আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী, জেনে নিন এই তিথির গুরুত্ব
আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী ১৬ এবং ১৭ জুন, দুই দিন থাকবে। একে যোগিনী একাদশী বলা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রের মতে, ১৬ জুন বুধবার একাদশীর উপবাস করা অত্যন্ত শুভ। এই একাদশীতে ভগবান বিষ্ণুর জন্য উপবাস করা উচিত। এ ছাড়াও নিজ অধিপতি দেবতার বিশেষ উপাসনা করা উচিত। এই তিথি পালনের ফলে জীবনের যাবতীয় বাধা বিপত্তি দূর হয়। শেষ হয় পারিবারিক সমস্যা ও কলহ। উন্নতি হয় পরিবারের স্বাস্থ্যের। এই তিথিতে গঙ্গাস্নানের রীতি আছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সময় গঙ্গাস্নান না করাই শ্রেয়।
- FB
- TW
- Linkdin
বাড়িতেই এই তিথি পালন করে লাভ করুন ১০ বছরের পূণ্য লাভ হবে একবারে। এই একাদশীতে ভগবান বিষ্ণুর পাশাপাশি মহাদেবী লক্ষ্মীরও পুজো করতে পারেন।
এই পুজোয়, দক্ষিণমুখী শঙ্খগুলিতে জাফরান মিশ্রিত দুধ রাখুন এবং সেই দিয়েই আরাধ্যা ঈশ্বরের অভিষেক করুন। এই অভিষেক গোপালও খুব পছন্দ করেন।
বাড়িতে গোপাল থাকলে এদিনে গোপালকেও মাখন ও মিশ্রি দিয়ে পুজো দিতে পারেন।
বিশেষ এই একাদশী তিথিতে শিব লিঙ্গ তামার পাত্র দিয়ে জল অর্পণ করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
সেই সঙ্গে শিব লিঙ্গে জল ঢালার সময় ওম নম: শিবায় মন্ত্র জপ করুন। এই মন্ত্র কমপক্ষে ১০৮ বার উচ্চারণ করা প্রয়োজন।
পাশাপাশি শিবলিঙ্গে বিল্বপত্র এবং ধুতরা ফুল অর্পণ করুন। প্রদীপ এবং কর্পূর জ্বালিয়ে আরতি করুন।
এই একাদশীর তিথিতে বজরঙ্গবলীর সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে হনুমান চালিশা পাঠ করুন।
পুজোর পরে দুঃস্থদের অর্থ ও খাদ্যশস্য দান করা উচিত। এই তিথিতে সকাল বেলায় স্নান সেরে তুলসী গাছে জল অর্পণ করুন।
পাশাপাশি সূর্যাস্তের সময় তুলসীর গাছে প্রদীপ জ্বালান এবং তুলসী মঞ্চ তিন বা পাঁচ বার প্রদক্ষিণ করুন।