- Home
- Business News
- Other Business
- আম্বানিদের মতো কোটিপতি হতে চান? আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে মেনে চলুন এই উপায়গুলি
আম্বানিদের মতো কোটিপতি হতে চান? আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে মেনে চলুন এই উপায়গুলি
- FB
- TW
- Linkdin
সমাজে যুবক থেকে বয়স্ক সব মানুষই নিজের আর্থিক উন্নতি কামনা করেন। কিন্তু, বেশ কিছু কারণবশত তাঁরা এই উন্নতি করতে পারেন না। অনেক সময়ই আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেক বেশি হয়ে যায়। তার ফলে জীবনে দেখা দেয় সমস্যা।
অনেক সময় দেখা গিয়েছে কোনও ব্যক্তির আয় যথেষ্টই রয়েছে। কিন্তু, তিনি একটি টাকাও জমাতে পারছেন না। পরিবারে কোনও অভাব না থাকলেও টাকা জমানো তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। খরচ খালি হয়েই চলেছে। কিছুতেই ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স আর বাড়ছে না।
আবার অনেক সময় দেখা যায় টাকা বেশ ভালোই ছিল, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই টাকা আর নেই। ধার দেনায় একেবারে জর্জরিত। যিনি একসময় আরাম দায়ক জীবন কাটিয়েছেন আজ তাঁর জীবনে নেমে এসেছে ঘোর অভাব, অনটন। এমন ঘটনা প্রায়ই আমাদের চারপাশে দেখতে পাওয়া যায়।
দেখা যায় কোনও ব্যক্তি হয়তো আপনার পাড়ার মধ্যেই সবথেকে ধনী ছিলেন। গাড়ি-বাড়ি সব করেছিলেন। টাকার কোনও গুরুত্বই ছিল না তাঁর জীবনে। সব সময় টাকার গরম দেখাতেন। কিন্তু, একটা সময় তিনি একেবারে ধার দেনায় ডুবে ভিখিরির মতো হয়ে গিয়েছেন। একে একে সব কিছুই তাঁর শেষ হয়ে গিয়েছে। আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। চলে গিয়েছে সবই। এখন তিনি পুরোপুরি নিঃস্ব।
অনেক সময় আবার দেখা যায় এমন ব্যক্তিকে যাঁর হয়তো কিছুই ছিল না। খুব কষ্ট করে বড় হয়েছেন। সব সময় পরিবারে অভাব লেগেই ছিল। কিন্তু, নিজের দক্ষতায় তিনি বড় হয়েছেন। আর তাঁর হাত ধরেই পরিবারে ফিরেছে আর্থিক স্বচ্ছলতা। একে একে গাড়ি বাড়ি সবই করেছেন তিনি। তাঁর জীবনে এখন কোনও কিছুই অভাব নেই। আসলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চললেই লাখপতি থেকে কোটিপতি হতে পারবেন আপনিও। দেখুন সেই উপায়।
প্রথমত, ঋণ, ইএমআই এসব থেকে দূরে থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, নিজের স্কিল বা জ্ঞান বাড়ানোর জন্য টাকা ইনভেস্ট করুন। যেখানে সেখানে টাকা ইনভেস্ট করলে হবে না। তৃতীয়ত, এমন জায়গায় টাকা ইনভেস্ট করুন যেটা আপনাকে অ্যাসেট তৈরি করতে সাহায্য করবে। এমন জায়গায় করবেন না যার কয়েক দিন পরই আর কোনও কদর থাকবে না।
লোন, ইএমআই এসব থেকে দূরে থাকতে হবে। তবে প্রয়োজন হলে তো নিতেই হবে। কিন্তু, দেখবেন অযথা এগুলি যেন নেওয়া না হয়। আসলে অনেকেই ক্রেডিট কার্ড তৈরি করেন। আর সেখান থেকে মনের ইচ্ছেতে খরচ করেন। তা একেবারেই ঠিক নয়। ক্রেডিট কার্ড থেকে খরচ করলে তা খেয়াল রাখুন। তারপর অবশ্যই সেই ঋণ মিটিয়ে দিন। তাহলে আপনার চিন্তা থাকবে না। আর ঋণের বোঝাও আপনার মাথার উপর চাপবে না। ব্যাঙ্ক আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সুদের হারে লোন দেবে এবং সেই লোনের ইএমআই আপনাকে প্রতি মাসেই দিয়ে যেতে হবে। যখন আপনার আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল থাকবে তখনই আপনাকে ব্যাঙ্ক লোন দেবে। কিন্তু তারপর আপনার কোনও সমস্যা হলে ব্যাঙ্ক আর এগুলি দেখবে না। তাই ইএমআই দিতে সমস্যআ হবে না এমন বিষয় আগে থেকেই ঠিক করে রাখুন।
এর থেকে বাড়ি কেনার জন্য ঋণ নিতে পারেন। তবে সেই ইএমআইয়ের টাকা কোথা থেকে আসবে তা আগে থেকেই ঠিক করে নিন। না হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ঋণ নেওয়ার আগে সব দিক বিচার করে নিন। সবার আগে দেখে নিন আপনার সংসার খরচের বিষয়টি। তারপরই তা নিন। না হলে মাথায় বাড়তি সমস্যার বোঝা চাপতে থাকবে। এছাড়া বাড়ি কিনে তা ভাড়া দিয়ে দিতে পারেন। তাহলে সেখান থেকেও আপনার ইএমআইয়ের টাকা উঠে আসবে।
সব সময় নিজের স্কিল বা দক্ষতা এবং জ্ঞান বৃদ্ধির দিকে নজর দিন। এক্ষেত্রে বই পড়া, বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো আপনি করতে পারেন। তাতে আপনার উন্নতি হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি যদি আই টি সেক্টর দেখেন তাহলে দেখবেন যারা নিজের দক্ষতা প্রতিদিন বৃদ্ধি করছেন তাদেরই প্রমোশন তাড়াতাড়ি হচ্ছে। তাই সব সময় কোথায় ইনভেস্ট করবেন তা ভেবে দেখবেন। কারণ যেখানে ইনভেস্ট করবেন সেখানে যেন আপনার লাভ হয়। কোনও লোকসান যেন না হয়। না হলেই তৈরি হবে সমস্যা। টাকা আছে বলে অনেকেই কদর করেন না। যেখানে সেখানে ইনভেস্ট করেন। এটা করবেন না।
অ্যাসেট বলতে বোঝায় যেখানে আপনি একবার ইনভেস্ট করলে তা থেকে সবসময় প্রফিট পাবেন। এমনকী, আপনি ঘুমিয়ে থাকলেও টাকা আপনার পকেটে ঢুকতে থাকবে। যেমন- শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট, মিউচুয়াল ফান্ডে ইনভেস্ট, ইউটিউব ভিডিও ইত্যাদি। এগুলি থেকে আপনার আয় হতেই থাকবে। এছাড়া সোনাতেও ইনভেস্ট করতে পারেন। তেমন হলে সোনার বাট কিনে রাখতে পারেন। কারণ এর দাম কখনও কমবে না তাই যখনই দাম বেশি হবে তখনই তা বেচে দিতে পারেন। তার ফলে আপনার টাকাও চলে আসবে। আবার দাম কমলে সেই টাকা দিয়ে নতুন সোনা কিনে নিন।