২০০০ গানে কোরিওগ্রাফি, মাত্র তিন বছর বরয় থেকেই নাচের সঙ্গে একাত্ম সরোজ
সরোজ খান, বলিউডে এক জনপ্রিয় নাম। সম্প্রতি তিনি অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। ৩ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন বলিউডের মাস্টারজি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। সরোজ খানের সঙ্গে নাচের সম্পর্ক শুরু মাত্র তিন বছর বয়স থেকেই। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে হয়ে ওঠা নাচের জগতের মহীরুহ।

২২ নভেম্বর ১৯৪৮ সালে সরোজ খান মুম্বই শহরে জন্মগ্রহণ করেন। চল্লিশ বছরের কর্মজীবনে তিনি ২০০০ এরও বেশি গানের নৃত্য পরিচালনা করেছেন।
মাত্র তিন বছর বয়সে শিশু শিল্পী হিসাবে তাঁর কর্মজীবন শুরু, 'নজরানা' চলচ্চিত্রে শিশু শিল্পী শ্যামা হিসাবে প্রথম বলিউডে পা রাখা।
১৯৫০ সালের শেষের দিকে তিনি ব্যাকগ্রাউন্ড নর্তকী হিসাবে কাজের সুযোগ পান। নাচ শেখা পরিচালক বি সোহানলালের অধীনে কাজ করার সময়।
১৯৭৪ সালে, তিনি নিজে নৃত্য নির্দেশক হিসাবে "গীতা মেরা নাম" চলচ্চিত্রের মধ্যে দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। তবে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন শ্রীদেবীর সঙ্গে জুটি বেঁধে।
শ্রীদেবীর সঙ্গে তাঁর কাজের শুরু "মিস্টার ইন্ডিয়া"-তে। "হাওয়া হাওয়াই" প্রশংসিত হয় দর্শক মহলে। পরে, নাগিনা (১৯৮৬) এবং চাঁদনি (১৯৮৯)-তেও একইভাবে নজর কাড়েন তিনি।
মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে, তেজাব (১৯৮৮)-এ "এক দো তিন", থানদার (১৯৯০)-এ "তাম্মা তামমা লোগে" এবং "ধাক ধাক কর্নে লাগা", বেটা (১৯৯২) খুবই প্রশংশিত হয়।
টেলিভিশনের রিয়ালিটি শো-তেও তিনি নিজের আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন। ২০০৫ সালে নাচ বলিয়ে-এ দর্শকেরা তাঁকে পেয়েছিল বিচারক হিসেবে।
এছাড়াও বুগি উগি, নাচ ভে উইথ সরোজ খানও দর্শক মহলে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে তিন জাতীয় পুরস্কার। যার মধ্যে অন্যতম দেবদাস।
সেরা কোরিওগ্রাফারের পুরস্কার পেয়েছেন তিনি আট বার। এছাড়াও আমেরিকান কোরিওগ্রাফার পুরস্কার, নন্দী পুরস্কার রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।