ভারতের এই গুহায় আজও আছে ভগবান গণেশের আসল মাথা, দেখুন সেইসব আশ্চর্য ছবি
গণেশ চতুর্থীতে আরাধনা কেমন ভাবে করবেন, বা কেমন করে তিথি মেনে পুজো হবে শ্রী গণেশের, সে সম্পর্কে অনেকেই বিশদে জানেন। কিন্তু এটা অনেকেই জানেন না, যে ভারতেরই (India) এক গুহায় রয়েছে ভগবান গণেশের আসল মাথা (real head of Lord Ganesha)। বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। কিন্তু সেই গুহার ছবি (amazing pictures) মুগ্ধ করে দর্শকদের।
- FB
- TW
- Linkdin
একসময় যখন মাতা পার্বতী স্নান করতে গিয়েছিলেন তখন ওনার নিজের গায়ের নোংরা দিয়ে গণেশকে তৈরি করেন এবং তার রক্ষার জন্য তিনি তাকে দারোয়ান বানিয়ে দাঁড় করিয়ে দেন।
সেই সময় মহাদেব সেখানে আসেন কিন্তু গণেশ তাকে ভিতরে যেতে বাধা দেয়। এতে ভোলানাথ রুষ্ট হন এবং গণেশের মাথা ত্রিশুল দিয়ে কেটে দেন। পার্বতী ফিরে এসে তা দেখে প্রচণ্ড রেগে যান। পার্বতীর রাগ কমানোর জন্য ভোলেনাথ গণেশেকে হাতির মাথা লাগিয়ে দেন।
আজও গণেশের আসল মাথাটি রয়েছে ভারতের এক গুহায়। তা দেখাও যায়। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। সেই গুহার ছবি মুগ্ধ করে দর্শকদের।
পাতাল ভুবনেশ্বর গুহা উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ে অবস্থিত। ৯০ ফুট গভীর এবং ১৬০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত এই গুহা বিস্তৃত, ধর্মপ্রাণ মানুষদের জন্য এটি একটি চমত্কার জায়গা। বলা হয়ে থাকে এখানেই পড়েছে ভগবান গণেশের আসল মাথাটি।
বিশ্বাস অনুযায়ী গণেশের শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া মাথাটি শিব এই গুহায় রেখেছিলেন। এখানে গনেশের মাথা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অদ্ভুত রকমের জিনিস রয়েছে।
গুহাটির সর্বপ্রথম খোঁজ দিয়েছিলেন ঋষি আদি শঙ্করাচার্য। এখানে ভগবান গণেশের মাথা মূর্তি রূপে পূজিত হয়। গণেশের মাথার উপর ১০৮টি পাঁপড়ির ব্রহ্মকমল আছে।
এই ব্রহ্মকমল থেকে গণেশের মাথার উপর ফোঁটা ফোঁটা জল পড়তে দেখা যায়। ভগবান শিব নিজের হাতে এই মূর্তির স্থাপন করেন।
স্কন্দ পুরাণে বলা হয়েছে যে, দেবাদিদেব মহাদেব স্বয়ং পাতাল ভুবনেশ্বর গুহায় গনেশের মাথাটিকে পাহারা দিচ্ছেন এবং অন্যান্য দেবতারাও এখানে তাঁর প্রশংসা করতে আসেন।
এই গুহার শেষ পর্যন্ত কেউ যেতে পারলে তার মোক্ষ লাভ হয়, তাই এই এটি হিন্দু ধর্মের কাছে অত্যন্ত পবিত্র স্থান। ত্রেতাযুগে যখন অযোধ্যার সূর্যবংশী রাজা ঋতুপর্ণ যখন একটি বন্য হরিণকে ধাওয়া করতে করতে এই গুহায় এসেছিলেন, তখন তিনি ভগবান মহাদেব সহ ৩৩ কোটি দেবতার দর্শন পান।
এই গুহাতে চার যুগের ৪টি প্রতীক রূপে চারটে পাথর রয়েছে। এর মধ্যে একটি কলিযুগের প্রতীক চিহ্ন বলা হয়। এই পাথরের বৈশিষ্ট্য হল একটু একটু করে বড় হচ্ছে। এমনও বলা হয়েছে, এই পাথর যেদিন উপরে দেওয়ালে ধাক্কা মারবে সেদিনই কলি যুগের অবসান হবে।