- Home
- India News
- COVID Losses Ability: সংক্রমিত করা শক্তি ৯০ শতাংশ হারিয়েছে করোনাভাইরাস, প্রথম ৫ মিনিট ক্ষতিকারক
COVID Losses Ability: সংক্রমিত করা শক্তি ৯০ শতাংশ হারিয়েছে করোনাভাইরাস, প্রথম ৫ মিনিট ক্ষতিকারক
সংক্রমিত করার শক্তি হারাচ্ছে করোনাভাইরাস। সদ্যো প্রকাশিক একটি গবেষণা রিপোর্টে তেমনই দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে করোনাভাইরাস বায়ুবাহিত হওয়ার মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে মানুষদের সংক্রমিত করার ক্ষমতা প্করায় ৯০ শতাংশ হারিয়ে ফেলেছে। তবে বায়ুতে আসার প্রথম পাঁচ মিনিটের মধ্যেই করোনাভাইরাস ক্ষতি করতে পারে। বিশ্বের প্রথম সিমুলেশন অনুসারে এই ভাইরাসটি নিঃশ্বাসের সঙ্গে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে আর বেঁচে থাকে। বিশেষজ্ঞরা করোনাভাইরাসটি কতক্ষণ বাতাসে বেঁচে থাকতে পারে তাও অনুমান করার চেষ্টা করছেন। তবে তাঁরা বলেছেন এখনও মাস্ক পরা আর নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা জরুরি।
| Published : Jan 12 2022, 07:59 PM IST / Updated: Jan 12 2022, 09:12 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
করোনাভাইরাস শক্তি হারাচ্ছে। আরও একটি গবেষণায় তেমনই দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে ভাইরাসটি বাতাসে ছড়িয়ে পড়ার ২০ মিনিটের মধ্যে মানুষদের সংক্রমিত করার ক্ষমতা ৯০ শতাংশ হারিয়ে ফেলেছে।
ব্রিস্টলের অ্যারোসোল রিসার্চ সেন্টার গবেষণায় বলা হয়েছে স্বল্প পরিসরে কোভিড সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তাই সংক্রমণ প্রতিরোধে মাস্ক পরা ও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে করোনাভাইরাস যতক্ষণ বাতাসে থাকবে ততই বেশি সংক্রামকতার ক্ষতি হবে। যেখানে বায়ু চলাচল বেশি বা স্বাভাবিক হয় সেখানে ভাইরাসটি কম প্রভাব ফেলতে পারে বলেও গবেষণা বলা হয়েছে।
ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালোসল রিসার্চের প্রধান গবেষক অধ্যাপক জোনাথন রিড বলেছেন, দুটি বা একাধিক মানুষ যখন কাছাকাছি থাকে তখন সংক্রমণ ছড়ানোর আদর্শ সময়।
অধ্যাপক আরও বলেছেন, বর্তমানে অনেকেই বদ্ধ ঘরে থাকে। সেখানেই সংক্রমণ বেশি ছড়ায়। তবে ফাঁকা জায়গাতেও সংক্রমণ যে ছড়াবে না এমন নিশ্চয়তা তিনি দেননি। সেই জন্য তিনিও ভিড় এড়িয়ে যাওয়া ও মাস্ক পরার ওপর জোর দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞেক কথায় মানুষ যখন একে অপরের থেকে কিছুটা দূরে দূরে থাকে অ্যারোসলই শুধু কম হয় না। দূরে দূরে থাকার জন্য ভাইরাসটিও সংক্রমিত করার শক্তি অনেকটাই হারিয়ে ফেলে। বাতাসে ভাইরাসটি কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে তার দিকেও নজর দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষণায় বলা হয়েছে কোভিড-১৯ কণাগুলি উষ্ণ, আর্দ্র, কার্বন ডাই অক্সাইড সমৃদ্ধ ফুসফুস ছেড়ে যাওযার সঙ্গে তারা বাতাসের সংস্পর্শে আসার পরে দ্রুত জলশূন্য হতে শুরু করে। এই আর্দ্রতা হ্রাসই মানুষের কোষগুলিকে সংক্রমিত করার ক্ষেত্রে অকার্যকর হয়ে পড়ে।
বর্তমান ওমিক্রনের কারণে দ্রুত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। বিশ্বের অধিকাংশ গবেষকই বলছেন করোনাভাইরাসের শক্তি আগের তুলনায় অনেকটাই কমে গিয়েছিল।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে গত দু বছর ধরে লড়াই করছে গোটা বিশ্ব। মহামারির কমবেশি প্রভাব বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই পড়েছে। করোনাযুদ্ধে সবথেকে বড় হাতিয়ার হল টিকাঅভিযান।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে পিছিয়ে পড়াদেশগুলিতে টিকার হার অত্যান্ত কম। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বিশেষজ্ঞদের কথায় করোনার মাস্ক পরা আর নিরাপদ শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলা এখনও জরুরি।