- Home
- Business News
- Other Business
- ঋণের ওপর পুরো সুদ মকুব সম্ভব নয়, লকডাউন পর্বে ঋণ মোরেটরিয়াম নিয়ে রায় সুপ্রিম কোর্টের
ঋণের ওপর পুরো সুদ মকুব সম্ভব নয়, লকডাউন পর্বে ঋণ মোরেটরিয়াম নিয়ে রায় সুপ্রিম কোর্টের
লকডাউন পর্বে ঋণ মোরেটরিয়াম নিয়ে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল ঋণের কিস্তিতে ছাড় দেওয়া সম্ভব কিন্তু পুরো সুদ মকুম করা যাবে না। তবে জাতীয় অর্থনীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ককেই যাথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
- FB
- TW
- Linkdin
২০২০ সালে লকডাউনের সময় প্রায় ৬ মাসের সময়সীমার মধ্যে ব্যাঙ্ক ঋণের কিস্তি স্থগিত রাখার প্রকল্পে সুদে ছাড় পাওয়া যাবে কিনা - তা নিয়ে মঙ্গলবার রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে ঋণের কিস্তিতে স্থগিত রাখা সম্ভব হলেও সুদে সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে সুদে সম্পূর্ণ ছাড় দিলে সমস্যায় পড়বে ব্যাঙ্কগুলি। কারণ ব্যাঙ্কগুলিকেও শেয়ারহোল্ডার, বিনিয়োগকারী ও অন্যান্য গ্রাহকদের সুদ দিতে হয়। আর সেই কারণেই ব্যাঙ্ক ঋণের কিস্তিতে সুদে ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়।
সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়েছিলে কেন্দ্রীয় সরকারে ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ঋণের কিস্তি স্থগিত নীতিতে হস্তক্ষেপ করতে চায় না। একই সঙ্গে ঋণে সুদে ছাড় দেওয়ার সীমা বাড়ানোর আবেদনও নাকচ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে ঋণ গ্রহিতার থেকে যৌগিক সুদের হিসেবে আদায় করা অর্থ ফেরত দেওয়ার পরিবর্তে পরবর্তী প্রদেয় কিস্তির সঙ্গে মিলিয়ে দিতে। জরিমানা সুদের ওপর কোনও সুদ থাকে না।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, স্থাগিতের সময়কালে সুদ বা যৌগিক সুদ বা জরিমার সুদের ওপর কোনও সুদ থাকবে না। ঋণের পরিমাণ পরবর্তী কিস্তিতে সামঞ্জস্য করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে জাতীয় অর্থনীতিক জন্য কোনটা ভালো তানিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রকল্পে দুর্ণীতির অভিযোগ না ওঠা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট তাতে হস্তক্ষেপ করবে না। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে প্রকল্পের সময়সীমার মধ্যে যৌগিক হারে সুদ নিতে পারবে না ব্যাঙ্ক।
কোভিড পরিস্থিতিতে দেশের সাধারণ মানুষ ও সংস্থাগুলিকে সুবিধে দিতে ব্যাঙ্ক ঋণের কিস্তি পরিশোধে ৬ মাস পিছিয়ে দেওয়ার মোরেটরিয়াম ঘোষণা করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু ওই মোরেটরিয়াম পর্বে সুদ দেওয়ার ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল ঋণের কিস্তি পরিশোধের সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়া হল। কিন্তু কিস্তার সুদ দিতে হবে। তারপরই কেন্দ্রীয় সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে।