- Home
- Astrology
- Horoscope
- নতুনের সূচনা হয় গুড়ি পাদওয়া উৎসবে মধ্য দিয়ে, রইল এই উৎসবে প্রসঙ্গে ১০টি অজানা কাহিনি
নতুনের সূচনা হয় গুড়ি পাদওয়া উৎসবে মধ্য দিয়ে, রইল এই উৎসবে প্রসঙ্গে ১০টি অজানা কাহিনি
শনিবার ২ এপ্রিল পালিত হবে গুড়ি পাদওয়া। ১ এপ্রিল দুপুর ২টো ৫৭ মিনিট থেকে শুরু হবে শুভ সময়। ২ এপ্রিল বিকেল ৫টা ২৬ মিনিট পর্যন্ত থাকবে শুভ সময়। গুড়ি পারওয়া, কোঙ্কনি ভাষায় গুড়ি পদোভা এবং সানভসার পদো নামেও পরিচিত। গুড়ি পাদওয়া উৎসব মূলত কোঙ্কনি এবং মারাঠি হিন্দুদের নববর্ষ হিসেবে খ্যাত। এই দিন নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়। গুড়ি পাদওয়া উৎসবকে ঘিরে রয়েছে একাধিক কাহিনি। কারও মতে এদিন ভগবান রাম সীতা ও লক্ষ্মণের সঙ্গে অযোধ্যায় ফিরেছিল। কারও মনে এই দিন ন্যায় ও সত্যের যুগ শুরু হয়। আজ জেনে নিন গুড়ি পাদওয়া সম্পর্কে ১০টি অজানা কথা।
- FB
- TW
- Linkdin
গুড়ি পাদওয়া উৎসব মারাঠি লোকেদের কাছে নতুন বছরের সূচনার উৎসব। এই দিন নবর্ষকে স্বাগত জানান তারা। বিভিন্ন জায়গায় কাটা হয় নতুন ফসল। নতুন ফসলের পুজোও করা হয় এই দিন। দিনটি মারাঠি সম্প্রদায়ের কাছে খুবই উল্লেখযোগ্য। এই দিনটি তারা নতুন সূচনা হিসেবে মনে করে থাকেন। শুরু হয় মারাঠিদের নতুন বছর।
গুড়ি পাদওয়ার দিন, লোকেরা তাদের ঘর-বাড়ি পরিষ্কার করে থাকেন। তারপর রঙ্গোলি তৈরির রীতি আছে। এই দিন আমের পাতা দিয়ে মালা তৈরি করা হয়। তা লাগানো হয় প্রবেশদ্বারের ঠিক ওপরে। মহিলারা বাড়ির ভিতর ও বাইরে সাজিয়ে থাকেন। ঘটের ওপর নারকেল রাখা হয়। এটি বাড়ির প্রবেশ দ্বারের সামনে রাখেন সকলে।
গুড়ি পাদওয়া উৎসবের বিশেষ রীতি হল পুরান পোলি। এই দিন পুরান পোলি তৈরি করে থাকেন সকলে। মহিলারাগুড়ি পাদওয়া উৎসব উপলক্ষে থালি প্রস্তুত করেন। যেখানে মিষ্টি রুটি, গুড়, নিম, নুন তেঁতুল থাকে। এতেই বলে পুরান পোলি। গুড়ি পাদওয়া দিন পুরান পোলি তৈরির রীতি বহুদিনের।
বিশ্বাস করা হয় অশুভ আত্মা দূর হয় এই উৎসবে। সুখ ও সমৃদ্ধি দেখা দেয় সংসারে। মারাঠিদের নতুন বছর শুরু হয় গুড়ি পাদওয়া উৎসবে। এই দিনটি সুখ নিয়ে আসে তাদের পরিবারে এমনই ধারনা প্রচলিত। সে কারণে, বছররে এই দিন নতুন পোশাকে, নতুন সাজে সেজে ওঠেন সকলে।
পৌরাণির কাহিনি অনুসারে, রাবণকে পরাজিত করে এই দিন ভগবান রাম অযোধ্যায় এসেছিলেন। হিন্দু ধর্মে, রাবণে পরাস্ত করার কাহিনি বর্ণিত আছে। সীতাকে কীভাবে রাম অপহরণ করেছিলেন, তা সকলেরই জানা। সেই দস্যু রাবণকে পরাস্ত করেন ভগবান রাম। কথিত আছে, রাবণকে পরাস্ত করার পর গুড়ি পাদওয়া উৎসবের শুভ সময় অযোধ্যা ফিরেছিলেন রাবণ।
হিন্দু পুরান অনুসারে, আদি দেবতাদের মধ্যে রয়েছেন ভগবান ব্রক্ষ্মা। মনে করা হয়, তিনি বিশ্বের স্রষ্ঠা কর্ত। তার কৃপাতেই তৈরি হয়েছিল এই বিশ্ব। বিক্রম সংবত অনুসারে এই দিন ব্রক্ষ্মা বিশ্ব ব্রক্ষ্মান্ড তৈরি করেছিলেন। সৃষ্টি হয়েছিল গ্রহ নক্ষত্রের। সেই ধারণা বসে, গুড়ি পাদওয়া উৎসবে নতুনে সূচনা মনে করা হয়।
গুড়ি পাদওয়া উৎসব পালন প্রসঙ্গে রয়েছে আরও এক ধারণা। বীর মারাঠা ছত্রপতি শিবাজির কথা সকলেরই জানা। কথিক আছে, তিনি তৈরি করেছিলেন মারাঠা সাম্রাজ্য। প্রচলিত ধারণা অনুসারে, বীর মারাঠা ছত্রপতি মারাঠা জয়ের পর প্রথমবার গুড়ি পাদওয়া পালন করেন। সেই থেকে প্রতি বছর পালিত হচ্ছে এই উৎসব।
গুড়ি পাদওয়া উৎসবের সঙ্গে নিমপাতা বিশেষ ভাবে জড়িত। এই উৎসব বসন্তকালে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রচলিত আছে, গুড়ি পাদওয়া উৎসব নিম পাতা ও তেঁতো খাওয়া দিয়ে শুরু হয়। এই খাবার খেলে রক্ত পরিশুদ্ধ হয়। কঠিত আছে, গুড়ি পাদওয়ার দিন রক্ত পরিশুদ্ধ করা এবং শরীর শক্তিশালী করার জন্য পালিত হয় এই উৎসব।
বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন নামে পালিত হয়। মণিপুরে পালিত হয়। উগাদি, থেট চাঁদ নামে খ্যাত। শাস্ত্রে, গুড়ি পাদওয়া উৎসবে ভূমিকা বিস্তর। প্রতিবছর চৈত্র মাসে পালিত হয় গুড়ি পাদওয়া। এবছর শনিবার ২ এপ্রিল পালিত হবে গুড়ি পাদওয়া। ১ এপ্রিল দুপুর ২টো ৫৭ মিনিট থেকে শুরু হবে শুভ সময়। ২ এপ্রিল বিকেল ৫টা ২৬ মিনিট পর্যন্ত থাকবে শুভ সময়।
সোনা, গাড়ি ও বাড়ি কেনা শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিনটি নতুন বছরের সূচনা করে। দিনটির রয়েছে বিস্তর গুরুত্ব। প্রচলিত আছে, এই দিন সোনা, গাড়ি ও বাড়ি কিনলে মা লক্ষ্মীর কৃপা পাবেন। এতে সংসারে সুখ সমৃদ্ধি ঘটবে। আর্থিক বৃদ্ধি হবে।