- Home
- Sports
- Cricket
- মানসিক অবসাদের সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিলেন বিরাট, কার পরামর্শে নিজেকে ফিরে পেয়েছিলেন কোহলি
মানসিক অবসাদের সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিলেন বিরাট, কার পরামর্শে নিজেকে ফিরে পেয়েছিলেন কোহলি
- FB
- TW
- Linkdin
ইংল্যান্ডের প্রখ্যাত ধারাভাষ্যকার মার্ক নিকোলাসের ‘নট জাস্ট ক্রিকেট’ পডকাস্ট-এ নিজের সম্পর্কে এমন অজানা তথ্য তুলে ধরেছেন বিরাট। সেখানেই বিরাট জানান তিনিও মানসিক অবসাদের শিকার হয়েছিলেন।
২০১৪ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে বিরাটের ব্যর্থতা তার জীবনে সব থেকে খারাপ ও শিক্ষনীয় সময় ছিল। । ওই সফরে পাঁচ টেস্টে কোহলির স্কোর ছিল যথাক্রমে ১, ৮, ২৫, ০, ৩৯, ২৮, ০, ৭, ৬ এবং ২০। ১০ ইনিংসে তার রানের গড় ছিল মাত্র ১৩.৫০।
এমন হতাশাজনক পারফরমেন্সের পর মনসিক অবসাদ বিরাটকে গ্রাস করেছিল। সাক্ষাৎকারে বিরাট জানান,'হ্যা, সেসময় নিজেকে পৃথিবীর সবথেকে একা ব্যক্তি বলে মনে হতো। ঘুম থেকে ওঠার পর মনে হতো রান করতে পারব না। যা একেবারেই ভালো অনুভূতি নয়। সমস্ত ব্যাটসম্যানই কখনও না কখনও এমন অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। যখন তাঁদের নিয়ন্ত্রণে আর কিছু থাকে না। অত্যন্ত কষ্টকর সময়টা।'
কোহলি জানান, 'এই বিষয় থেকে কীভাবে মুক্তি মিলবে তা বুঝতে পারা যায় না। এমন অবস্থায় পড়েছিলাম, যখন আমি কোনো কিছুই করতে পারছিলাম না। মনে হতো, আমি পৃথিবীর সবথেকে একা ব্যক্তি। সেই সময় আমার প্রয়োজন ছিল পেশাদারি সহায়তার।'
কোহলি আরও সংযোজন করেন, 'এমন একজনের প্রয়োজন ছিল যে আমাকে তার সময়টা উজাড় করে দেবে। যাঁর কাছে যে কোনও সময় নির্দ্বিধায় বলা যাবে- আমি কি অনুভব করছি। ঘুমোনো কঠিন হয়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করত না।'
কীভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন বিরাট কোহলি তও জানিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। দেশে ফিরে সচিন তেন্ডুলকরের শরণাপন্ন হয়েছিলেন বিরাট। সচিনের সঙ্গে কয়েকটা সেশন করার পর নিজের ভুল বুঝতে পেরেছিলেন বিরাট। টেকনিক্যাল সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি মানসিকভাবে বিরাটকে চাঙ্গা করেছিলেন সচিন।
পরের অস্ট্রেলিয়া সফরেই রানে ফেরেন বিরাট। তাঁর ব্যাটে রানের খরা কেটে আসে রানের সুনামি। অজিদের বিরুদ্ধে গোটা টেস্ট সিরিজে ৬৯২ রান করেন তিনি। ২০১৮ সালের ইংল্যান্ড সফরে কোহলি ৫ ম্যাচে ৫৯.৩০ গড়ে সংগ্রহ করেন সিরিজের সর্বোচ্চ ৫৯৩ রান।
তবে মানসিক অবসাদ যে ভয়ঙ্কর একটা সমস্যা তা মেনে নিয়েছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন। তিনি চান বিশেষজ্ঞের সাহায্যে এই সমস্যা দূর করা হোক।