- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- কলকাতার কঠিন বাস্তবকে পর্দায় এঁকেছিলেন মৃণাল সেন, সৃষ্টি হয়েছিল কলকাতা ট্রিলজি
কলকাতার কঠিন বাস্তবকে পর্দায় এঁকেছিলেন মৃণাল সেন, সৃষ্টি হয়েছিল কলকাতা ট্রিলজি
সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে শুরু। বাংলায় সমান্তরাল ছবি যে এক নতুন দিক খুলে দিয়েছিল, সেই পথেই হেঁটে ছিলেন ঋত্বিক ঘটক ও মৃণাল সেন। এই ত্রয়ীর প্রতিটা পদক্ষেপে সৃষ্টি ছবি যেন তৎকালিন সমাজের এক জ্বলন্ত-জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। মধ্যবৃত্তের সমসার থেকে শুরু করে ৭১-এর সংগ্রাম, দেশ ভাগ থেকে শুরু করে দারিদ্রের যন্ত্রণা, সবই যেন স্থান পেয়েছিল এই পরিচালকের সৃষ্টি করা ফ্রেমে। তৈরি হয়েছিল তিন কালজয়ী ছবি।
- FB
- TW
- Linkdin
১৯৫৫ সালে মৃণাল সেনের প্রথম ছবি মুক্তি পেলেও এই ছবি ছিল না তাঁর প্রথম ছবি। দেশ স্বাধীনের আগে তৈরি করে ফেলেছিলেন পরিচালক তাঁর প্রথম ছবি।
সেই ছবির প্রতিটা ভাঁজে ছিল প্রতিবাদের আগুন। ছিল রাজনৈতিক টানাপোড়েনের গল্প। মুহূর্তে সেই ছবিকে ব্যান করে দেওয়া হয়েছিল। তবুও পথ চলা থামেনি প্রতিবাদী পরিচালকের।
ছবির প্রতিটা ফ্রেম যখন কঠোর বাস্তবতার চিত্র তুলে ধরতে সক্ষম হত, তখনই মৃণাল সেন মনে করতেন তাঁর সৃষ্টি সার্থক।
১৯৮২ সালে গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল মৃণাল সেনের। মার্কেজ মৃণাল সেনকে একটি লেখা দিয়ে ছবি তৈরি করতে বলেন। সেই প্রস্তাব ফিরিয়েছিলেন পরিচালক।
জানিয়েছিলেন, এই গল্পের প্রেক্ষাপটে তিনি ভারতের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও বাস্তবতার ছবি আঁকতে পারবেন না, তাই তাঁর পক্ষে সেই ছবি করা সম্ভব নয়।
ততদিনে তৈরি হয়ে গিয়েছে পরিচালকের কলকাতা ট্রিলজি। তৎকালিন কলকাতার কঠিন বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছিল ইন্টারভিউ (১৯৭১), কলকাতা ৭১ (১৯৭২) এবং পদাতিক (১৯৭৩)।
১৯৬০ থেকে ৭০, প্রতিটি জেলায় তখন বিদ্রোহের আগুন। দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়িতে সশস্ত্র কৃষক বিদ্রোহের আগুন দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তরাংশ, কেরল, পূর্ব ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ বিশেষ করে কলকাতায়।
মধ্যবিত্তের সংসারের ছবিটা তখন যায় বদলে, অভাব, নেই উপার্জন, খাবারের সমস্যা, পথে ঘাটে দাঙ্গা, সবই জায়গা করে নিয়েছিল মৃণাল সেনের এই তিন ছবিতে।
ইন্টারভিউ ছবিটিতে পথের পাঁচালী-র সর্বজয়া, অপু ও দুর্গাকে আবারও পেল দর্শক, রঞ্জিত, তাঁর মা ও বোন। যদিও মৃণালের কথায়, কলোনিয়াল লিগ্যাসি থেকেই গিয়েছে, এবং সেটা কেবল পোশাকের স্তরে নয়, সর্বস্তরে কাজ করেছে।