কীভাবে স্পিন সহায়ক খটখটে উইকেট সাফল্য পাবেন ব্যাটসম্যানরা, উপায় জানালেন আজহার
চেন্নাইয়ের চিপকের পর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম। দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টের উইকেট স্পিনারদের স্বর্গরাজ্য ছিল, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। পিচ নিয়েও উঠছে নানা বিতর্ক। তবে উইকেট স্পিন সহায়ক হলেও, ব্য়াটসম্যানদের টেকনিক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তবার সবার থেকে অন্য পথে হেঁটে, এমন স্পিন সহায়ক খটখটে উইকেটে ব্যাটসম্যানদের সাফল্য পেতে কী করা উচিৎ, সেই সন্ধান দিলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহার উদ্দিন।
- FB
- TW
- Linkdin
দুই দিনের থেকেও কম সময়ে শেষ হয়ে গিয়েছে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের পিঙ্ক বল টেস্ট। ভারতীয় স্পিনারদের ছোবলে কুপকাত হয়েছে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্য়ানদের। প্রথম ইনিংসে স্পিন অস্ত্রে ঘায়েল হয়েছে ভারতীয়রা।
মোতেরাতে দুই ইনিংসে ইংল্যাবন্ড দল করেছে ১১২ ও ৮১। ভারতীয় দলও প্রথম ইনিংসে অল আউট হয়েছে ১৪৫ রান। ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজে ২-১ এ এগিয়ে গিয়েছে ভারতীয় দল।
তবে পিচ না নানা প্রশ্নের মধ্যেই ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন তুলে ধরেছেন অন্য একটি দিক। এমন স্পিন সহয়াক উইকেটে রান পেতে হলে ব্যাটসম্যানদের কী করা উচিৎ তা সোস্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন আজহার।
আজহার লিখেছেন,'আমদাবাদ টেস্টে ব্যাটসম্যানেদের ব্যর্থতা দেখে হতাশ। এই ধরনের খটখটে পিচে যেখানে বল ঘোরে, সেখানে সাফল্য পাওয়ার রাস্তা হল শট নির্বাচন এবং পায়ের সঞ্চালন। সেখানে ব্যাটসম্যানেরা স্পাইক লাগানো বুট পরে কেন ব্যাট করতে নামছে, তা দেখেই অবাক হয়েছি। রবার সোলের জুতো পরে এ ক্ষেত্রে ব্যাট করলে ক্রিকেটারের সমস্যা হয় না।'
এছাড়াও আজহার আরও একটি ট্যুইটে লিখেছেন,'কঠিন পিচে রবারের সোলের জুতো পরে অনেক ব্যাটসম্যানকেই আমি দুর্দান্ত সাফল্য পেতে দেখেছি। তর্কের খাতিরে অনেকে বলতেই পারেন, এ ক্ষেত্রে রান নেওয়ার সময় পা পিছলে পড়ে যেতে পারে ব্যাটসম্যানেরা। এর উত্তরে বলতে পারি, উইম্বলডনে সব টেনিস খেলোয়াড় কিন্তু রবারের সোলের জুতো পরেই খেলেন।'
নিজের বক্তব্যের সমর্থনে আরও একটি ট্যুইটে আজহার লেখেন,'ভারতীয়দের মধ্যে এ ভাবে সাফল্য পাওয়া ব্যাটসম্যানেদের মধ্যে রয়েছেন সুনীল গাওস্কর, মহিন্দর অমরনাথ, দিলীপ বেঙ্গসরকরেরা। সফররত ক্রিকেটারদের মধ্যে অতীতে সফল হতে দেখেছি স্যর ভিভিয়ান রিচার্ডস, মাইক গ্যাটিং, অ্যালান বর্ডার, ক্লাইভ লয়েড ও আরও অনেককেই।'
পিচ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে আজহার যে দিকটি তুলে ধরেছে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। আগামি গিনে তা ব্যাটসম্যানরা মেনে চলেন কিনা এখন সেটাই দেখার।