'বিয়ে জিনিসটা বড়ই অর্থহীন, এর চেয়ে লিভ-ইন ঢের ভাল'
নীনা গুপ্তা। সেই বিরল অভিনেত্রী এবং মহিলাদের মধ্যে পড়েন যিনি নিজের দমে, নিজের দাপটে ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। প্রাক্তন ক্রিকেটার ভিভিয়ান রিচার্ডসের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তিনি কখনই কোনও লুকোছাপা রাখেননি নীনা। জনসমক্ষে তাঁকে এ বিষয় প্রশ্ন করা হলে মন খুলে উত্তর দিয়েছেন। ভিভিয়ান রিচার্ডসের সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীন তিনি সন্তানসম্ভবা হন। মাসাবা গুপ্ত জন্ম নেওয়ার আগেই নীনা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সিঙ্গেল মাদার হিসেবে বড় করবেন মাসাবাকে। সমস্ত সামাজিক ট্যাবু ভেঙে নিজে এবং নিজের বাবার সাহায্যে বড় করেন মাসাবাকে। অভিনেত্রীর জন্মদিনে তাঁর এই কঠিন যাত্রাপথ বারবার মনে পড়ে সকলের। জীবনকে সহজে সাধারণ ভাবে গড়ে তোলার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন তিনি হাজারও মানুষকে।
- FB
- TW
- Linkdin
মানেননি কোনও বাধানিষেধ। নিজের ইচ্ছায় কাটিয়েছেন ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবন। আজ মাসাবা ভারতের অন্যতম ফ্যাশন ডিজাইনার দের মধ্যে একজন। সবটাই তাঁর মায়ের কারণে।
সে কথা তিনি প্রত্যেক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেl নীনার কথায় বিয়ে এবং লিভ-ইন সম্পর্কদু'টির মধ্যে লিভ-ইনের জোর অনেক বেশি। মাসখানেক আগে এক সাক্ষাৎকারে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেন অভিনেত্রী।
তাঁর বক্তব্য বিয়ে নামক জিনিসটি একেবারেই অর্থহীন। কারণ ভারতে সাধারণত সাংঘাতিক পরিমাণে টাকা খরচা করে বিয়ের প্রস্তুতি করা হয়ে থাকে। এদিকে বিয়ের পর নানা কারণে সম্পর্কে চিড় ধরে। বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
তাঁর বক্তব্য বিয়ে নামক জিনিসটি একেবারেই অর্থহীন। কারণ ভারতে সাধারণত সাংঘাতিক পরিমাণে টাকা খরচা করে বিয়ের প্রস্তুতি করা হয়ে থাকে। এদিকে বিয়ের পর নানা কারণে সম্পর্কে চিড় ধরে। বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
এক সঙ্গে বিয়ের আগে থাকতে শিখলেই নিজেদের দোষগুণ নজরে আসে। একসঙ্গে থাকাকালীন যদি মনে হয় একে অপরের জন্য সঠিক, তাহলে তার জন্য বিয়ে করার প্রয়োজন হয় না।
পরস্পরের কাছাকাছি থাকা, একের অপরের সুখ-দুঃখে পাশে থাকাটাই শ্রেয়। বিয়ের পরও কে কতটা কার জন্য তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে নীনার।
ভিভিয়ানের সঙ্গে মাসাবার সম্পর্ক বেশ ভাল। নীনা সম্মানরক্ষার্থে যতটুকু কথা বলেন আর কি। অন্যদিকে পরে বিবেক মেহরাকে বিয়ে করেন নীনা।
মাসাবার বিবাহবিচ্ছেদের সময়ও তিনি মেয়েকে যথেষ্ট সাহস জুগিয়েছিলেন। প্রথমদিকে হতাশা ভুগলেও মেয়েকে সমর্থন করে গিয়েছেন।
তিনি বিশ্বাস করেন, "মানসিক অবসাদে কোনও সম্পর্কে হঠাৎ করে ঢুকে পড়া, মদ্যপান করা, কলগার্ল হয়ে যাওয়া, এসব আমি একেবারেই করিনি। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি।"
নিজের কঠিন যাত্রাপথে কোনও স্বামীর প্রয়োজন হয়নি তাঁর, বিয়ে করার প্রয়োজনবোধও করেননি সেই সময়। নিজের বাবাকেই পাশে পেয়েছিলেন নীনা। মাসাবাকে বড় করার জন্য সবটুকু কৃতিত্ব তিনি দিয়েছেন বাবাকে।