গুরু পূর্ণিমার দিনক্ষণ ও সময় , জেনে নিন বিশেষ এই তিথির তাৎপর্য
আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা গুরু পূর্ণিমা হিসাবে উদযাপিত হয়। এদিনে মহর্ষি বেদ ব্যাস জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ৫ জুলাই রবিবার গুরু পূর্ণিমার উত্সব। এই উৎসব গুরুর কাছে প্রার্থনা এবং গুরুর শুভেচ্ছার দিন! গুরু জ্ঞানের ফলে জীবনে যা কিছু সুখ, সমৃদ্ধি, জ্ঞান, বিচক্ষণতা, সহনশীলতা সবই গুরুর কৃপায় প্রাপ্তি। এই দিনে গুরু তত্ত্ব সম্পর্কে এই বিশেষ বিষয়গুলি জেনে রাখা প্রয়োজন। গুরু পূর্ণিমা গুরু তত্ত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত। গুরু মানে যা আমাদের অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে যায়। অর্থাৎ অজ্ঞতা থেকে জ্ঞান পর্যন্ত যে শিক্ষা আমাদের জ্ঞানবান করে তোলে।
| Published : Jul 04 2020, 11:46 AM IST / Updated: Jul 04 2020, 11:47 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
গুরু তত্ত্ব যে কোনও রূপেই আমাদের সামনে আসতে পারে। উদাহরণস্বরূপ আমরা যদি কোনও অচেনা শহরে ভ্রমণ করি, আর পথও অজানা, তবে আমরা মোবাইলে নেভিগেশনটি খুলে আমাদের ঠিকানায় পৌঁছোই।
গুরু পূর্ণিমার যোগ শুরু হবে ৪ জুলাই শনিবার ১১ টা বেজে ৩৩ মিনিটে এবং পূর্ণিমা শেষ হবে ৫ জুলাই রবিবার ১০ টা বেজে ১৩ মিনিটে।
এই নেভিগেশনটি সেই যুগে গুরুর ভূমিকা পালন করত যা একজন মানুষকে জীবনের সঠিক পথ চলার দিশা দেখাতো। তাই এই তিথি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই দিনে প্রতিটি মানুষের উচিত তাঁদের গুরুর প্রতি সম্মান প্রদান করা।
গুরু পূর্ণিমার দিন কী করবেন
গুরু পূর্ণিমার দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সবার প্রথমে পিতামাতার আশীর্বাদ গ্রহণ করা উচিত। কারণ প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রথম গুরু পিতা-মাতা। পিতা-মাতার আশীর্বাদগুলি আমাদের জীবনে ঈশ্বরের আশীর্বাদের সমতুল্য।
গুরু, শিক্ষক এবং যার কাছ থেকে আপনি যে কোনও কাজের জন্য জ্ঞান পেয়েছেন, আপনাকে অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে এবং উপহার দিতে হবে।
একজন দুঃস্থ ব্যক্তিকে অবশ্যই সাধ্য মত দান করুন। যার পরনের জন্য শরীরে কাপড় নেই তাকে বস্ত্র দানও করতে পারেন।
'গুরু ব্রক্ষ্মা, গুরু বিষ্ণু, গুরুহি পরমং তপঃ'- এদিনে আপনার গুরুকে সম্মাণ করুন, সম্ভব হলে এদিনে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করুন, প্রার্থণা করুন।
রামচরিতমানস, শ্রীমদ্ভাগবদ গীতা বা বাড়ির যে কোনও ধর্মীয় গ্রন্থ, তা পুজোর জায়গায় রাখুন এবং তাতে ফুল দিন এবং লাল কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে দিন।
গুরুর আশীর্বাদ নেওয়া খুব দরকার, জীবনে করা ভুলগুলির জন্য ক্ষমা চেয়ে তাঁদের আশীর্বাদ নেওয়া উচিত।