'রবি শাস্ত্রী এমন ক্রিকেটার যার কোনও প্রতিভা ছিল না', কেন এমন মন্তব্য কপিল দেবের
১৯৮৩ সালে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন বর্তমান ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ রবি শাস্ত্রী। যদিও ফাইনালে প্রথম একাদশে ছিলেন না শাস্ত্রী। যদিও ভারতের হয়ে দীর্ঘ দিন ক্রিকেট খেলেছেন রবি শাস্ত্রী। কিন্তু বর্তমান ভারতীয় দলের কোচ প্রসঙ্গে বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিল দেব ললেন, 'রবি শাস্ত্রীর কোনও প্রতিভা ছিল না'।
- FB
- TW
- Linkdin
ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের অধিনায়ক কপিল দেব। ভারতীয় ক্রিকেটে তার মন্তব্যের মর্যাদাই আলাদা। এবার একদা তার সতীর্থ ও বর্তমান ভারতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রীকে নিয়ে মুখ খুললেন কপিল দেব।
২০১৭ সালে একটি বউ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কপিল দেব। সেখানেই সাংবাদিকদের তপ্রশ্নের উত্তরে বলেন, রবি শাস্ত্রীর কোনও প্রতিভাই ছিল না।
কপিল বলেন,'শাস্ত্রী এমন একজন ক্রিকেটার যার কোনও প্রতিভা ছিল না। কিন্তু ভারতের হয়ে দীর্ঘ দিন খেলেছে। এটা প্রশংসনীয়। মাঠে চমৎকার ঘটানোর ক্ষমতা ছিল ওর।'
এছাড়া বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক বলেন,'দুই ধরনের ক্রিকেটার আছে। কেউ হয় প্রচণ্ড প্রতিভাবান অথচ নিজেকে মেলে ধরতে পারে না। কেউ কেউ প্রতিভা নিয়ে আসে না, অথচ বহু দিন ধরে খেলে যায়।'
এছাড়াও কপিল দেব বলেন,'শাস্ত্রীর মধ্যে ভাল কিছু করার জেদ ছিল। দলের সম্পদ ছিল ও। আমরা বলতাম ও যদি ৩০ ওভার খেলে ১০ রান করে, তাতেও কোনও ক্ষতি নেই। ৩০ ওভার খেলাই বিশাল ব্যাপার। বল পুরনো হয়ে গেলে তখন রান করাও সহজ হয়ে যায়।'
রবি শাস্ত্রীর সমালোচনা নয়, প্রশংসা করতে গিয়েই এমন মন্তব্য করেছেন কপিল দেব। শাস্ত্রীর কিছু করে দেখানোর ইচ্ছে ও অদম্য জেদেরও প্রশংসা করেন কপিল।
কপিল দেব রবি শাস্ত্রীর প্রশংসা করে আরও বলেন,'আমি শাস্ত্রীকেও বলেছি যে ওর কোনও প্রতিভা নেই। সেই জন্যই আমি ওর প্রশংসা করি। খুব ভাল অ্যাথলিটও নয় ও। কিন্তু ভালো পারফরমার'।
১৯৮৫ সালে বেনসন অ্যান্ড হেজেসের মতো বিশ্ব কাপের মানের প্রতিযোগিতয় ভারতে শুধু চ্যাম্পিয়ন করাই নয়, ম্যান অব দ্যা সিরিজও হয়েছিলেন রবি শাস্ত্রী।
নিজের কেরিয়ারে ৮০ টি টেস্টে রবি শাস্ত্রী করেছেন ৩৮৩০ রান ও উইকেট নিয়েছেন ১৫১টি। একইসঙ্গে ওয়ান ডে ক্রিকেটে ১৫০টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। রান করেছেন ৩১০৮ ও উইকেট নিয়েছেন ১২৯টি।
ভারতীয় দলের কোচ হিসেবেও যথেষ্ট সফল রবি শাস্ত্রী। আইসিসি ট্রফিতে খুব একটা সাফল্য না থাকলেও, বিদেশের মাটিতে ভারতের পারফরমেন্সকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন শাস্ত্রী। তাই একটু অন্যভাবে শাস্ত্রীর প্রশংসা করেছেন কপিল দেব।