সংক্ষিপ্ত

  • দু-বছরের জন্য নির্বাসনে হতে পারে লিওনেল মেসির।
  • কন্মেবল এরকমই সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
  • তৃতীয় স্থানের মেডেল নিতে অস্বীকার করেন মেসি। কোপা আমেরিকার আয়োজকের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দেন।

চিলি-র বিরুদ্ধে ম্যাচের পর আয়োজকদের নামে কটুক্তি করেছিলে মেসি। এর জেরে সাউথ আমেরিকান ফেডারেশান নিষেধাজ্ঞা নেমে আসতে পারে তাঁর উপর। চিলি-কে ২-১ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকায় তৃতীয় স্থান দখল করেছে আর্জেন্টিনা। তার পরেই লিওনেল মেসি এবারের কোপা আয়োজক ব্রাজিল এবং রেফারিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। এর ফলে দারুণ বিপদে পড়তে পারে আর্জেন্টিনা। 

খেলার পর তৃতীয় স্থানের মেডেল নিতে অস্বীকার করেন লিওনেল মেসি। তাঁর অভিযোগ, এবারের কোপা আমেরিকা ব্রাজিলকে জেতানোর জন্যই সাজানো। রেফারি এবং ভিএআর-এর প্রতিটি সিদ্ধান্তেই পেরুর পক্ষেই দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করেছেন ফুটবল মেগাস্টার। 

আর তাঁর এই প্রতিবাদই বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে নক আউট হয়ে যাওয়ার পরই তিনি খারাপ রেফারিং নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। সেই সময় বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও তৃতীয় স্থানের খেলার পর মেসি-র এই মন্তব্যে বেশ চটেছে কনমেবল। 

মেসির মন্তব্য একেবারই গ্রহণযোগ্য নয় বলে বিবৃতি দিয়েছে কনমেবল। আরও বলা হয়েছে মেসির মন্তব্যে এই প্রতিযোগিতা প্রতি তাঁর অশ্রদ্ধাই প্রকাশ পেয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলকে আরও বেশি স্বচ্ছ এবং পেশাদার করে তোলার জন্য তাঁরা প্রতি নিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় লিওনেল মেসির এই মন্তব্যকে তারা পুরোপুরি অযৌক্তিক বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

নিয়ম অনুসারে প্রতিযোগিতা চলাকালীন নিয়ামক সংস্থা কনমেবল-এর বিরুদ্ধে কথা বলা যায় না। মেসির ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয়। এই ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই বছরের নির্বাসনের খাঁড়া নেমে আসতে পারে। সেই ক্ষেত্রে কিন্তু চরম বিপাকে পড়তে পারে আর্জেন্টিনা। এমনিতেই বর্তমানে তাদের একমাত্র শিবরাত্রির সলতে মেসি। তিনি নির্বাসিত হলে, পরের বছর আর্জেন্টিনা-কলম্বিয়ায় আয়োজিত কোপা আমেরিকা ২০২০-তে খেলার সুযোগ হারাবেন। শুধু তাই নয়, কাতার বিশ্বকাপ ২০২২-এ মেসিকে ছাড়াই যেতে হবে আকাশী নীল-সাদা জার্সিধারীদের।