- Home
- Entertainment
- Bollywood
- নয়া স্টাইলে ডিস্কো পরিবেশনা, মাত্র ১৯ বছর বয়সেই একবুক স্বপ্ন নিয়ে মুম্বইতে পা
নয়া স্টাইলে ডিস্কো পরিবেশনা, মাত্র ১৯ বছর বয়সেই একবুক স্বপ্ন নিয়ে মুম্বইতে পা
বাপ্পি লাহিড়ি মানেই বলিউড সফরে এক মাইলস্টোন, এক নয়া দিক নয়া অধ্যায়ের সূত্রপাত, ডিস্কো গানকে ভারতের স্টাইলে দর্শকদের সামনে পরিবেশন করার প্রথম উদ্যোগেই যিনি সেরার সেরা তকমা পেয়েছিলেন, তিনি হলেন বাপ্পি লাহিড়ি। তাঁর মিউজিক, তাঁর সুর এমন কি গানের কথা, সবকিছুতেই থাকতো এক প্রাণ ঢালা উচ্ছ্বাস, থাকত এক অনবদ্য সুরের মেলবন্ধন, যা পলকে মানুষের মন ভালো করতে সক্ষম। তিনি বাপ্পি লাপিড়ি, যিনি খুব সহজেই শ্রোতার শরীর জুড়ে মিউজিকে শিহোরণ বইয়ে গিতে পারতেন, পলকে নেচে ওঠা মন জুড়ে আজ অবসাদ, বিষাদের সুর, ফিরে দেখা সেই কিংবদন্তি শিল্পীর বলিউড সফরনামা।
- FB
- TW
- Linkdin
নাম আলোকেশ বাপ্পি লাহিড়ি (Bappi Lahiri), সুরের জগতে হোক বা ভক্তমনে, তিনি বাপ্পি দা নামেই পরিচিত, ২৭ নভেম্বর ১৯৫২ সালে তাঁর জন্ম, হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে যাঁর অবদান দিয়েছিল এক নয়া মোড়, হিন্দির পাশাপাশি (Bollywood) পাল্লা দিয়ে তাঁর বাংলা গানের জহতের সফরও সমাল উল্লেখ্য, তবে তাঁর সেরার সেরা সৃষ্টির মধ্যেই থাকে তিন উল্লেখযোগ্য ছবি- ডিস্কো ড্যান্সার, নমক হালাল এবং শরাবী।
সঙ্গীত জগতের সঙ্গে তাঁর হাতেখড়ি ঘটে শৈশবেই (Bappi Lahiri Chilhood)। বাবা মা দুজনেই ছিলেন সঙ্গীত জগতের সঙ্গে যুক্ত, শাস্ত্রী. সঙ্গীত তাঁর পরিবারে নিত্য চর্চা হত, অপরেশ লিহিড়ি, বাপ্পি লাহিড়ির পিতা ছিলেন এতজন জনপ্রিয় সঙ্গীতজ্ঞ। মা বাঁশরী লাহিড়ি ছিলেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ঘরাণার, বিশেষ করে শ্যামা সঙ্গীতে তিনি ছিলেন জনপ্রিয়। তাঁদেরই একমাত্র সন্তান বাপ্পি লাহিড়ি।
ছোট থেকেই সুর, ছন্দের সঙ্গে তাঁর নিত্য ওঠাবসা, ছোট থেকেই তিনি নিজের ছন্দে বাঁধা সুর-তালে থাকতেন মেতে, হাতে তখন তবলা, বয়স মাত্র তিন বছর, পরিবার সূত্রে পরিচয় কিশোর কুমারের (Kishore Kumar) সঙ্গে, তবে বিটাউনের সফর শুরু হয়েছিল মাত্র ১৯ বছর বয়সে।
প্রথম মুম্বইতে (Mumbai) পা রাখা, এরপরের সফরটা ইতিহাস, প্রথম ছবি দাদু, ১৯৭২ সালে এই ছবিতে প্রথম হাতেখড়ি ঘটেছিল বাপ্পি লাহিড়ির। ১৯৭৩ সালে হিন্দি ছবি নানহা শিকারী ছবির জন্য তিনি প্রথম গান রচনা করেন। এরপর তাহির হুসেনের জখমী (১৯৭৫) চলচ্চিত্রে কাজ করেন। পর পর দুই ছবিতেই তিনি সকলের নজর কেড়েছিলেন।
এরপরই লেজেন্ড মহম্মবদ রফি ও কিশোর কুমারের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ আসে তাঁর। সেখান থেকেই তিনি প্রতিষ্ঠীত হন, এবং শুরু করেন নিজের ছন্দে নয়া গান নির্মাণের কাজ। তার পরের চলচ্চিত্র হিসেবে চালতে চালতে ছবিটির গানও দর্শক-শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
রবিকান্ত নাগাইচের সুরক্ষা ছবিতে গান গেয়ে সঙ্গীতকার হিসেবে জনপ্রিয়তা পান। তবে সেরার সেরা উপহারটা তখনও ছিল ঝুলিতে। ভারতীয় ছবিতে ডিস্কো ঘরাণাকে তুলে ধরা। মিঠুন চক্রবর্তী পর্দায়। ১৯৮০'র দশকে মিঠুন চক্রবর্তী এবং বাপ্পি লাহিড়ি একসাথে বেশ কিছু বলিউডের ডিস্কো চলচ্চিত্রে কাজ করেন।
সমগ্র ভারত এরপর তাঁকে চিনেছিল একটাই পরিচয়ে ডিস্কো কিং। তবে ১৯৯০ সালেই ভারতীয় চলচ্চিত্র থেকে বেশ অনেকটাই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। তবে তখনও মাঝে মধ্যে কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর অধিকাংশ ডিস্কো গানই াশা ভোঁসলে ও কিশোর কুমারের গলায়।
এছাড়াও আলিশা চিনয়, উষা উত্থপের সঙ্গেও তিনি বহু কাজ করেছেন। তাঁর সৃষ্টি করা বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে অন্যতম হল (বাপ্পি লাহিড়ি রচনা) - চলতে চলতে মেরে ইয়ে গীত ইয়াদ রাখনা; দিল সে মিলে দিল, , মুসকুরাতা হুয়া, চার দিন কি জিন্দেগী হ্যায়, মান হো তুম , ইয়ে নায়না ইয়ে কাজল, গাও মেরে মন, পিয়া হি জিনে কি, পিয়ার মাঙ্গা হ্যায় তুমহি সে, কে পাগ ঘুঙ্গরাও বান্ধ মিরা নাচি থি।
তাঁর কণ্ঠে কিছু অনবদ্য গান, যা সারা জীবন থেকে যাবে ভক্তমনে- রাহি হু মে, বোম্বাই সে আয়া মেরা দোস্ত, মৌসম হ্যায় গানে কা, তুম জো ভি হো, তু মুঝে জান সে ভি পিয়ার হ্যায়, ইয়াদ আ রাহা হ্যায়, সুপার ড্যান্সার, দেখা হ্যায় ম্যায়নে তুমহে ফির সে পলাতকে, দিল মে হে তুম, জে লা লা, বাম্বাই নাগারিয়া প্রভৃতি।