- Home
- Religion
- Spritiual
- আজ মহালয়া, ভোর হতেই দূরত্ব বিধি মেনে গঙ্গার ঘাটে হাঁটু জলে নেমে তর্পণ, দেখুন ছবি
আজ মহালয়া, ভোর হতেই দূরত্ব বিধি মেনে গঙ্গার ঘাটে হাঁটু জলে নেমে তর্পণ, দেখুন ছবি
- FB
- TW
- Linkdin
বৃহস্পতিবার মহালয়া। আর মহালয়া মানের পুজোর গন্ধ লেগে রয়েছে ঘর, বারান্দা পেরিয়ে উঠোন, মন চারিদিক যেনও এক ভাল লাগার ছোঁওয়া। প্রিয়জনের মুখটি আবার দেখতে পাওয়া।
করোনা বিধি তথা দূরত্ব বিধির কথা মনে গেঁথে দিতে কলকাতা পুরসভার তরফে গঙ্গা সংলগ্ন সবঘাটেই চলছে লাগাতার মাইকিং। বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফোটার পর থেকেই উপস্থিত অসংখ্য মানুষ।
হাটু জলে নেমে পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্য তর্পণ করতে দেখা গেল গঙ্গার অধিকাংশ ঘাটগুলিতেই। তাই বাবুঘাট, নিমতলা ঘাট, জাজেস ঘাট সহ শহরের ৯ টি ঘাট পরিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারম্য়ান ফিরহাদ হাকিম।
উল্লেখ্য তর্পনের নিয়ম অনুযায়ী, দেবীপক্ষের আগের কৃষ্ণপক্ষকে পিতৃ পক্ষ বলা হয়ে থাকে। তাই এই ১৫ দিন ধরে প্রতিদিনই পূর্ব পুরুষের তর্পন করা যেতে পারে। তবে যারা প্রতিদিনই পিতৃকর্ম করতে পারেন না, তাঁরা পিতৃ পক্ষের শেষদিন অমাবষ্যায় পার্বন শ্রাদ্ধ করতে পারেন।
মহালয়ার দিন পূর্বপুরুষ , ঋষি, গুরুদেব, পিতা-মাতাকে জল ও খাবার দান করার রীতিকেই তর্পণ বলা হয়। তাই মহালয়া এই দিনটার জন্য সকলে সারাবছর অপেক্ষায় থাকেন।
বৃহস্পতিবার গঙ্গার যে যে ঘাটগুলিতে তর্পণ করতে এসেছেন সাধারণ মানুষ, সেই সব ঘাটগুলিতেই কলকাতা পুলিশের তরফে বিন্য়ামূল্যে স্য়ানিটাইজেসনের ব্য়বস্থা রয়েছে। নিমতলা ঘাটে বসানো হয়েছে একাধিক গার্ডরেল। টহল দিচ্ছে কলকাতা পুলিশের গাড়ি।
তবে বৃহস্পতিবার মহালয়ার দিনেই ওদিকে কুমোরটুলির শিল্পী করোনা আবহে বুক বেধেছে দুটো পসার পাবার আশায়। কারন মহালয়ার দিনেই নতুন বায়না আসতে পারে বলে অনুমান শিল্পীদের।