গ্রাফিক্স ডিজাইনার থেকে পরিচালক, জেনে নিন সত্যজিতের অজানা কাহিনি
সত্যজিৎ রায়। এক বাঙালি কিংবদন্তি যিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার । ভারতীয় সিনেমাকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সালটা ১৯৯২। আজকের দিনেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন। গোটা ইন্ডাস্ট্রি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতাকে হারিয়েছিল আজকের দিনেই। আজ তার ২৮ তম প্রয়াণ দিবস। একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতার পাশাপাশি, চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক, সঙ্গীত পরিচালক, লেখক, গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবেও তিনি গোটা বিশ্বে পরিচিত। সর্ব গুণে সম্পন্ন মানুষটি আজও সকলের মণিকোঠায় উজ্জ্বল । প্রয়াণ দিবসে জেনে নিন সত্যজিৎ রায়ের অজানা কিছু তথ্য।
| Published : Apr 23 2020, 03:03 PM IST / Updated: Apr 23 2020, 03:15 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
১৯২১ সালে ২ মে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়। সাহিত্য ও শিল্পের জগতে খ্যাতনামা পরিবারেই তার জন্ম ।
সত্যজিৎ রায় এই নামটাই যেন যথেষ্ঠ। বাঙালি শুধু নয়, গোটা বিশ্ববাসীর কাছে তিনি জনপ্রিয়। সালটা ১৮৪৮। পরিচালক ভিত্তোরিও ডি সিকা-র 'দ্য বাইসাইকেল থিভস' দেখেই 'পথের পাঁচালী' তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। আর এটিই এমন সিনেমা যা ভারতীয় সিনেমার প্রেক্ষাপটকেই বদলে দিয়েছিল।
বাবা সুকুমার রায়ের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের সিনেমার বেশ কিছু ডায়লগও বানিয়েছিলেন পরিচালক সত্যজিৎ।
বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে সৌমিত্রকেও যেন নতুন রূপে আবিষ্কার করেছিলেন সত্যজিৎ। মোট ১৪ টি সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছেন সত্যজিৎ-সৌমিত্র জুটি।
১৯৬২ সালে প্রথম রঙীন বাংলা ছবি 'কাঞ্চনজঙ্ঘা' তৈরি করেছিলেন সত্যজিৎ।
সাদা-কালো ছবিতেই বাংলা সিনেমার নতুন প্রেক্ষাপট রচিত করেছিল সত্যজিৎ রায়।
বলিউডের শাহেনশা অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে একটি মাত্র সিনেমায় কাজ করেছেন সত্যজিৎ রায়।
পরিচালনার পাশাপাশি চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক, সঙ্গীত পরিচালক, লেখক, গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবেও তিনি গোটা বিশ্বে পরিচিত ছিলেন।
পরিচালনার আগে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করেন সত্যজিৎ রায়। পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর 'ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া' র কভার পাতাও ডিজাইন করেছিলেন সত্যজিৎ রায়।
একাধিক পুরস্কার রয়েছে সত্যজিতের ঝুলিতে। মোট ৩২ টি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল সত্যজিৎ রায়। তার মধ্যে ৬ টি ছিল সেরা পরিচালকের পুরস্কার। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি পায় সত্যজিৎ রায়।