গাভাস্কারের ৭১ তম জন্মদিনে ফিরে দেখা তার কেরিয়ারের কিছু সোনালী মুহূর্ত
- FB
- TW
- Linkdin
মাত্র ২১ বছর বয়সে ভারতীয় টেস্ট দলে সুযোগ পান তিনি। ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে দলের হয়ে খেলার সুযোগ পান তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভয়ংকর পেস বোলিংকে অসাধারণ দক্ষতায় সামলেছিলেন তিনি। প্রথম ম্যাচের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৬৫ এবং ৬৭ রান করেন তিনি। ওই পাঁচ ম্যাচের সিরিজ জিতেওছিল ভারত। ১৫৪ গড়ে মোট ৭৭৪ রান করেন গাভাস্কার।
এখন যে ইনিংসটির কথা বলা হচ্ছে সেই ইনিংসটিকে গাভাস্কার নিজেই স্বীকার করেছেন তার সেরা ইনিংস হিসাবে। ১৯৭৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদেরকে একটি পরিচিতি দেওয়ার দিকে এগিয়ে চলা ভারত যায় ইংল্যান্ড সফরে। সফর শুরু হয়েছিল একটি তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে। ওই সফরে একটিও ম্যাচ জিততে পারেনি ভারত। ভারতের একমাত্র সান্তনা ছিল প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে গাভাস্কারের ১০১ রানের অসাধারণ এই ইনিংসটি। দুর্দান্ত ভাবে ইংলিশ বোলারদের সুইং এবং গতি কে সামলে অভূতপূর্ব ধৈর্য দেখিয়ে শতরান করেন সুনীল গাভাস্কার। যদিও ম্যাচটি ভারতকে হারতে হয় ১১৩ রানে।
১৯৭৬ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে একটি অসাধারণ কীর্তি গড়েন গাভাস্কার। বার্বাডোজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচে চতুর্থ ইনিংসে ভারতকে ৪০৩ রানের লক্ষ্য দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চতুর্থ ইনিংসে অত রান তাড়া করে সেই সময় কোনও দল জেতেনি। কিন্তু গাভাস্কার এবং গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথের অসাধারণ শতরানের দৌলতে অসম্ভবকে সম্ভব করে ভারত। তাদের অসাধারণ পারফরম্যান্সের দৌলতে ৪ উইকেটে ম্যাচটি জেতে ভারত। ২০০৩ সাল অবধি চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করে জেতার ব্যাপারে ওইটিই বিশ্বের সেরা ইনিংস ছিল।
১৯৭৯ সালের ইংল্যান্ড সফরে এমনই আরও একটি অসাধারণ কীর্তি প্রায় গড়ে ফেলেছিলেন গাভাস্কার। ওভালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের শেষ টেস্ট ম্যাচে চতুর্থ ইনিংসে ভারতকে ৪৩৮ রানের লক্ষ্য দেয় ইংল্যান্ড। চতুর্থ ইনিংসে অত রান তাড়া করে সেই সময় কোনও দল জেতেনি। আবার তিন বছর আগেই চারশো তিন রান তাড়া করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে জয় পেয়েছিল ভারত। গাভাস্কারের দুর্দান্ত দ্বি-শতরানের দৌলতে অসম্ভবকে সম্ভব প্রায় করে ফেলেছিল ভারত। তার ২২১ রানের অসাধারণ ইনিংসের দৌলতে ৮ উইকেট খুইয়ে ৪২৯ রান তোলে ভারত। একটুর জন্য রেকর্ডের থেকে ফসকে যায় তাড়া।
নিজের একদিনের ক্রিকেট কেরিয়ারে একটিই শতরান করেছিলেন সুনীল গাভাস্কার। আর সেই শতরানটি করেছিলেন তিনি ১৯৮৭ বিশ্বকাপে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল ভারতের। তার ৮৮ বলে ১০৩ রানের ওই ইনিংসের দৌলতে জয় তুলে নেয় ভারত এবং সুনীল গাভাস্কার ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন।
সুনীল গাভাসকর টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ১০ হাজার রান সংগ্রহকারী ব্যাসম্যান। আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ১২৫টি লটেস্ট ম্যাচ খেলে গাভাসকরের সংগ্রহ ১০১২২ রান। সেঞ্চুরি ৩৪টি, হাফ সেঞ্চুরি ৪৫টি। সর্বোচ্চ স্কোর ২৩৬। গড় ৫১.০১।
একদিনের ক্রিকেটে গাভাসকরের ১০৮টি ম্যাচে করেছেন ৩০৯২ রান। সেঞ্চুরি একটি, হাফ সেঞ্চুরি ২৭টি। সর্বোচ্চ স্কোর ১০৩। গড় ৩৫.০১। জন্মদিনের সকাল থেকেই শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন কিংবদন্তী। প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটাররা ছাড়াও দেশ জুড়ে লিটল মাস্টারের জন্মদিন পালন করছেন তার অনুগামী ভক্তরা। এশিয়ানেট নিউজ বাংলার পক্ষ থেকেও সানির জন্মদিনে রইল অনেক শুভেচ্ছা।