সংক্ষিপ্ত

  • ১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যাকাণ্ডে সলমন খান বাদে বাকি অভিযুক্তরা মুক্তি দিয়েছিল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট।
  • রাজস্থান সরকারের আবেদনের নড়েচড়ে বসল রাজস্থান হাইকোর্টের যোধপুর বেঞ্চ। 

১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যাকাণ্ডে সলমন খান বাদে বাকি অভিযুক্তরা মুক্তি দিয়েছিল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। রাজস্থান সরকারের আবেদনের নড়েচড়ে বসল রাজস্থান হাইকোর্টের যোধপুর বেঞ্চ।  সাইফ আলি খান, সোনালি বেন্দ্রে নিলাম কোঠারি এবং তাব্বু-কে রাজস্থান হাইকোর্ট নতুন করে নোটিশ ধরানো হল। নোটিশ দেওয়া হয়েছে দুশ্যন্ত সিংহকেও। অভিযোগ তিনি ওই দিন ওই অভিনেতাদের সঙ্গে ছিলেন। 

এ বছরের ৫ মে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-এর তরফে ক্লিন চিট দেওয়া হয়েছিল অভিনেতাদের। এরপরই এই রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি হাইকোর্টে আবেদন জানায় রাজস্থান সরকারের প্রতিনিধিরা। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই  বিচারপতি জাস্টিস মনোজ গর্গের সিঙ্গেল বেঞ্চ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 গত ১১ মার্চ রাজস্থান সরকারের ৫ প্রতিনিধি হাইকোর্টে গিয়েছিল কৃষ্ণসার হরিণ মামলায় সব অভিনেতাদের নির্দোষ ঘোষণার রায়কে পুনর্বিবেচনার দাবি নিয়ে। প্রসঙ্গত কৃষ্ণসার হত্যা মামলায় ইতিমধ্যেই অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন সালমান খান। তাঁকে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের  ৫১ নম্বর ধারায় ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। আপাতত তিনি জামিনে রয়েছেন।

১৯৯৮ সালে 'হাম সাথ সাথ হ্যা' সিনেমাটির শ্যুটিং চলাকালে কৃষ্ণসার হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন সলমান খান এবং তাঁর সহ অভিনেতা সাইফ আলি খান, সোনালি বেন্দ্রে নীলম কোঠারি ও তাব্বু। উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে আদালত তাঁদের মুক্তি দিয়েছিল।এখন রাজস্থান হাইকোর্টের নতুন ঘোষণায় বিরাট চাঞ্চল্য সৃষ্টি হল বলিউডে। আপাতত আদালতের নির্দেশে আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া। এখন দেখার কোথাকার জল কোথায় গড়ায়।