২০২২ থেকে বদলে যাচ্ছে আইপিএল, জানুন বিসিসিআইয়ের 'নীল নকশা'
- FB
- TW
- Linkdin
আগেই স্থির ছিল এবার নিশ্চিৎ হয়ে গেল যে আগামি মরসুমের আইপিএল থেকে আরও দুটি দল সংখ্যা বাড়তে চলেছে আইপিএলে। অগস্টের মাঝামাঝি এ নিয়ে টেন্ডার প্রকাশ করবে বিসিসিআই। মাঝ-অক্টোবরে বিডিংয়ের প্রক্রিয়া চালু হতে পারে।
একটি সর্বভারতীয় সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, আরপি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গ্রুপ, আদানি গ্রুপ, অরবিন্দ ফার্মা লিমিটেড এবং টরেন্ট গ্রুপ নতুন ফ্রাঞ্চাইজি কিনতে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী। এছাড়াও দৌড়ে বেশ কিছু কর্পোরেট এবং প্রাইভেট সংস্থাও দল কেনার বিষয়ে আগ্রহী।
আগামি বছর দলগুলির বেতনের পরিমাণও বাড়াতে চলেছে বিসিসিআই। ৮৫ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৯০ কোটি হতে পারে বেতনের টাকা। প্রতি বছর ৫ কোটি করে বাড়বে সেই পরিমাণ। ২০২৪-এ যা একশো কোটি হবে। প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে মোট টাকার অন্তত ৭৫ শতাংশ খরচ করতেই হবে।
আগামি বছর আইপিএলের মেগা নিলাম। এতদিন পর্যন্ত মেগা নিলামের আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি তাদের পছন্দের যে কোনও ৫ প্লেয়ার ধরে রাখতেন। কিন্তু আগামি বছর থেকে সেই সংখ্যা কমে ৪ হয়ে যাচ্ছে।
৪ জন্য প্লেয়ার ধরে রাখার পেছনেও রয়েছে শর্ত। চার ক্রিকেটারের মধ্যে তিন জন ভারতীয়, একজন বিদেশি অথবা দু’জন ভারতীয়, দু’জন বিদেশি— এই ফর্মুলা মেনে চলতে হবে।
আগে কোন ফ্রাঞ্চাইজি তিনজন ক্রিকেটারকে ধরে রাখলে তাঁদের নিলামের জন্য ধার্য মোট মূল্য থেকে ১৫ কোটি, ১১ কোটি এবং সাত কোটি করে কাটা যেত। দুইজন ক্রিকেটারকে ধরে রাখলে ১২.৫ কোটি এবং ৮.৫ কোটি এবং একজন ক্রিকেটারকে ধরে রাখলে নিলামের ধার্য মূল্য থেকে শুধুমাত্র ১২.৫ কোটি কাটা হত।
এবার নিলামে যাওয়ার আগে প্রত্যেকটি দলকে রিটেইন করা প্লেয়ারদের বেতনও বলে দিতে হবে। সেই বেতনও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ধরে রাখা ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ বেতন হতে পারে ১৫ কোটি টাকা।
দল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আইপিএলে অনুষ্ঠিত মোট ম্যাচের সংখ্যা ৯০-র আশেপাশে হওয়ার কথা। সেই ক্ষেত্রে মার্চের শেষের পরিবর্তে মার্চের প্রথম দিকেই টুর্নামেন্টটি শুরু হতে পারে।
এর পাশাপাশি আসন্ন মরশুমের থেকে মিডিয়া রাইটসেও পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। করোনা অতিমারীর জেরে ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলি বিশাল লাভের মুখ দেখেছে। সেই কথা মাথায় রেখেই নতুন মিডিয়া রাইটসের চুক্তি স্বাক্ষর করবে বোর্ড।
ফলে আগামি মরসুম থেকে আইপিএল বহরে বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি অনেক চমকও থাকছে। তারজন্য এখন থেকেই সবরকম প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বোর্ড।