- Home
- Business News
- Other Business
- Crypto Investment tips-মোটা টাকা রিটার্নের আশায় ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগের ইচ্ছা, তাহলে অবশ্যই মেনে চলুন এই নিয়মগুলো
Crypto Investment tips-মোটা টাকা রিটার্নের আশায় ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগের ইচ্ছা, তাহলে অবশ্যই মেনে চলুন এই নিয়মগুলো
ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ মানেই মোটা টাকা প্রয়োজন নয়। মাত্র ১০০ টাকার বিনিময়েও ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করা যায়। প্রথমবার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত।
- FB
- TW
- Linkdin
ডিজিটাল কয়েন বা ডিডিটাল কারেন্সি নিয়ে বিভিন্ন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং ভারতে ক্রিপটো বিনিয়োগ নিয়ে যথেষ্ঠ উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, চলতি বছরে অনুষ্ঠিত শীতকালীন অধিবেশনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন এদেশে ডিজিটাল কয়েনকে কোনওভাবেই দেশীয় মুদ্রার স্বীকৃতি দেওয়া হবে না।
তবে একইসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভাল যে, ভারতে কিন্তু ক্রিপটোকারেনসি অবৈধ নয়। তাই যারা ক্রিপটোতে বিনিয়োগ করতে চান তাঁরা নির্ভয়ে সেই কাজটি করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের ক্রিপটো সম্বন্ধে কিন্তু স্বল্পবিস্তর একটা ধারনা রয়েছে। ডিজিটাল কারেন্সি বিষয়টা অনেকের কাছে বেশ ইন্টারেস্টিংও। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ক্লিকে এই বিষয় সম্বন্ধে ইচ্ছে হলেই ধারনা নেওয়া যায়। এবার আসা যাক এই ক্রিপটোতে বিনিয়োগের বিষয়। আপনি আপনার সাধ্যমত স্বল্প বিনিয়োগের মাধ্যমেই ক্রিপটোতে ট্রেডিং শুরু করতে পারেন।
বিশ্বের বিভিন্ন নাম-দামী দেশগুলো আজ ক্রিপটোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করে মালাামল হয়ে উঠছে। ভবিষ্যতে সেই তালিকায় আরও অনেক উন্নত দেশের নাম যুক্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জও আগের থেকে অনেকটা সহজ হয়ে উঠছে। তাই আপনার মনে যদি ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগের জন্য কোনও সুপ্ত বাসনা থেকে থাকে তাহলে সেটি আজই কার্যকর করে ফেলুন। কারন ক্রিপ্টোকারেন্সির জগতে গ্র্যান্ড এন্ট্রি নেওয়ার এটাই দুর্দান্ত সুযোগ।
ক্রিপ্টো করেন্সিতে চড়া ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও মানুষ ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগের প্রতি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। কারন ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করলে চড়া সুদের হারে রিটার্ন পাওয়ার দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ক্রিপ্টো কারেন্সির ক্রমবর্ধমান মূল্যই এই খাতে বিনিয়োগের জন্য মানুষকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে। ক্রিপ্টোতে ঘন ঘন উত্থান-পতন থাকলেও ভালো রিটার্নের হাতছানিই মানুষককে বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে থাকে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ২০১০ সালে যদি কেও ১০ হাজার ডলার মূল্যের বিটকয়েন কিনে থাকে তাহলে মাত্র ৭ বছর পরে সেই বিটকয়েনের দাম পৌঁছে যাবে ৬৬ কোটি ডলারে। অল্প সময়ে এই ধরনের মূল্য বৃদ্ধির প্রতি স্বাভাবিকভাবেই সকলে আকৃষ্ট হবে। অন্যদিকে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ১ কোটি বিটকয়েনের মূল্য ছিল ২৭৭৯ মার্কিন ডলার। বর্তমানে সেই মূল্য হয়েছে ৪৬ হাজার মার্কিন ডলার ভারতীয় মুদ্রার হিসাবে যার মূল্য ৩৪.৪৬ লাখ। তাই একটা কথা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগের বিকল্প সত্যিই আর কিছু নেই।
আপনি যদি ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে আপনার প্রথম কাজ হবে সঠিক অ্যাসেট ক্লাস নির্বাচন করা। এই মুহুর্তে বাজার ছেয়ে গেছে বিভিন্ন রকমের ক্রিপ্টো কারেন্সিতে। তাই বিনিয়োগের আগে ঠিক করতে হবে আপনি কোন ক্রিপ্টো কারেন্সিতে বিনিয়োগ করার কথা ভাবছেন। প্রথমবার বিনিয়োগের জন্য বিটকয়েন বা ইথারকে বেছে নেওয়াই ভাল হবে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগের আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে। সটি হল নিজের সুবিধা মত এবং প্রয়োজন মত একটি ট্রিপ টু অ্যাকশন সার্ভিস সাইট খুঁজে বের করা। স্মার্টফোনের যুগে এক ক্লিকেই মোবাইলে এই সাইটটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। সেই সঙ্গে ক্রিপ্টোতে এক্সচেঞ্জও শুরু করে দিতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে,প্রথমবার ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগের সময় ট্রিপ টু অ্যাকশন সার্ভিস সাইট খোঁজার সময় সবচেয়ে পুরনো, জনপ্রিয় এবং বহুল প্রচলিত অ্যাপটি ডাউনলোড করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
পছন্দ মত ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের সাইট পেয়ে গেল সেখানে কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলতে হবে। তারপরই আপনি অতি সহজেই আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ক্রিপ্টো কিনতে পারবেন। তবে এর জন্য় আপনাকে ভারতের যে কোনও একটি ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ সার্ভিসে সাইন আপ করে কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তারপরই ব্যাঙ্ক অ্যকাউন্ট থেকে টাকা ট্রান্সফার করে ক্রিপ্টো কিনতে পারবেন।
ক্রিপ্টোর মাধ্যমে আয় করার সুযোগও রয়েছে। অনেক ক্রিপটো এক্সেল রয়েছে যেখানে ক্রিপ্টো বিনিয়োগের পর আবার সেই ক্রিপ্টোর মাধ্যমেই আয় করতে পারবেন। এটা অনেকটা ক্রিপ্টো সেভংসের ওপর নির্দিষ্ট হারে সুদ পাওয়ার মতই ব্যাপার। আনি কোন ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করছেন তার ওপর নির্ভর করবে সুদের হার কেমন হবে। এই সুদের হার ১ শতাংশ থেকে ৭.৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগের সময় বিনিয়োগের পরিমান এমন হওয়া উচিত যেটা হারালে বা ক্ষতি হলে আপনার বিশেষ লোকসান হবে না। যারা মনে করেন ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগের জন্য মোটা অঙ্কের টাকার প্রয়োজন তাঁদের সেই ধারনা একেবারে ভুল। মাত্র ১০০ টাকা দিয়েও বিটকয়েনের ক্ষুদ্র অংশ কিনে রাখা যায়। ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করতে চাইলে প্রতিদিন ক্রিপ্টোর আপডেটের ওপর অবশ্যই নজর রাখুন। ক্রিপ্টো অবৈধ না হলেও ক্রিপ্টোর ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভিন্ন পরস্পর বিরোধী মতবাদ প্রায়ই প্রকাশ্যে আসে। আকর্ষণীয় রিটার্ন পাওয়ার আশাতে ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করছেন ঠিকই, তবে মনে রাখবেন একবার যদি ক্রিপ্টো ক্র্যাশ করে তাহলে এক নিমিষে সমস্ত বিনিয়োগ নষ্ট হয়ে যাবে। তাই স্বল্প মূল্য দিয়েই প্রাথমিকভাবে ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।