- Home
- India News
- মহিলা পরিচালিত এই গ্রামে পুরুষের প্রবেশ নিষেধ, জেনে নিন এই গ্রাম গড়ে ওঠার অজানা কাহিনি
মহিলা পরিচালিত এই গ্রামে পুরুষের প্রবেশ নিষেধ, জেনে নিন এই গ্রাম গড়ে ওঠার অজানা কাহিনি
- FB
- TW
- Linkdin
কেন পুরুষেরা এই গ্রামে থাকতে পারে না মহিলা পরিচালিত গ্রাম বলে? তবে পুরুষ শাষিত গ্রাম থেকে তো মহিলাদের বিতারিত করা হয় না! এমন প্রশ্ন আপনার মনে আসতেই পারে। তবে শুনে নিন এর আসল কারণ।
গ্রামটি গঠিত হয় ১৯৯০ সালে। ১৫ জন ধর্ষিত হওয়া মহিলারা একসঙ্গে এই গ্রামে বসবাস শুরু করেন।
পরবর্তীকালে এখানে বাল্য বিবাহ, সুন্নত এবং পারিবারিক সমস্যার সম্মুখিন হওয়া মহিলারাও এই গ্রামে এসে আশ্রয় নেওয়া শুরু করেন।
এখানে মহিলারা প্রত্যেকেই নির্ভরশীল। নিজেদের খাবার, কাপড় এবং বাড়ির জন্য নিয়মিত আয় করেন তাঁরা। ছোট ছোট ক্ষুদ্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত গ্রামের প্রতিটি মহিলা সদস্য।
এঁদের হাতে বানানো গয়না বর্তমানে সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। বহু দেশ বিদেশ থেকে পর্যটকরা আসেল মহিলা পরিচালিত এই গ্রাম দেখার জন্য। পর্যটকদের থেকে সামান্য প্রবেশমূল্যে চলে গ্রাম উন্নয়নের কাজ।
গ্রামটি প্রতিষ্ঠা করার কথা যেই মহিলা ভেবেছিলেন তিনি হলেন রেবেকা লোলোসোলি। এমন একটি চিন্তা ভাবনা করার জন্য তাঁকে প্রচুর সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়েছিল। শাস্তিও পেয়েছিলেন তিনি।
প্রথমে ৪ জন মহিলা নিয়ে তিনি জেদের বশে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে গিয়ে এই গ্রামের প্রতিষ্টা করেন।
প্রতি বছর নিয়ম করে এই গ্রাম পরিচালনার দায়িত্ব বদল হয়। ২ জন প্রতিনিধি প্রতি বছর গ্রাম পরিচালনা দায়িত্ব পান।
এখন এই গ্রামে বাচ্চা-সহ জন সংখ্যা মোট ৪০০। ছোটদের পড়াশুনো থেকে ঘরের কাজ সমস্ত কিছু শেখান গ্রামের মহিলারাই।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজেকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এই গ্রাম থেকে মেয়েরা পড়াশুনো ও পাশাপাশি গ্রাম উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে উমোজা গ্রামের প্রতিটি মহিলার জন্য রইল এশিয়ানেট নিউজ বাংলার তরফ থেকে বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য।