৩ মাসে ধরে ব্যাঙ্কে ঢুকছে না গ্যাসের ভর্তুকি, জানুন কেন
একধাক্কায় রান্নার গ্যাস বাড়ছে তো আবার কমছে এই নিয়েই নাজেহাল মধ্যবিত্ত। করোনার মহাসঙ্কট, তার উপর আবার লকডাউনে ফের হেঁশেলে কোপ পড়ল মধ্যবিত্তের। আপনার কি নজরে পড়েছে গত ৩ মাসের গ্যাসের ভতুর্কি আপানার ব্যাঙ্কে পৌঁছায় নি। আসল মহামারীর দাপটে সব খেয়াল বন্ধ হয়েছে আমজনতার। কিন্তু জেনে রাখুন ২০২০-র মে মাস থেকে ব্যাঙ্ক ঢুকছে না গ্যাসের ভতুর্কি, কিন্তু জানেন কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেনে নিন বিশদে।
| Published : Jul 31 2020, 02:12 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
করোনা আবহে লকডাউন নিয়ে নাজেহাল মধ্যবিত্ত। কারোরই কোনওদিকে খেয়াল নেইয সকলের এই মহামারী থেকে কীভাবে বাঁচা যায় তা নিয়ে মরিয়া। এর মধ্যেই রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি বন্ধ হয়েছে মে মাস থেকে।
২০২০ সালের মে মাস থেকেই ব্যাঙ্কে আসছে না ভতুর্কির টাকা। পরপর একটানা ৩ মাস সেই ভর্তুকির টাকা কারোরই ব্যাঙ্কে ঢোকেনি।
২০২০ সালের মে মাস থেকেই ব্যাঙ্কে আসছে না ভতুর্কির টাকা। পরপর একটানা ৩ মাস সেই ভর্তুকির টাকা কারোরই ব্যাঙ্কে ঢোকেনি।
গত ১ বছর ধরেই রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি কমানো হয়েছে। প্রতি সিলিন্ডার প্রতি ভর্তুকিও কম দিতে হয়েছ সরকারকে।
ধীরে ধীরে তা ১০০ টাকা করে কমে গিয়েছিল। ১৪.২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ৬৩৭ টাকা। যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৯৪ টাকা।
১২টি গ্যাসের জন্য ভর্তুকি দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ভর্তুকিবিহীন দামেই গ্যাস সিলিন্ডার কেনেন গাহকরা। পরে ভর্তুকির টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যায় গ্রাহকদের।
তবে বারোটার বেশি সিলিন্ডারের প্রয়োজন হলে তা বাজারের মূল্যেই কিনতে হয় তখন আর কোনও ভর্তুকি পান না গ্রাহকরা।
সেই বাজার দাম মূল্য অনুযায়ী অনেকটা কম হওয়াতে সরকার এখন প্রয়োজনীয় ভর্তুকি দিতে হচ্ছে না।
নির্দিষ্ট মূল্যের বেশি হলেই সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে ভর্তুকির ব্যবস্থা করে সরকার। কিন্তু সেই দাম যদি কমে যায়, তাহলে আর ভর্তুকির প্রয়োজন হয় না। এই কারণেই মে মাস থেকেই রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি দিচ্ছে না সরকার।
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। এই বর্ধিত দাম ভর্তুকীবিহীন গ্যাস সিলিন্ডারের ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র প্রযোজ্য।