- Home
- Sports
- Cricket
- ২২ গজে সবথেকে বেশি গতিবেগে করা ১০টি আগুনে ডেলিভারি, আইপিএলের প্রাক্কালে জেনে নিন আপনিও
২২ গজে সবথেকে বেশি গতিবেগে করা ১০টি আগুনে ডেলিভারি, আইপিএলের প্রাক্কালে জেনে নিন আপনিও
- FB
- TW
- Linkdin
শেন বন্ড-
ক্রিকেট ইতহাসে সবথেকে জোরে বোলারের তালিকায় ১০ নম্বরে রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলার শেন বন্ড। তার আগুনে বলের কথা আমাদের সকলেরই জানা। কেরিয়ার খুব দীর্ঘ না হলেও তিনি যথেষ্ট ভীতি তৈরি করেছিলেন ব্যাটসম্যানদের মনে। দ্রুত গতি বোলিংয়ের জন্য পরিচিত ছিলেন তিনি। কিউইদের অন্যতম ম্য়াচ উইনার ছিলেন তিনি। শেন বন্ড ২০০৩ বিশ্বকাপে ১৫৬.৬ কিলোমিটার গতিতে বল করেছিলেন।
মহম্মদ সামি-
এই তালিকায় ৯ নম্বরে পাকিস্তানের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ সামি। নিজের কেরিয়ারে খ্যাতির পাশাপাশি নানা সময়ে নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন এই ফাস্ট বোলার। তিনি গতি ও সুইংয়ের জন্য পরিচিত ছিলেন। ২০০৩ সালে শারজায় অনুষ্ঠিত একটি ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনি ১৫৬.৭ কিলোমিটার গতিতে বল করেছিলেন। যার সৌজন্যে তিনি রেকর্ড বুকে নাম লেখান।
মিচেল জনসন-
অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ফাস্ট বোলার মিচেল জনসনকে গতির রাজা বলা হয়। ক্রিকেট ইতিহাসে সবথেকে জোরে বল করার তালিতায় অষ্টম স্থানে রয়েছেন তিনি। ২০১৩-১৪ অ্যাসেজ সিরিজে অসাধারণ ফর্মে ছিলেন এবং তিনি ১০ ইনিংসে মোট ৩৭টি উইকেট নিয়েছিলেন। যা সকলের স্মরণে রয়েছে। এই সিরিজের মেলবোর্নের পিচে তিনি ঘণ্টায় ১৫৬.৮ কিলোমিটার বেগে বল করেছিলেন।
ফিডেল এডওয়ার্ড-
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অনেক দুর্দান্ত ফাস্ট বোলার ছিলেন যারা তাদের গতি দিয়ে প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানদের যুগে যুগে সমস্যায় ফেলেছেন। ফিডেল এডওয়ার্ড এর ক্রিকেট কেরিয়ার ছোট হলেও ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৫৭.৭ কিলোমিটার গতিতে বল করেছিলেন। সেই ডেলিভারির সৌজন্য়েই এই তালিকায় সপ্তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন ক্যারেবিয়ান পেসার।
অ্যান্ডি রবার্টস-
ক্রিকেট ইতহাসে একের পর এক কিংবদন্তী পেস বোলার উপহার দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুর্দান্ত ফাস্ট বোলারদের মধ্যে অন্যতম অ্যান্ডি ছিলন রবার্টস। সেই সময় ক্যারেবিয়ান দলের অন্যতম সেরা ম্য়াচ উইনার ছিলেন তিনি। কেরিয়ারের দ্রুততম বলটি তিনি করেছিলেন ঘন্টায় ১৫৯.৫ কিলোমিটার বেগে। যার সুবাদে তিনি এই তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন।
মিচেল স্টার্ক-
দ্রুততম বলের নিরিখে পঞ্চম স্থানেও অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেস বোলার মিচেল স্টার্ক। গতি ও ইয়র্কারের জন্য বিখ্যাত তিনি। বর্তমানে বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যাটসম্য়ানদের সমস্য়ায় ফেলেছেন অজি পেস ব্য়াটারি। ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচে ১৬০.৪ কিলোমিটার গতিতে রস টেলরকে বোল্ড করেছিলেন স্টার্ক। সেই ডেলিভারি রেকর্ড বুজে জায়গা করে নিয়েছে।
জেফ থমসন-
বিশ্বের সবথেকে দ্রুত ডেলিভারির তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে আরও এক অস্ট্রেলিয়াক তারকা পেস বোলার। জেফ থমসন কতটা ভয়ঙ্কর ছিলেন তা ক্রিকেট প্রেমিদের সকলের জানা। সেই সময়কার ব্যাটসম্যানরাও জেফ থমসনের আগুনে বোলিং সম্পর্কে ধারণা রয়েছে। একাধিকবার তার বলে আহত হয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। ১৯৭৫ সালে তার দ্রুততম বলটি করেছিলেন ১৬০.৪ কিলোমিটার গতিতে।
শন টেইট-
বিশ্বের দ্রুততম বলের নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আরও অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার। খুব দীর্ঘ দিন ক্রিকেট না খেললেও এই অজি ফাস্ট বোলার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিন ফরম্যাটেই খেলেছেন। তার আগুনে বোলিং সেই সময় সমস্য়ায় ফেলেছিল বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্য়াটসম্য়ানকে। নিজের কেরিয়ারে ১৬১.১ কিলোমিটার বেগে বল করে রেকর্ড বুকে জায়গা করে নিয়েছেন।
ব্রেট লি-
এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ও কিংবদন্তী ফাস্ট বোলার ব্রেট লি। অজি স্পি়ড স্টার ব্রেট লি সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছুই নেই। গতি ও সুইয়ের জন্য সঙ্গে কাঁটার মত ইয়র্কারের জন্য বিখ্যাত ছিলেন ব্রেট লি। ২০০৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচে ১৬১.১ কিলোমিটার বেগে বল করেছিলেন অজি পেসার। যেই ডেলিভারি রেকর্ড বুকে জায়গা করে নিয়েছে।
শোয়েব আখতার-
ক্রিকেট ইতিহাসে সবথেকে দ্রুত বোলারের তালিকায় একবারে সবথেকে উপরে অর্থাৎ ১ নম্বরে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার শোয়েব আখতার বিশ্বের দ্রুততম বলটি করেছিলেন। বলের গতির জন্য তাকে ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’-ও বলা হয়ে থাকে। ২০০৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি ঘন্টায় ১৬১.৩ কিলোমিটার বেগে বল করেছিলেন। যা এখনও রেকর্ড।