- Home
- Astrology
- Horoscope
- ইতিহাসের পাতায় অক্ষয় তৃতীয়াকে ঘিরে রয়েছে একাধিক অজানা কাহিনি, দেখে নিন এক ঝলকে
ইতিহাসের পাতায় অক্ষয় তৃতীয়াকে ঘিরে রয়েছে একাধিক অজানা কাহিনি, দেখে নিন এক ঝলকে
কথায় আছে হিন্দুদের বারো মাসে তেরো পার্বন। আর এই পার্বনের মধ্যে একটি হল অক্ষয় তৃতীয়া। শাস্ত্র মতে, আর দিন পরই পালিত হবে অক্ষয় তৃতীয়া। শাস্ত্র মতে, অক্ষয় শব্দের অর্থ হয় যার কোনও ক্ষয় নেই। তাই এই দিন কোনও কাজ শুরু করলে তা চিরস্থায়ী হয় বলে মনে করা হয়। এই তিথিতে লক্ষ্মী ও গণেশের পুজো হয়। দোকানে দোকানে হাল খাতা খোলার রীতি আছে। শাস্ত্র মতে, শুভ প্রদানকারী একটি তিথি হল অক্ষয় তৃতীয়া। আগামী ৩ মে এবছর পালিত হবে অক্ষয় তৃতীয়া। ৩ মে সকাল ৫টা বেজে ১৯ মিনিটে তিথি শুরু হচ্ছে। তা চলবে ৪ মে সকাল ৭টা বেজে ৩৩ মিনিট পর্যন্ত। আজ অক্ষয় তৃতীয়া প্রসঙ্গে জেনে নিন কয়টি অজানা কাহিনি।
- FB
- TW
- Linkdin
বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে অক্ষয় তৃতীয়ার পুজো হয়। এবছর তিথিতে থাকছে রোহিণী নক্ষত্র। সে কারণে বিশেষ যোগ তৈরি হচ্ছে। এদিন বিশেষ টোটকা মেনে চলতে পারলে আর্থিক বৃদ্ধি ঘটবে। সে কারণে এদিন মা লক্ষ্মীর সঙ্গে কুবের যন্ত্রের পুজো করুন। কথিত আছে, এদিন ভগবান কুবেরকে তুষ্ট করলে আর্থিক বৃদ্ধি ঘটবে।
শাস্ত্রে অক্ষয় তৃতীয়া দিনটির গুরুত্ব বিস্তর। শাস্ত্র মতে, অক্ষয় শব্দের অর্থ হয় যার কোনও ক্ষয় নেই। তাই এই দিন কোনও কাজ শুরু করলে তা চিরস্থায়ী হয় বলে মনে করা হয়। শাস্ত্রের পাশাপাশি হিন্দু পুরাণেও দিনটির গুরুত্ব আছে। কথিত আছে, ব্যাসদেব মহাভারত লেখা শুরু করেন এই অক্ষয় তৃতীয়ার বিশেষ শুভক্ষণ থেকে।
কথিত আছে, অক্ষয় তৃতীয়ার শুভক্ষণে গঙ্গা ধরিত্রীতে এসেছিলেন। গঙ্গা আসলে ব্রক্ষ্মার মানসকন্যা। তিনি স্বর্গে প্রবাহিত হতেন। এক বিশেষ কারণে তিনি মর্ত্যে প্রবাহিত হন। কথিত আছে, সেই দিনটি ছিল অক্ষয় তৃতীয়া। গঙ্গা প্রবাহিত হতে, রাজা সগরের ৬০ হাজার পুত্র প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। এমনটাই উল্লেক আছে হিন্দু পুরাণে।
শাস্ত্র মতে, ব্রক্ষ্মা-বিষ্ণু ও মহেশ্বর। এই তিন শক্তি নিয়ে গঠিত বিশ্ব। ভগবান বিষ্ণু একাধিক অবতারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শাস্ত্র মতে, বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরামের জন্ম হয়েছিল অক্ষয় তৃতীয়ার দিন। সে কারণে শাস্ত্রে দিনটির গুরুত্ব বিস্তর। এই দিন ভগবান পরশুরামের জন্ম হয়। আর তিনি ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার।
৩ মে সকাল ৫টা বেজে ১৯ মিনিটে তিথি শুরু হচ্ছে। তা চলবে ৪ মে সকাল ৭টা বেজে ৩৩ মিনিট পর্যন্ত। রোহিণী নক্ষত্র ৩ মে বেলা ১২টা বেজে ৩৪ মিনিটে শুরু হবে আর শেষ হবে ৪ মে সকাল ৩টে ১৮ মিনিটে। মনে করা হয়, এই দিন থেকে সত্য যুগের অবসান ও ত্রেতা যুগের সূচনা হয়।
অক্ষয় তৃতীয়ার শুভক্ষণে কৃষ্ণের বন্ধু সুদামা তাকে অন্ন ভোগ দেন। এমনই কথিত আছে। সে কারণে, অনেকে এই দিন ভগবান কৃষ্ণেরও পুজো করেন। সুদামা ঠিলেন কৃষ্ণের বাল্যবেলার বন্ধু। সুদামা দক্ষিণ ভারতে কুচেলা নামেও পরিচিত। কথিত আছে, তিনি কৃষ্ণর সঙ্গে উজ্জয়িনীর সন্দিপানি আশ্রমে এক সঙ্গে পড়াশোনা করেছিলেন। তাদের বন্ধুত্বের কথা ইতিহাতেস উল্লেখ আছে।
অক্ষয় তৃতীয়াকে কেন্দ্র করে রয়েছে আরও একটি কাহিনি। কথিত আছে, বনবাসে থাকাকালীন অক্ষয় তৃতীয়াতেই শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে অক্ষয়পাত্র দান করেন। সে কারণে শাস্ত্রে দিনটির গুরুত্ব বিস্তর। অক্ষয় পাত্রে খাবার কখনও শেষ হয় না। এটি কখনও খালি থাকে না। এই কারণে বনবাসে থাকাকালীন পান্ডবরা খাবার পেতেন।
পুরীতে জগন্নাথের রথতে ঘিরে রয়েছে একাধিক কাহিনি। সারা বথর ঘরে ভক্তরা এই সময়ের জন্য অপেক্ষায় থাকেন। এই রথ যাত্রার বিশেষ তিথিতে জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রা তাদের মাসির বাড়ি যান। সে কারণে রথ বের হয়। জানেন কী এই রথ তৈরি শুরু হয় অক্ষয় তৃতীয়া থেকে। অক্ষয় তৃতীয়ায় শুভক্ষণে রথ তৈরির কাজ শুরু করেন ভক্তরা।
দিনটিকে শুভ মুহূর্ত মনে করা হয়। এই দিনে আবুজা মুহূর্তা পালিত হয়। বিয়ের পাশাপাশি সোনা-রূপো কেনা, যানবাহন করা ও সম্পত্তি বৃদ্ধির জন্য শুভ দিন মনে করা হয়। কথিত আছে, এই দিন কারও মৃত্যু হলে তাঁর অক্ষয় স্বর্গপ্রাপ্তি ঘটে। তাই দিনটিকে শুভ বলে মনে করা হয়।
কথিত আছে অক্ষয় তৃতীয়ার শুভক্ষণে মা অন্নপূর্ণার জন্ম হয়েছিল। সে কারণে এই দিন কিছু টোটকা পালনে শস্যের বৃদ্ধি হয়। কথিত আছে, এই দিন দান ও খয়রাতেরও বিশেষ গুরুত্ব আছে এই দিনে। এটা করলে ধন সম্পদ ও শস্যের বৃদ্ধি ঘটে। তাই আর্থিক বৃদ্ধি ঘটাতে চাইলে এই দিন মেনে চলতে পারেন এই বিশেষ টোটকা।