- Home
- Astrology
- Horoscope
- জানেন কেন দোলের আগের দিনেই পালন করা হয় ন্যাড়া পোড়া, জেনে নিন এই গুরুত্বপূর্ণ রীতি সম্পর্কে
জানেন কেন দোলের আগের দিনেই পালন করা হয় ন্যাড়া পোড়া, জেনে নিন এই গুরুত্বপূর্ণ রীতি সম্পর্কে
পৌরাণিক কাহিনীতে উল্লেখ রয়েছে, অত্যাচারী রাজা হিরণ্যকশিপু প্রজাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন ঈশ্বরের আরাধনা না করার। তবে তাঁর ছেলে প্রহ্লাদ ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর একনিষ্ঠ ভক্ত। অত্যাচারী বাবার আদেশ অমান্য করেই তিনি দিনরাত বিষ্ণুর আরাধনা করতেন। হিরণ্যকশিপু সেকথা জানতে পারায় ছেলেকে মৃত্যুদন্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি প্রহ্লাদকে তার বোন হোলিকার কোলে বসিয়ে দু'জনের গায়েই আগুন ধরিয়ে দেন। ভগবান বিষ্ণুর বরে প্রাণে রক্ষা পান প্রহ্লাদ। পুড়ে ছাই হন হোলিকা। সেই বিশ্বাস থেকে আজও পালিত হয় ন্যাড়া পোড়া।
- FB
- TW
- Linkdin
ন্যাড়া পোড়া হল আসলে অশুভ শক্তির বিনাশ করে শুভ শক্তির জয়। ন্যাড়া পোড়া মানেই হল মন্দের উপর ভালোর জয়ের প্রতীক।
হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, প্রতি বছর ফাগুন পূর্ণিমা রাতে ন্যাড়া পোড়া হয়। এই বছর দোল পূর্ণিমা বাংলার ১৪ চৈত্র ১৪২৭, ইংরেজির ২৮ মার্চ ২০২১ রবিবার
সেই হিসাবেই সারা দেশ ভিন্ন ভিন্ন নামে চিহ্নিত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। তাই ন্যাড়া পোড়ার পর সবাই সেই ছাই শরীর ও কপালে ছোঁয়ায়।
তেমনি ন্যাড়া পোড়ার অর্থ, শুভ শক্তির কাছে অশুভকে ধ্বংস করা।
হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, প্রতি বছর ফাগুন পূর্ণিমা রাতে ন্যাড়া পোড়া হয়। এই বছর দোল পূর্ণিমা বাংলার ১৪ চৈত্র ১৪২৭, ইংরেজির ২৮ মার্চ ২০২১ রবিবার
দোলযাত্রার পরদিন অর্থাৎ ২৯ তারিখ সোমবার পালিত হবে হোলি উৎসব। কথিত আছে, হোলির আট দিন আগে ভক্ত প্রহ্লাদের ওপর রাক্ষসরাজ হিরণ্যকশিপু প্রচণ্ড নির্যাতন করেছিলেন।
ন্যাড়া পোড়া পালন করে সমস্ত অশুভ মুছে তারপর শুরু হয় পূজার্চনা।