকে। এবং একটা mass prayer তাদের মনে জোর বাড়ায়।’ তার পরেই জনৈকের কটাক্ষ, ‘তবে আপনার এই পোস্ট অনেক রিচ পেয়েছে। ওটা বোধহয় আপনার দরকার ছিল না।’ কারওর দাবি, ‘প্রার্থনা, এবং ইতিবাচক প্রার্থনা সব সময় শুধু কাউকে উদ্দেশ্য করে তো হয় না গো.. মনের ইচ্ছেটাও তো প্রার্থনার অঙ্গ।’ কারওর যুক্তি, ‘অনেক কিছুই হয়তো যুক্তিহীন। তবু যুক্তির বাইরেও কিছু আছে। সেই বিশ্বাসেই হয়তো করে থাকি আমরা। আর সম্মিলিত প্রার্থনা ও শুভেচ্ছার একটা ভাল দিক নিশ্চয়ই আছে। ডকুমেন্ট রেখে পৃথিবীকে জানিয়ে প্রার্থনা করা cheesy মনে হতেই পারে। তবে এক একজন মানুষের আবেগের প্রকাশ এক এক রকম। তাই একজন প্রকাশ করেন না। তার আবেগ নিষ্কলুষ। আর একজন দেখিয়ে ফেলেন, তাই তার আবেগ সস্তা হয়ে যায় হয়ত অনেকের কাছে।’

আরও পড়ুন:

কখনও ভাল কখনও মন্দ ঐন্দ্রিলা, পরপর হৃদরোগের ধাক্কা কিছুটা সামলেছেন অভিনেত্রী?

‘সিরিজে সব্যসাচীও ছিলেন, ঐন্দ্রিলা কিন্তু আমার সঙ্গে প্রেমের দৃশ্যে সাবলীল’! স্মৃতি উজাড় নায়কের

পরপর হৃদরোগ! ঐন্দ্রিলার শরীরে এখনও ১ শতাংশ প্রাণের সাড়া রয়েছে, বলছেন চিকিৎসকের দল