'জিহাদি', 'পাকিস্তানি' বলে সম্বোধন ইরফান খানের ছেলেকে, কড়া জবাব বাবিলের
ধর্মের জেরে হিংসাত্মক বার্তা পেলেন ইরফান খানের ছেলে বাবিল খান। সাকেত গোখলের ইদ উদযাপনের টুইট নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছিলেন বাবিল। সেই পোস্টের জেরে তাঁর ধর্ম নিয়ে নানা কুমন্তব্য পেতে হয় তাঁকে। কী কী শুনতে হয়েছে তাঁকে, সেই নিয়ে নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনলেন। বাবিল জানান, তাঁর বন্ধুরা তাঁর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। একাধিক নেটিজেনরা তাঁকে পাকিস্তানি জিহাদি দেশদ্রোহী বলে সম্বোধন করে। এছাড়াও তাকে পাকিস্তান চলে যেতে নির্দেশ করে সঙ্গে রয়েছে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও।
- FB
- TW
- Linkdin
বাবিল নিজের ইনস্টাগ্রামে লেখেন, "এখন আমি নিজের মতামতও প্রকাশ করতে পারব না। ভাবতে হবে যে আমার গোটা কেরিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে।"
তিনি আরও লেখেন, "আমার ভয় লাগছে। ভয় পেতে চাই নাই। আমি স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই। আমি চাই না কেউ আমার ধর্মের কথা ভেবে আমায় কেউ আমায় বিচার করুক।"
তাঁর ধর্মের জেরে নানা কুমন্তব্যে ভরে চলেছে ইনস্টাগ্রামের মেসেজ বক্স। তাঁকে এবং তাঁর গোটা পরিবারকে নিয়ে চলছে কাটাছেঁড়া। তিনি নাজেহাল হয়েই নিজের মতামত প্রকাশ করেন।
শুক্রবারের ইদের ছুটে বাতিল করে দিয়ে সোমবারের রাখির ছুটি রাখা হচ্ছে। এর বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ এক দেশের মানুষজন তাঁকে এমন বলতে পারে তা তিনি ভাবেননি।
বাবিলকে একাংশ নেটিজেন, দেশদ্রোহি, জিহাদি, পাকিস্তানি বলে সম্বোধন করে। পাশাপাশি চলতে থাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ। সবটাই প্রথমে চুপচাপ মেনে নিলেও ধীরে ধীরে ধর্য্যের সীমা ছাড়ায় তাঁর।
নেটিজেনের প্রতিক্রিয়ার চেয়েও বেশি তিনি দুঃখ পেয়েছেন নিজের বন্ধুদের ব্যবহারে। নিজের মতামত প্রকাশ করার পর বাবিলের সঙ্গে তাঁর বন্ধুরা কথা বলা বন্ধ করে দেয়।
তিনি জানান, লন্ডনে পড়াশুনো করলেও তাঁর মন পরে থাকে দেশের জন্য। দেশের মাটিকে আঁকড়ে ধরেই বাঁচতে চান তিনি। নিজের পদবির জন্য ধর্মের ভিড়ে হারিয়ে যেতে চান না।
বাবিলের বক্তব্য, তাঁর মা হিন্দু, তাঁকে এবং তাঁর ভাইকে ছোট থেকেই কোনও ধর্মের গণ্ডিতে বড়ো করে তোলা হয়নি। সবসময় মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার কথা চিন্তা করেছেন সুতাপা সিকদার এবং প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খান।