ত্রেতাযুগ থেকে আজ পর্যন্ত সীতার দেওয়া অভিশাপ বয়ে চলেছেন এই চারজন
- FB
- TW
- Linkdin
সীতার নামে মিথ্যে কথা বলায় তিনি অভিশাপ দিয়েছিলেন চারজনকে। এক ব্রাহ্মণ, একটি নদী, একটি কাক ও একটি গরুকে অভিশাপ দিয়েছিলেন সীতা।
কী মিথ্যে বলেছিল এরা? রামায়ণ বলে, রাজা দশরথের মৃত্যু হলে তার দুই পুত্র রাম ও লক্ষণ পিণ্ডদানের জন্য সমস্ত সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। এরপর অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়।
তাঁদের ফিরতে দেরী হওয়ার কারণে পিন্ডদান করেন সীতা নিজে। সেযুগে মেয়েদের পিন্ডদানের বিধি ছিল না। তাই চারজনকে সাক্ষী রাখেন তিনি।
সমস্ত বিধি-বিধান মেনে তাঁর স্বর্গীয় শ্বশুর রাজা দশরথের পিণ্ডদান করে ছিলেন সীতা, যার সাক্ষী ছিল এক ব্রাহ্মণ, একটি নদী, এক গরু ও একটি কাক।
এরপর রাম-লক্ষ্মণ ফিরে এসে দেখেন পিন্ডদানের কাজ সমাপ্ত। তাঁরা বিস্মিত হয়ে সব ঘটনা জানতে সীতা বলেন সমস্ত বিধি-বিধান মেনে এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এটা শুনে রাম বিশ্বাস করতে না চাইলে সীতা ওই চারজনের কথা বলেন, যারা পিণ্ডদানের সময় সাক্ষী ছিলেন।
কিন্তু রামের সামনে তখন ওই চারজনই অস্বীকার করেছিলেন সীতার পিন্ডদানের কথা। এই ঘটনায় সীতা রেগে গিয়ে বলেন, তাঁর দেওয়া অভিশাপ চিরকাল তাদের বয়ে বেড়াতে হবে।
ব্রাহ্মণকে অভিশাপ দিয়ে সীতা বলেন, পূজা অর্চনার পরে যা কিছু অনুদান পাবে তা দিয়ে কখনো দারিদ্র ঘুচবে না, এমনকি কোন আশাও পূরণ হবে না পুরোহিতের।
এরপর সীতা ফল্গু নদীকে অভিশাপ দিয়ে বলেন, এই নদীর মধ্য দিয়ে কখনো জল প্রভাবিত হবে না, এই ভাবেই তাকে সারা জীবন কাঁদতে হবে। এই নদী সারাবছর শুকনো থাকবে এমনকি বর্ষাকালেও খরা দেখা দেবে।
কাককে অভিশাপ দেন সীতা। বলেন কখনোই তোমরা পেট পুরে খেতে পারবে না, যা কিছু খাবে তা মারামারি করেই খেতে হবে। আজও কাকেরা পেট ভরে খেতে পায়না।
গরুকে অভিশাপ দিয়ে বলেন, প্রতিটি বাড়িতে তোমার পূজা হলেও সেই বাড়ির সকল মানুষের এঁটো খাবার খেতে হবে। আজও তাই হয়ে আসছে।