মূল্যবদ্ধি ৭ শতাংশ ছাড়ানোর আশঙ্কা, কী পূর্বাভাস দিলেন বিশেষজ্ঞরা
করোনা আবহে দেশজুড়ে অগ্নিমূল্য বাজার। শীতের মুখে কষা মাংস খাওয়ার স্বপ্নে বাঁধ সেধেছে আলু-পেঁয়াজ। এতই দাম বাড়ছে যে, মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। আর এমন এক পরিস্থিতিতে দেশে মুদ্রাস্ফীতি কমার সম্ভাবনা খুবই কম। বরং তা আরও বাড়ার ইঙ্গিতই দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
- FB
- TW
- Linkdin
শীতের মুখে কষা মাংস খাওয়ার স্বপ্নে বাঁধ সেধেছে আলু-পেঁয়াজ। এতই দাম বাড়ছে যে, মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। অক্টোবার মাসেও মূল্যবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের উপরে থাকতে পারে বলে মত বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের। আর তাঁদের পূর্বাভাস মিলে গেলে এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় মাসে মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশের গন্ডি ছাড়াতে চলেছে।
অকাল বর্ষণ ও কোভিড লকডাউনের কারণে ফসল বুনতে দেরী হওয়ার জন্য এই মরশুমে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্য়ে সবজি বিশেষ করে পেঁয়াজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে নতুন ফসল বাজারে উঠতেও একটু দেরী হচ্ছে। তাই দেশজুড়ে অগ্নিমূল্য বাজার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিদেশ থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। শাকসবজির এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতির হারকে অনেকটা বাড়িয়ে তুলবে বলে আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সেপ্টেম্বরেও জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি বজায় ছিল। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে সেপ্টেম্বরে পণ্য-পরিষেবার খুচরো দরে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ৭.৩৪ শতাংশ। অগাস্ট মাসে মূল্যবদ্ধি হয়েছিল ৬.৬৯ শতাংশ। অক্টোবার মাসে মূল্যবৃদ্ধি বেড়ে দাড়িয়েছে ৭.৪০ শতাংশ।
অপরদিকে ত্রৈমাসিক মুদ্রা নীতি নির্ধারণে মূল্যবদ্ধিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। মধ্যমকালীন ভিত্তিতে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির দর ২ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে বেঁধে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা বেধে দিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
তার মধ্যে মদ্রাস্ফীতির ঘোরাফেরা করলে আরবিআই এর তরফে ঋণনীতি শিথিল করার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু অক্টোবর মাসেও যদিও মুদ্রস্ফীতি ৭ শতাংশের বেশি থাকে তবে রেপো রেট হ্রাসের সম্ভাবনা আরও কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।