মনের মত নয়, বাস্তু মতে বাড়ি সাজিয়ে ফেলুন, ভাগ্য সহায় হবে পলকে
মনের মত একটা ছোট্ট বাড়ি। তা অনেক যত্নে সাজিয়ে নেওয়া। প্রতিটা ধাপেই যেন স্বপ্ন বোনার কাজ চলতে থাকে দিন-রাত্রী এক করে। অথচ সেই চার দেওয়ালের মধ্যেই যখন সুখের অভাব ঘটে! তখন পলকে যেন সব আশা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। তাই এবার বাড়ি সাজানোর সময় মাথায় রাখুন বাস্তু টিপস।
- FB
- TW
- Linkdin
বাড়ি তৈরির সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে বাড়ির জানলা সব সময় জোড় সংখ্য়ায় হওয়া উচিত। বাড়ি তৈরির সময়ই এই বিষয়গুলো নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। নয়তো পরবর্তীতে এই বিষয়গুলো পাল্টে ফেলা সহজ হবে না। আর তাতেই বাড়তে পারে সমস্যা।
বাড়িতে জানলার সংখ্যা হওয়া উচিত ৪ টি বা ৬টি, অনেকেই বাড়ি সাজিয়ে তোলার জন্য মর্ডান আর্কিটেকচরের ওপর নির্ভর করেন, কিন্তু কয়েকটি বিষয় যদি নজর এড়িয়ে যায়, তবে পরিবারের সুখ মুহূর্তে উদ্ধাও।
বাস্তুমতে, ঘরের এক দেওয়ালে একাধিক জানলা বানানো একদম উচিত নয়। এতে বাড়ির শান্তি নষ্ট হয়। অনেক বড় ঘর, সাজাতে অনেকেই পর পর অনেকগুলো জানলা করে ফেলেন, কিন্তু তা বাড়ির জন্য সুখকর নয়। সেই দিকেও নজর দিতে হবে।
ঘরের জানলা খোলা বা বন্ধের সময় যাতে কোনও শব্দ না হয়। জানলা বা দরজা খোলা ও বন্ধের সময় অস্বস্তিকর শব্দ মানসিক শান্তি বিঘ্নিত করে। এই ছোট টিপসগুলোই সাধারণের অজানা। অথচ সারাদিন কেন এত খিটখিট করে চলেছি আমরা বুঝতেই পারা যায় না।
পাশাপাশি বাস্তুর জন্যও এই শব্দ ক্ষতিকর। এমন সমস্যা থাকলে যত দ্রুত সম্ভব এর মেরামত করুন। তাতে রিবারের কল্যান হবে। এই বিষয়গুলোকে প্রথম থেকে মাথায় রাখলে পরিবারে শান্তি বজায় থাকে। এবং সকলেই সুখের মুখ দেখেন।
পূর্বদিকে সব সময় একটি জানলা রাখার চেষ্টা করবেন। ভোর বেলার সূর্য রশ্মি শরীরের জন্য যেমন উপকারী সেরকম ভাবে তা বাস্তুর জন্যও অত্যন্ত শুভ। ঘুম থেকে উঠে সূর্য নমস্কার থেকে শুরু করে বাড়িতে শুভ আলোর রশ্মি প্রবেশ দিয়ে দিন শুরু। এতে অশুভ শক্তি নষ্ট হয়ে যায়।
ঘরের জানলার আকার সব সময় দেওয়ালের সঙ্গে সমানুপাতিক হওয়া উচিত। আর এর আকার খুব বেশি বড় অথবা খুব বেশি ছোটও হওয়া উচিত নয়। তাতে সংসারে ব্যালন্স বজায় থাকে। তাই এই দিকটিতে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।