- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- টেলি আকাডেমি অ্যাওয়ার্ডে জি-এর জয় জয় কার, জেনে নিন কার ঝুলিতে এল কী পুরস্কার
টেলি আকাডেমি অ্যাওয়ার্ডে জি-এর জয় জয় কার, জেনে নিন কার ঝুলিতে এল কী পুরস্কার
বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন টেলি থেকে টলিপাড়ার সকল সদস্য। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছোট পর্দার সুপারস্টারদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ছাড়াও ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন, রাজা চক্রবর্তী-সহ একাধিক নাম করা ব্যক্তিত্ব। রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ টেলি আকাদেমি অ্যাওয়ার্ডে (Tele Academy Award)। সেখানে জয় জয় কার করল জি। এক নয়, একাধিক পুরস্কার (Award) পেলেন জি-এর একাধিক তারকা।
- FB
- TW
- Linkdin
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় দাদাগিরি আনলিমিটেড (Dadagiri Unlimited) সিজিন ৯ এর সেরা হোস্ট হয়েছেন। ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয় দাদাগিরি আনলিমিটেড। প্রথম থেকেই এই শো-এর উপস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এই অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় ব্যক্তি থেকে শহর ও জেলা থেকে বাছাই করা মানুষজন আসেন। বর্তমানে চলছে দাদাগিরি আনলিমিটেড সিজিন ৯। এর জন্যই পুরস্কার পেলেন সৌরভ।
সেরা কমেডি অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার জিতেছেন আনেশা হাজরা। ছোট পর্দার সুপারস্টারদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন, রাজা চক্রবর্তী-সহ একাধিক নাম করা ব্যক্তিত্ব। জি ছাড়াও স্টার জলসার বহু সিরিয়ালের তারকারা পুরস্কার পেয়েছেন।
মিঠাই- সিরিয়ালের ঝুলিতে রয়েছে একাধিক পুরষ্কার। সৌমিত্রিষা কুণ্ডু মিঠাই-এর জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার (Award) পেয়েছেন। প্রধান চরিত্র মিঠাই-এর ভূমিকায় দর্শকদের মন কেড়েছেন তিনি। সৌমিত্রিষা প্রথম থেকেই দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছিলেন। এবার পেলেন সম্মান। মুখ্যমন্ত্রী, নিজে তাঁর হাতে তুলে দেয় পুরস্কার। রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ টেলি আকাদেমি অ্যাওয়ার্ডের।
মিঠাই-এর জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন অদ্রিত রায়। জি-এর মিঠাই-ও বেশ জনপ্রিয় একটি সিরিয়াল। ছবির প্রধান চরিত্র আছেন অদ্রিত রায়। সে এক ধ্বনী পরিবারের ছেলে। ঘটনাচক্রে মিঠাই-কে বিয়ে করে। প্রথমে বিয়ের আপত্তি থাকলেও পরে তাঁকে মেনে নেন। ছবিতে খুব সুন্দর ভাবে নিজের চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন অদ্রিত।
দুই নয়, তিনটি পুরস্কার মিঠাই-এর ঝুলিতে। মিঠাই সিরিয়ালে সেরা পার্শ্ব অভিনেতার জন্য বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী। অভিজ্ঞ ও প্রবীণ অভিনেতা হিসেবে খ্যাত বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী। তাঁর ঝুলিয়ে রয়েছে বহু পুরস্কার। টেলি দুনিয়ায় কারও করছেন বহুদিন ধরে। তবে, মিঠাই সিরিয়ালে তাঁর চরিত্রে একেবারে অন্যমাত্রা এনেছে। দর্শকদের মন কেড়েছেন তিনি। এবার সেই চরিত্রে জন্যই সম্মানিত হলে।
সেরা চিত্রনাট্য এবং সংলাপ লেখক হিসেবে পুরষ্কার পেলেন শাস্বতী ঘোষ। মিঠাই এবং রানি রাসমনির জন্য পুরস্কিত হলেন তিনি। এদিন মঞ্চে সেরা পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রী ছাড়াও সেরা দুটি, সেরা মা, সেরা পরিবার, সর্বাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিক, সেরা কৌতুক অভিনেতা-অভিনেত্রী, সেরা বয়স্ক জুটি, সেরা শব্দগ্রাহক, সেরা প্রোডাকশন ডিজাইনার-সহ একাধিক ক্যাটেগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
পরিচালক অভিজিৎ সেন পেয়েছেন সেরা নন ফিকশন পরিচালক হিসেবে পুরস্কার (Award)। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কোভিডের সময় মানুষের বেঁচে থাকার রসদ জুগিয়েছে টেলিভিশন। বাড়ির মহিলারা হাতের কাজ সেরে সন্ধ্যে হতে না হতেই টিভির সামনে বসে পড়তেন। আমিও সিরিয়াল দেখি।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই কথা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে সকলকে। আরও ভালো কাজ করার উদ্যোগ পেয়েছে শিল্পীরা।
জি-এর বেশ জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘যমুনা ঢাকি’। একজন ঢাকি পরিবারের মেয়ে, যে নিজেও ঢাক বাজায়, সেখান থেকে সে কীভাবে মালিকের বাড়ির বউ হলেন সেই নিয়ে গল্প। ‘যমুনা ঢাকি’-র অনুপ্রেরণামূলক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য স্বেতা ভট্টাচার্য পুরস্কার জিতেছেন। পুরো সিরিয়ালের গল্প যমুনা ঢাকির গল্প নিয়ে। তাঁর লড়াই নজর কেড়েছে সকলের।
এদিন মঞ্চ থেকেই ভার্চুয়ালি টেলি অ্যাকাডেমির প্রশাসনিক ভবন ও চারটি স্টুডিও ফ্লোকেক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ১০ একর জমির উপর তৈরি হয়েছএ এই কমপ্লেক্স, যা বানাতে খরচ হয়েছে ১৩২.৫ লক্ষ টাকা। শুটিং ফ্লোর থেকে শুরু করে শুটিংয়ের একাধিক সুবিধা রয়েছে এই কমপ্লেক্সে। এদিন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করে সাহেব চট্টোপাধ্যায় ও ইন্দ্রানী হালদার।
টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চে স্মরণ করা হয় গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। ৯০ বছরে পথচলা শেষ হল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের(Sandhya Mukherjee)। বাংলা গানে স্বর্ণযুগের শিল্পীদের শেষ তারকা নিভে গেল। গত ২৬ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন প্রবাদ প্রতিম সঙ্গীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তারপর তাঁকে এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে পরীক্ষা করলে করোনা ধরা পড়ে। তখন বাইপাসের ধারে এক বেসরকারী হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করে হয়। সেখানেই ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রাণ ত্যাগ করেন শিল্পী।