- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- পরিচালনা নয়, এই কাজ দিয়েই কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সত্যজিৎ রায়, জন্মবার্ষিকীতে চিনুন কিংবদন্তিকে
পরিচালনা নয়, এই কাজ দিয়েই কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সত্যজিৎ রায়, জন্মবার্ষিকীতে চিনুন কিংবদন্তিকে
চলচ্চিত্র জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র যিনি গোটা চলচ্চিত্র তো বটেই এমনকী পুরো ভারতীয় সিনেমার প্রেক্ষাপটকেই বদলে দিয়েছিলেন। তিনি হলেন সকলের প্রিয় বাঙালি কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়। এক বাঙালি কিংবদন্তি যিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার । ১৯২১ সালে ২ মে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়। আজ তার জন্মবার্ষিকী। এক বাঙালি কিংবদন্তি যিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার । ভারতীয় সিনেমাকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতার পাশাপাশি, চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক, সঙ্গীত পরিচালক, লেখক, গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবেও তিনি গোটা বিশ্বে পরিচিত। সর্বগুণ সম্পন্ন মানুষটি আজও সকলের মণিকোঠায় উজ্জ্বল । সত্যজিৎ রায়ের জন্মবার্ষিকীতে জেনে নিন কিংবদন্তির অজানা কিছু তথ্য।
| Published : May 02 2022, 09:34 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
এক বাঙালি কিংবদন্তি যিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার। আজ তার দিনই। চলচ্চিত্র জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র যিনি গোটা চলচ্চিত্র তো বটেই এমনকী পুরো ভারতীয় সিনেমার প্রেক্ষাপটকেই বদলে দিয়েছিলেন। তিনি হলেন সকলের প্রিয় বাঙালি কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়।
১৯২১ সালে ২ মে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়। সাহিত্য ও শিল্পের জগতে খ্যাতনামা পরিবারেই তার জন্ম । সত্যজিৎ রায় এই নামটাই যেন যথেষ্ঠ। বাঙালি শুধু নয়, গোটা বিশ্ববাসীর কাছে তিনি জনপ্রিয়।
সালটা ১৮৪৮। পরিচালক ভিত্তোরিও ডি সিকা-র 'দ্য বাইসাইকেল থিভস' দেখেই 'পথের পাঁচালী' তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। আর এটিই এমন সিনেমা যা ভারতীয় সিনেমার প্রেক্ষাপটকেই বদলে দিয়েছিল। তিনি শুধু জীবন নয় বরং যাপনও বদলে দিয়েছিলেন।
বাবা সুকুমার রায়ের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের সিনেমার বেশ কিছু ডায়লগও বানিয়েছিলেন পরিচালক সত্যজিৎ। বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। তার আবিষ্কার আজও সকলকে সমৃদ্ধ করে বারেবারে।
একটা সিনেমা করেই ভারত তথা ভারতের বাইরেও ছবিটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।'পথের পাঁচালী' ছবিটি মোট ১১ টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছিল। তারপরের দুটি ছবি 'অপরাজিত', 'অপুর সংসার' এই তিনটি ছবিই বিশ্বদরবারে অপুর ত্রিলজি নামে পরিচিত। 'অপরাজিত' ছবির সাফল্যই তাকে আন্তজার্তিক মহলে আরও পরিচিত করে তুলেছিল।
সাদা-কালো ছবিতেই বাংলা সিনেমার নতুন প্রেক্ষাপট রচিত করেছিল সত্যজিৎ রায়। ১৯৬২ সালে প্রথম রঙিন বাংলা ছবি 'কাঞ্চনজঙ্ঘা' তৈরি করেছিলেন সত্যজিৎ রায়। আজও এই নামের কোনও উত্তরসূরি নেই বাংলায় সিনেমায়। কারণ তিনি এক এবং অনন্য।
ভারতীয় সিনেমার পুরো প্রেক্ষাপটকেই বদলে দিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়। বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে সৌমিত্রকেও যেন নতুন রূপে আবিষ্কার করেছিলেন সত্যজিৎ। মোট ১৪ টি সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছেন সত্যজিৎ-সৌমিত্র জুটি। এছাড়াও বলিউডের শাহেনশা অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে একটি মাত্র সিনেমায় কাজ করেছেন সত্যজিৎ রায়।
পরিচালনার পাশাপাশি চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক, সঙ্গীত পরিচালক, লেখক, গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবেও তিনি গোটা বিশ্বে পরিচিত ছিলেন।পরিচালনার আগে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করেন সত্যজিৎ রায়। পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর 'ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া' র কভার পাতাও ডিজাইন করেছিলেন সত্যজিৎ রায়।
সত্যজিৎ রায়, এক বাঙালি কিংবদন্তি যিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার । যিনি ভারতীয় সিনেমাকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সর্বগুণে সম্পন্ন মানুষটি আজও সকলের মণিকোঠায় উজ্জ্বল।
তার বর্ণময় কর্মজীবনে বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কারও রয়েছে সত্যজিতের ঝুলিতে। মোট ৩২ টি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল সত্যজিৎ রায়। তার মধ্যে ৬ টি ছিল সেরা পরিচালকের পুরস্কার। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি পায় সত্যজিৎ রায়।