- Home
- Sports
- Football
- ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে স্বদেশিয়ানার কড়া থাপ্পর, মোহনবাগান দিবসে ফিরে দেখা ঐতিহাসিক শিল্ড জয়
ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে স্বদেশিয়ানার কড়া থাপ্পর, মোহনবাগান দিবসে ফিরে দেখা ঐতিহাসিক শিল্ড জয়
১৯১১ আইএফএ শিল্ড ফাইনাল। ইংল্যান্ডের ইস্ট ইর্য়কশায়ারের বিরুদ্ধে মোহনবাগানের সেই ম্যাচ শুধু খেলা নয়, ছিল সংগ্রাম। ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে ইতিহাস গড়েছিল শিবদাস ভাদুড়ি ও অভিলাষ ঘোষেরা। এই ঐতিহাসকি জয় ছিল পরাধীন ভারতে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ের অপর নাম। যা উদ্বুদ্ধ করছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের। 'এগারো' সিনেমার ছবির মাধ্যমে ফিরে দেখা সেই গর্বের ইতিহাস।
| Published : Jul 29 2021, 01:32 PM IST / Updated: Jul 29 2021, 02:00 PM IST
ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে স্বদেশিয়ানার কড়া থাপ্পর, মোহনবাগান দিবসে ফিরে দেখা ঐতিহাসিক শিল্ড জয়
Share this Photo Gallery
- FB
- TW
- Linkdin
112
২৯ জুলাই মোহনবাগানের ইতিহাসে সবথেকে গর্বের দিন। ১৯১১ সালের এই দিনে ক্লাবের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় ঘটনা ঘটেছিল। শিল্ড ফাইনালে ইংল্যান্ডের ইস্ট ইর্য়কশায়ার রেজিমেন্টকে হারিয়ে শিল্ড জিতেছিল মোহনবাগান।
212
তারপর থেকেই প্রতিবছর ২৯শে জুলাই ক্লাব তাঁবুতে ‘মোহনবাগান দিবস’ পালিত হয়৷ ১৯১১ সালে ১১ বাঙালির শিল্ড জয়ই দেশের বাইরে গোটা বিশ্বের সঙ্গে বাগানের পরিচয় করে দিয়েছিল৷
312
খালি পায়ে ইংল্যান্ডের দল ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়ে ফেলেছিল গঙ্গাপারের ক্লাব৷ ইডেন গার্ডেন্সে উপস্থিত ৮০ হাজার দর্শক সাক্ষী থেকেছিলেন সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের৷
412
পরাধীন দেশে সেই সময় সাহেবদের হারিয়ে মোহনবাগানের এই শিল্ড জয়ের ঘটনা সমগ্র দেশ জুড়ে আলোড়ন তোলে।খেলার মাঠে সাহেবদের মুখোমুখি লড়াইয়ে খালি পায়েও যে হারানো সম্ভব সেটাই দেখিয়ে দেয় মোহনবাগান৷
512
আইএফএ শিল্ড শুরু হয়েছিল সেই ১৮৯৩ সালে। ১৯১১ সালে প্রথম কোনও ভারতীয় দল হিসেবে মোহনবাগান এই টুর্নামেন্ট জেতে। কাজেই বাংলা তখা ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে বাগানে আই এফ এ শিল্ড জয়ের এই দিনটি গুরুত্ব অভাবনীয়।
612
১৯১১ সেই ফাইনালে প্রথম থেকেই হার না মানা মনভাব নিয়ে খেলতে নামে মোহনবাগান দল। খেলায় বাগে না আনতে পেরে মারমুখী হয়ে ওঠে ব্রিটিশ দল। তাদের কড়া ট্যাকেলে গুরুতরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয় একাধিক সবুজ-মেরুণ প্লেয়ার।
712
প্রথমার্ধের কিছুক্ষণ আগে গোল করে এগিয়ে য়ায় ইংল্যান্ডের ইস্ট ইর্য়কশায়ার। গোল খাওয়ায় কিছুটা ভেঙেও পড়েছিল সেদিন মাঠে উপস্থিত দর্শক থেকে প্লেয়াররা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে নতুন উদ্যমে নামে গোটা দল।
812
ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য প্রাণপণ লড়াই চালায় মোহনবাগান দল। বাগান অধিনায়ক শিবদাস ভাদুড়ির অসামান্য় গোলে সেদিন ম্যাচে ফিরেছিল সবুজ-মেরুণ শিবির।
912
গোল শোধ করার পর জয়ের জন্য ঝাঁপা মোহনবাগান। ম্যাচ শেষের দিকে এগোনোয় স্নায়ূর চাপ বাড়তে থাকে সকলের মধ্যে। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে অভিলাষ ঘোষের গোলে ম্য়াচ জিতে ইতিহাস রচনা করে মোহনবাগান।
1012
সেদিন ময়দান থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত ব্রিটিশদের হারিয়ে গৌরব ফেরানো ফুটবলারদের মাথায় তুলে নিয়ে যান হাজার হাজার ফুটবলপ্রেমী৷ আইএফএ শিল্ড জয় ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম অধ্যায় ছিল বলেই মনে করেন সকলে।
1112
ব্রিটিশদের হারিয়ে ইতিহাসের পাতায় চির অমরত্ব লাভ করেছিল সেদিনের সবুজ-মেরুণের স্বপ্নের 'এগারো'। যা নিয়ে পরে তৈরি হয় 'এগার' নামক সিনেমাও। সত্যিই ১৯১১-র সেই ম্যাচ ব্রিটিশ শাসিত ভারতে শুধু খেলা ছিল না ছিল সংগ্রাম।
1212
তারপর শতবর্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। এই দিনটির আবেগ-মাহাত্ম্য একই রকম রয়ে গিয়েছে মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে। সাড়ম্বরে পালিত হয় দিনটি। গত বছর থেকে কোভিড অতিমারীর কারণে অনলাইনে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি পালন করছে ক্লাব থেকে সবুজ-মেরুণ সমর্থকরা।