ফের উর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফ, লাগাম ছাড়া সংক্রমণ উত্তর ২৪ পরগণায়
- FB
- TW
- Linkdin
কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের দাপট আগের থেকে কমলেও রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ফের বেড়েছে। এখনও মৃত্য়ু হচ্ছে বাংলার ৬ জেলায়। ফের আগের থেকে বেড়েছে সেই সংখ্যাটা।
মৃত্যুর লিস্টে সেই ৬ জেলার শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা। যদিও মৃত্য়ুর অভিশাপ মুক্ত এখনও হতে পারেনি কালিংপং, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা। মৃত্যু শূন্য দার্জিলিং।
বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে করোনা নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১০ জন। এর মধ্যে নদিয়া ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, কালিংপং, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় ১ করে প্রাণ হারিয়েছেন। শহরে ভ্য়াকসিনের সংখ্য়া যত বাড়বে, ততোই আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমবে বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।
বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, কলকাতায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯ জন থেকে বেড়ে ৭৭ জন। এবং এখানে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ৩১০, ৭১৬ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৪৯৭৬ জন।
এবারও রাজ্যের সব জেলার থেকে অনেক বেশি সংখ্যক সংক্রমণ নিয়ে ফের শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগণা। স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগণা একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১১৬ জন। দার্জিলিং একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪জন।
আগে একাধিকবার মৃত্যু শূন্য হয়েও ফের মৃত্য়ু কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণায়। বিশেষ করে সংক্রমণ নিয়ে একভাবে সবার উপরে থাকায় উত্তর ২৪ পরগণা নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে। চিন্তায় স্বাস্থ্য ভবন।
বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে বাংলায় করোনা আক্রান্ত ৮২৬ জন । যা আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এই অবধি মোট অ্য়াক্টিভ আক্রান্তের সংখ্য়া ১০,৭৪৫ জন।
তবে এই মুহূর্তে কোভিড জয়ীর সংখ্যা বেড়েছে। নিঃশ্বাস নিচ্ছে হাসপাতাল গুলি। স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৩৮ জন। বাংলায় কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫, ০১,৯২৫ জন।
বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারী সুস্থতার হার পেরিয়ে ৯৭ শতাংশ হয়েছিল। তারপর দ্বিতীয় তরঙ্গে ফের পতন হয়। মার্চের পর থেকে। তবে এরপর অভিশপ্ত প্রায় ৭ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। রবিবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে সুস্থতার হার একদিনে ৯৮.১১ শতাংশ।