গুণমান ও প্রয়োজন জেনে তবেই ধারণ করুন রুদ্রাক্ষ, নইলে পড়তে হতে পারে সমস্যায়
- FB
- TW
- Linkdin
রুদ্রাক্ষ শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে, যার অর্থ রুদ্রের চোখ বা শিবের চোখ। শ্রাবণ মাসে অনেকেই রুদ্রাক্ষ ধারণ করেন।
রুদ্রাক্ষ একমুখী থেকে একুশমুখী পর্যন্ত হয়। এই বিভিন্ন ধরনের রুদ্রাক্ষের আলাদা আলাদা গুণ রয়েছে বলে মনে করা হয়। তবে কত মুখী রুদ্রাক্ষের কী কাজ, তা জেনে তবেই ধারণ করা উচিত। কারণ রুদ্রাক্ষ শিব শক্তির আধার তাই সঠিক নিয়ম মেনে ধারণ না করলে দেখা দিতে পারে সমস্যা।
একমুখী রুদ্রাক্ষের শক্তি সবচেয়ে বেশি। এই একমুখী রুদ্রাক্ষ দেবাদীদেব মহাদেব রূপে পূজিত করা হয়। একমুখী রুদ্রাক্ষ অতি দুর্লব।
পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ খুবই সহজলভ্য আর সকলেই তা ধারণ করতে পারে। রুদ্রাক্ষ মালার রয়েছে বহু গুনাগুন আছে। আর সেই কারণেই ঋষি,মুনি এবং সাধারণ অনেক মানুষ রুদ্রাক্ষ ধারণ করেন।
শুধুমাত্র যে শুভ-অশুভ শক্তি বা বিপদ মুক্ত করে তা নয় রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে হার্ট ভালো থাকে। হার্ট বিট এবং রক্তের চলাচলের ফলে এক চৌম্বক শক্তির সৃষ্টি হয় যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। রুদ্রাক্ষে ডাইমাগ্মেটিজম-এর বৈশিষ্ট্য আছে। যার ফলে এটি সেই ক্ষতিকর চৌম্বক শক্তিকে বিলম্বিত হতে সাহায্য করে।
এছাড়াও রুদ্রাক্ষের মধ্যে রয়েছে যে চৌম্বকীয় শক্তি আছে তা আমাদের শরীরে কিছু ইমপালস তৈরি হয়। এর ফলে আমাদের শরীরে কিছু কেমিক্যাল সৃষ্টি হয় যা বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা নিজে থেকেই সারাতে সাহায্য করে।
এই কারণের জন্যই প্রাচীণকাল থেকেই মুনি ঋষিরা রুদ্রাক্ষ ধারণ করেন। শুধু এই নয় রুদ্রাক্ষ শুদ্ধ এবং বিষাক্ত জলের মধ্যে পার্থক্য করতেও সাহায্য করে। জলের মধ্যে রুদ্রাক্ষ দিলে যদি রুদ্রাক্ষটি দক্ষিণাবর্তে ঘোরে তবে বুঝবেন জলটি শুদ্ধ তাতে কোনও রকেমের সমস্যা নেই।
আর রুদ্রাক্ষটি যদি বামাবর্তে ঘোরে তবে বুঝতে হবে যে জলটি বিশুদ্ধ তা পাণীয় জল নয়।