- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- 'কাগজের টুকরোতেই গল্পের দৃশ্যায়ন', ইতিহাসে মোড়া কালজয়ী সিনেমা 'পথের পাঁচালী'
'কাগজের টুকরোতেই গল্পের দৃশ্যায়ন', ইতিহাসে মোড়া কালজয়ী সিনেমা 'পথের পাঁচালী'
- FB
- TW
- Linkdin
চলচ্চিত্র জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র যিনি গোটা চলচ্চিত্র তো বটেই এমনকী পুরো ভারতীয় সিনেমার প্রেক্ষাপটকেই বদলে দিয়েছিলেন। তিনি হলেন সকলের প্রিয় বাঙালি কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়।
এক বাঙালি কিংবদন্তি যিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার । ১৯২১ সালে ২ মে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়। সাহিত্য ও শিল্পের জগতে খ্যাতনামা পরিবারেই তার জন্ম । আজ জন্মের ৯৯ বছর পেরিয়ে শতবর্ষে পা দিলেন খ্যাতনামা পরিচালক সত্যজিৎ রায়।
একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতার পাশাপাশি, চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক, সঙ্গীত পরিচালক, লেখক, গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবেও তিনি গোটা বিশ্বে পরিচিত। সর্ব গুণে সম্পন্ন মানুষটি আজও সকলের মণিকোঠায় উজ্জ্বল ।
'পথের পাঁচালী' সিনেমা করেই ভারত তথা ভারতের বাইরেও ছবিটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।'পথের পাঁচালী' ছবিটি মোট ১১ টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছিল। এই ছবির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে এক মস্ত বড় ইতিহাস।
জীবনের প্রথম ছবি পরিচালনা করতেই এক ভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন অস্কারজয়ী পরিচালক। জীবনের প্রথম ছবি পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি জানতেনই না ছবির জন্য আলাদা স্ক্রিপ্ট তৈরি করতে হয়।
শ্যুটিং সেটে সবাই রেডি হয়ে বসে আছে। সেই মুহূর্তে সহ পরিচালক এসে স্ক্রিপ্ট চাইলে সত্যজিতের সটান উত্তর স্ক্রিপ্টের কী দরকার। আমি যা বলব ওরা সেটাই করবে।
এই কথা শুনে সকলেই হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তারপর সবার কথা রাখতে পেন আর কাগজ নিয়ে আসতে বলেন পরিচালক।
সেইমতো কাগজের টুকরোতেই একটা করে ছবির দৃশ্য এঁকে দিলেন পরিচালক। এমনকী ছবির স্ক্রিপ্টও তৎক্ষণাত বসে বানিয়ে ফেলেন সত্যজিৎ।
আর ওই ছোট কাগজের চিরকুট গুলিই ছিল কালজয়ী সিনেমা 'পথের পাঁচালী'র স্ক্রিপ্ট। তিনি এমনভাবেই চরিত্রের ভিতরে ঢুকে যেতেন যে তার কোন স্ক্রিপ্টের প্রয়োজন হতো না।
ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বিশ্বের দরবারে ভারতীয় শিল্পকলাকে তুলে ধরতে অত্য়ন্ত উত্সাহী ছিলেন। ১৯৫৫ সালে সত্যজিৎ রায়ের মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি 'পথের পাঁচালী'-র সূত্র ধরেই সত্যজিত্ রায় ও তাঁর প্রতিভা সম্পর্কে অবহিত হন ইন্দিরা গান্ধী।