- Home
- Sports
- Cricket
- T20 World Cup 2021 - ফেবারিটরা জেতে না বিশ্বকাপ, কারা জিতবে তবে, কী বলছে পরিসংখ্যান
T20 World Cup 2021 - ফেবারিটরা জেতে না বিশ্বকাপ, কারা জিতবে তবে, কী বলছে পরিসংখ্যান
শুরু হয়ে গিয়েছে টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১ (T20 World Cup 2021)। তবে এখনও বলতে গেলে যোগ্যতা অর্জন পর্ব চলছে। সুপার ১২ পর্ব থেকেই আসল খেলা শুরু। যেখানে সরাসরি অংশ নিচ্ছে - ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১৬ সালে সর্বশেষ টি২০ বিশ্বকাপের পর থেকে গত ৫ বছরে এই আটটি দলের মধ্যে সবথেকে বেশি টি২০ ম্যাচ জেতার রেকর্ড রয়েছে ভারত এবং পাকিস্তানের। তাহলে কি তারাই এই টুর্নামেন্টে ফেবারিট? নাকি চমক দেবে অন্য কোনও দল?
| Published : Oct 21 2021, 02:47 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
২০১৬ সাল থেকে ৭২টি আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচ খেলেছে ভারত। জিতেছে ৪৫টিতে, হেরেছে ২২টিতে। জয়ের অনুপাত ৬২.৫ শতাংশ। তবে জয়-পরাজয়ের অনুপাতে সবথেকে এগিয়ে আছে ২০১৭ সালেই প্রথম আইসিসির পূর্ণাঙ্গ সদস্য হওয়া দেশ আফগানিস্তান। আর এই ক্ষেত্রে সবথেকে খারাপ, রেকর্ড ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তাহলে কি ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে সঙ্গে আফগানিস্তানকেই ফেবারিট ধরতে হবে? টি২০ বিশ্বকাপের ইতিহাস তা বলছে না।
দক্ষিণ আফ্রিকা, ছিল ২০১২ বিশ্বকাপের জেতার জন্য ফেবারিট দল। ২০১০ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে, ২ বছরে ১৬টি ম্যাচের মধ্য়ে ১১টি জিতেছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু, সুপার এইট পর্বে পর পর তিনটি ম্যাচ হেরে তারা ছিটকে গিয়েছিল। অন্যদিকে, বিশ্বকাপের আগের দুই বছরে সেরা আট দলের জয়-পরাজয়ের অনুপাতে ৭ নম্বরে ছিল সেই বিশ্বকাপের বিজয়ী দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১৬ সালেও বিশ্বকাপ জিতেছিল। সেইবারও বিশ্বকাপের আগে তাদের রেকর্ড ভাল ছিল না। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে টি২০-তে সেরা জয়-পরাজয়ের রেকর্ড ছিল ভারতের। কিন্তু, সেমিফাইনালে ওয়েস্টইন্ডিজের কাছে হারতে হয়েছিল টিম ইন্ডিয়াকে।
টি২০ বিশ্বকাপের ইতিহাসে একবারই ফেবারিটরাই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে টি২০-তে জয়-পরাজয়ের সেরা অনুপাত ছিল শ্রীলঙ্কার। লাসিথ মালিঙ্গার নেতৃত্বে তারাই ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ জিতেছিল।
আসলে টি২০ বিশ্বকাপের এমন অদ্ভূত পরিসংখ্যানের পিছনে একটা কৌশলগত কারণ রয়েছে। গত এক দশকের পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ দলই টি২০ ক্রিকেটে তাদের দল নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে থাকে। বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট না হলে সাধারণভাবে শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়ে দিয়ে খেলানো হয়। অনেক সময়ের অন্য ফর্ম্যাটের খেলার জন্য তৈরি রাখতেও খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেওয়া হয়।
এর সবথেকে বড় উদাহরণ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিশ্বকাপের বছর ছাড়া অন্যান্য সময় তারা কদাচিৎ পূর্ণ-শক্তি দলকে মাঠে নামায়। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে হেরে যাওয়ার পর থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১১৮টি টি২০ ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে মাত্র ২৬টিতে প্রথম একাদশে দেখা গিয়েছে ক্রিস গেইল, ডোয়াইন ব্রাভো এবং কাইরন পোলার্ডকে। যার মধ্যে ১১ টিই ছিল ২০২১ সালে, বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসাবে।
অস্ট্রেলিয়ার ধরণও অনেকটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো। টি২০ ক্রিকেটে নিয়মিত তারা তাদের তারা তাদের তারকা খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেয়। গত পাঁচ বছরে, তারা ৫৮টি টি২০ ম্যাচ খেলেছে। মাত্র ৫ জন ক্রিকেটার এরমধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ম্যাচে খেলেছেন। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের উপর জোর দিতে গিয়ে তারা তারকাদের অন্যান্য ফর্ম্যাটে বেশি খেলায়। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা যেরকম সারা বিশ্বের টি২০ লিগে খেলে বেড়ান, সেই তুলনায় অস্ট্রেলিয় তারকাদের টি২০ ক্রিকেট খেলা হয় অনেক কম। কয়েকজন তো তাদের দেশের নিজস্ব লীগ, বিবিএল-এও খেলেন না। ফলে টি২০ ক্রিকেটে তাদের ক্রিকেটার অনেক আছে, তাদের মধ্য থেকে সেরা দল বাছাটাই কঠিন।
আবার ঠিক এর উল্টো পথে হাঁটে পাকিস্তান এবং ইংল্যান্ড। যে বছরগুলিতে বিশ্বকাপ থাকে না, সেই সময় তাদের টি২০ রেকর্ড অনেক ভালো। বিশ্বকাপ ছাড়া আন্তর্জাতিক টি২০ সবথেকে বেশি খেলেছে পাকিস্তান। ৯৩টি ম্যাচ খেলেছে তারা। জয়ের দিক থেকে সবার আগে আছে তারা। কিন্তু বিশ্বকাপে কী হয়, তা বলা মুশকিল।
ইংল্যান্ড তাদের টি২০ বিশেষজ্ঞ ক্রিকেটারদের নিয়মিত খেলায়। ২০১৬ বিশ্বকাপের পর থেকে ইংল্যান্ড ৫০ টি টি২০ খেলেছে। তার মধ্যে তাদের অধিনায়ক ইয়ন মর্গান খেলেছেন ৪৫টিতে, ডেথ ওভারের বিশেষজ্ঞ ক্রিস জর্ডন খেলেছেন ৪৮টিতেয। তাহলে বিশ্বকাপে কী হয় ব্রিটিশদের? আসলে শেষ তিনটি বিশ্বকাপই হয়েছে এশিয়ায়। পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের জন্য অনুকূল ছিল না। এই বাধা কাটাতে সম্প্রতি তারা তাদের টি২০ তারকাদের যথা সম্ভব আইপিএলে খেলাতে চাইছে। বর্তমান স্কোয়াডের অর্ধেকেরও বেশি সদস্য আইপিএল ২০২০ এবং ২০২১-এর দ্বিতীয়ার্ধে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে খেলেছেন।