- Home
- Business News
- Other Business
- লকডাউনে চাকরি খোয়ানোর ভয়, সহজেই ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিয়ে শুরু করুন নিজের ব্যবসা
লকডাউনে চাকরি খোয়ানোর ভয়, সহজেই ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিয়ে শুরু করুন নিজের ব্যবসা
করোনাভাইরাসের কারণে দেশে কর্মসংস্থানের প্রবল সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই যদি আপনি লকডাউনে নিজের চাকরি নিয়ে চিন্তিত থাকেন আর পাশাপাশি নিজের ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন, তবে মুদ্রা স্কিমের আওতায় আপনি সরকারের থেকে সর্বাধিক ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। ২০১৫ সালে শুরু হওয়া এই স্কিমটির কোনও গ্যারান্টি ছাড়াই ক্ষুদ্র ব্যবসায় ঋণ প্রদানের জন্য শুরু হয়েছিল। এই প্রকল্পের আওতায় যে কোনও ব্যক্তি তাঁর ব্যবসা শুরু করার জন্য ঋণ নিতে পারবেন। তবে জেনে নিন কীভাবে নিজের ছোট ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনি সরকারের থেকে ঋণ নিতে পারবেন। এই প্রকল্পের নাম হল প্রধাণমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা।
- FB
- TW
- Linkdin
প্রধাণ মন্ত্রী মুদ্রা যোজনা থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য আপনাকে ব্যবসায়ের পরিকল্পনাটি বিস্তারিত জানাতে হবে। এর জন্য আবেদনকারীকে একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে হবে। এছাড়াও, প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি ঋণ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে।
সাধারণ নথিগুলির পাশাপাশি, ব্যাংকের নথি, আপনার ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, প্রকল্পের প্রতিবেদন, ভবিষ্যতের আয় সম্পর্কিত নথিরও প্রয়োজন হতে পারে। যাতে প্রকল্পটি আপনার প্রয়োজনীয়তা জানতে পারে, এবং পাশাপাশি আপনি এই ঋণের দ্বারা কীভাবে উপকৃত হবেন বা ব্যবসায় আপনার লাভ কীভাবে বাড়বে তার একটি ধারণাও পাবেন।
এই ঋণের জন্য আবেদন করতে হলে কী কী করবেন। সবার আগে সিদ্ধান্ত নিন আপনি কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে চান। আবেদনকারী একাধিক ব্যাংক বেছে নিতে পারেন। ডকুমেন্ট সহ আবেদন ফর্মটি ব্যাংকে পূরণ করে জমা দিতে হবে। এর জন্য আপনাকে আবেদন ফর্মের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথিগুলি জমা দিতে হবে। ঋণের পরিমাণ, ব্যবসায়ের প্রকৃতি, ব্যাঙ্কের বিধি ইত্যাদির উপর নির্ভর করে নথির সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে।
মুদ্রা ঋণের আবেদন, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বা প্রকল্পের প্রতিবেদন, পরিচয় সম্পর্কিত নথি যেমন প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড ইত্যাদি অংশীদারি সম্পর্কিত দলিল, কর নিবন্ধকরণ, ব্যবসায় লাইসেন্স ইত্যাদি একাধিক নথি আপনাকে প্রস্তুত রাখতে হবে।
এড্রেস প্রুফ হিসেবে টেলিফোন বিল, বিদ্যুতের বিল-সহ আবেদনকারীরছবি, ব্যবসার যে সামগ্রী আপনি কিনতে চান, সেই সঙ্গে নিজের ও ব্যবসা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যের নথি দিতে হবে। দুই লক্ষ টাকার উপরে ঋণের ক্ষেত্রে গত দুই বছরের ব্যালান্স শিট এবং প্রজেক্টড ব্যালেন্স শিট জমা দিতে হতে পারে।
মুদ্রা ঋণের জন্য সরকার বা অন্য কোনও ব্যাংক বা আর্থিক সংস্থাকে মুদ্রা ঋণ দেওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদনের জন্য আপনাকে আপনার ব্যবসার পরিকল্পনা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি সম্পর্কিত সম্পূর্ণ তথ্য জমা দিতে হবে। আবেদনটি সঠিকভাবে পাওয়া গেলে, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান মুদ্রা ঋণ পাস করবে এবং আবেদনকারীকে মুদ্রা কার্ড সরবরাহ করা হবে।
মুদ্রা যোজনার চারটি বড় সুবিধা রয়েছে। সেগুলি হল, মুদ্রা ঋণের বিশেষ বৈশিষ্ট্য এটির কোনও নির্দিষ্ট সুদের হার নেই। বিভিন্ন ব্যাংক ঋণের জন্য বিভিন্ন হারে সুদ নিতে পারে। হারটি ব্যবসায়ের প্রকৃতি এবং এর সঙ্গে যুক্ত ঝুঁকি দ্বারা নির্ধারিত হয়। সাধারণত, সুদের হার বার্ষিক ১০ থেকে ১২ শতাংশ।
এই প্রকল্পের আওতায় গ্যারান্টি ছাড়াই ঋণ নেওয়া যেতে পারে। এর জন্য কোনও প্রসেসিং ফি প্রদান করার প্রয়োজন নেই। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। ঋণগ্রহীতাকে একটি মুদ্রা কার্ড দেওয়া হয়, যা ব্যবসায় প্রয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।
যে কোনও ব্যক্তি নিজের ব্যবসা শুরু করতে চাইলে এই প্রকল্পের আওতায় ঋণ নিতে পারবেন। এটির সাহায্যে যদি কেউ তার বিদ্যমান ব্যবসাটি প্রসারিত করতে চায় তবে তিনি এই প্রকল্পের মাধ্যমে এখন ঋণ পেতে পারেন। ঋণ শোধ করার ডিটেলস অনুযায়ী ভবিষ্যতে প্রয়োজনে আবারও ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন।
প্রকল্প সম্পর্কিত আরও তথ্যের জন্য এই ওয়েবসাইটে চেক করুন http://mudra.org.in/