- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- "নগ্নতা যে অশ্লীল সেটা কে বলল", পাওলির 'ছত্রাক'র দৃশ্য আজও বিতর্কের বিষয়
"নগ্নতা যে অশ্লীল সেটা কে বলল", পাওলির 'ছত্রাক'র দৃশ্য আজও বিতর্কের বিষয়
- FB
- TW
- Linkdin
তাঁদের কথা ছিল কেবল একটাই। একজন শিল্পী পরিচালকের স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী নিজেকে ভেঙে গড়ে নিতে পছন্দ করে।
একজন আসল শিল্পীর কোনও বাধা নিষেধ হয় না। কোনটা শ্লীল কোনটা অশ্লীল সেটা সমাজ বিচার করবে কীকরে।
অঞ্জন দত্ত এও বলেছিলেন, নগ্নতাকে অশ্লীল বলার কারণ কী। কামসূত্র তো আমাদের দেশের ঐতিহ্য। তাহলে সেটাকে দেশের সংস্কৃতি বলা হয় কেন।
নগ্নতা যদি একটি চিত্রনাট্যের জন্য প্রয়োজন হয়ে থাকে, সঙ্গমের দৃশ্য যদি প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে সেটা ছবিতে থাকবে।
ঋতুপর্ণ সে সময় বলেছিলেন, তথাকথিত ভদ্র সমাজ, কমার্শিয়াল ছবি ধর্ষণের দৃশ্য তাড়িয়ে তাড়িয়ে দেখে মজা পায়, কিন্তু সঙ্গমের দৃশ্যেই যত সমস্যা।
পাওলি একজন শিল্পী। একজনের শিল্পীসত্ত্বা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে কেন। তাঁর স্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়ে, সে অনস্ক্রিন কী করবে না করবে তা সমাজ বলে দেবে না।
চন্দ্রিল ভট্টাচার্য পাওলিকে সমর্থন করে বলেছিলেন, "ছবির জন্য কোনটা প্রাসঙ্গিক কোনটা অপ্রাসঙ্গিক সেটা একমাত্র পরিচালক বোঝেন। কমার্শিয়াল যেখানে সেখানে গান ঢুকিয়ে দেওয়াটা তো কেউ অপ্রাসঙ্গিক বলে না।"
তিনি এও জানান, ভদ্র মানসিকতার মানুষদের মুখ থেকে অন্তত এই কথাটা বেরনো উচিত না, যে পাওলি মারাত্মক কোনও অপরাধ করেছে।
অন্যদিকে পরমব্রতও বলেন, আমাদের সমাজে এখনও সাধারণ শিক্ষাটুকুর অভাব গুরুতর ভাবে রয়েছে। তা থাকলে আজ হয়তো এমন দিন দেখতে হত না।
গৌতম ঘোষের কথায়, পাওলি নিজেকে একজন পরিচালকের মত ভেঙে গড়ে নিয়েছে, এতে কারও কোনও কোনও অসুবিধে হওয়ার কথা না। পছন্দ না হলে দেখবেন না। আপনাকে কেউ বাধ্য করেন।