- Home
- Astrology
- Horoscope
- 'ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে' ঐতিহ্যবাহী উৎসব দোল পূর্ণিমার দিন-ক্ষণ-তিথি এক নজরে
'ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে' ঐতিহ্যবাহী উৎসব দোল পূর্ণিমার দিন-ক্ষণ-তিথি এক নজরে
দোলযাত্রা হিন্দু সম্প্রদায়ের এক ধর্মীয় উৎসব। এই উৎসবের অপর নাম বসন্তোৎসব। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। দোল পূর্ণিমা প্রধানত বাংলা এবং উড়িষ্যার প্রধান ধার্মিক উৎসব যা প্রতি বছর পালিত হয়। দোল উৎসবে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ বৃন্দাবনে গোপীদের সঙ্গে আবির খেলায় মেতে উঠেছিলেন।
| Published : Mar 03 2022, 11:14 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
হিন্দু ধর্মে দোল উৎসব বা হোলি উৎসবের একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। রঙে ভরা এই বসন্তের উৎসবের রয়েছে বিশেষ ধর্মীয় তাৎপর্য। হোলিকে মন্দের ওপর ভালোর জয়ের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ফাল্গুন মাস। ফাল্গুনে দোলের পবিত্র উত্সব সারা দেশে মহা আড়ম্বর সহকারে উদযাপিত হয়। হোলি ফাগ উৎসব নামেও পরিচিত।
দোলযাত্রা হিন্দু সম্প্রদায়ের এক ধর্মীয় উৎসব। এই উৎসবের অপর নাম বসন্তোৎসব। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। দোল পূর্ণিমা প্রধানত বাংলা এবং উড়িষ্যার প্রধান ধার্মিক উৎসব যা প্রতি বছর পালিত হয়। দোল উৎসবে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ বৃন্দাবনে গোপীদের সঙ্গে আবির খেলায় মেতে উঠেছিলেন।
এই দিনে অনেক বাড়িতেই রাধা-গোবিন্দের পুজোও করা হয়। এই পূর্ণিমা তিথি তাই অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। দোলযাত্রা উৎসবের একটি ধর্মনিরপেক্ষ দিকও রয়েছে। এই দিন সকাল থেকেই নারীপুরুষ নির্বিশেষে আবির ও নানান রং নিয়ে খেলায় মত্ত হয়। শান্তিনিকেতনে বিশেষ নৃত্যগীতের মাধ্যমে বসন্তোৎসব পালনের রীতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কাল থেকেই চলে আসছে।
ফাল্গুন পূর্ণিমার শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথি থেকে ন্যাড়াপোড়া বা হোলিকাষ্টক পালিত হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে রাধারানী শ্রী কৃষ্ণের শহর মথুরা এবং বৃন্দাবনে ফুল দিয়ে হোলি খেলেন। এদিনে রাধারানী মন্দিরের দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন। এমন পরিস্থিতিতে কবে দোল উৎসব বা হোলি খেলা হবে জেনে নেওয়া যাক।
বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সঙ্গে রং খেলায় মেতে উঠেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়।
দোলযাত্রার দিন সকালে তাই রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রায় বের করা হয়। এরপর ভক্তেরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রং খেলেন। দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা বলা হয়। আবার এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।
দোল উৎসব বা হোলির গুরুত্বপূর্ণ তারিখগুলি জেনে নিন
হোলাষ্টক শুরুর তারিখ - ১০ মার্চ, দিন বৃহস্পতিবার।
ন্যাড়া পোড়া বা হোলিকা দহন তারিখ - ১৭ মার্চ, বৃহস্পতিবার
দোল উত্সব বা হোলি উদযাপিত হবে - ১৮ মার্চ, দিন শুক্রবার
ফাল্গুন পূর্ণিমা তিথি ২০২২ এবং শুভ মুহুর্ত-
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, ফাল্গুন পূর্ণিমা তিথি শুরু হতে চলেছে ১৭ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা বেজে ২৯ মিনিট থেকে, যা পরের দিন অর্থাৎ ১৮ মার্চ শুক্রবার রাত ১২ টা বেজে ৪৭ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। হোলিকা দহন শুধুমাত্র ফাল্গুন পূর্ণিমায় অনুষ্ঠিত হয়। হোলিকা দহন ১৭ মার্চ ফাল্গুন পূর্ণিমায় অনুষ্ঠিত হবে। এই দিনটিকে ছোট হোলিও বলা হয়।
দোল উৎসব বা হোলির গুরুত্ব
কথিত আছে যে হোলাষ্টক যখন হয়, তখন তার পরে কোনও শুভ কাজ হয় না। জানিয়ে রাখি ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথি থেকে হোলাষ্টক শুরু হয়। হোলি উৎসবের গুরুত্ব ধর্মীয় বিশ্বাসে বলা হয়েছে, দোল উৎসব বা হোলির ৮ দিন আগে থেকেই ভক্তরা প্রহ্লাদকে নানাভাবে অত্যাচার করতে থাকে, যার কারণে হোলাষ্টকের পর থেকে কোনও শুভ কাজ হয় না।