প্রতিপক্ষের আতঙ্ক বাড়িয়ে লাদাখের আকাশে রাফাল, সীমান্ত উত্তাপ কমাতে ভারত-চিন বৈঠক
- FB
- TW
- Linkdin
কাজ বুঝে নিতে শুরু করেছে রাফাল যুদ্ধ বিমান। ইতিমধ্যেই লাদাখ সীমন্তের বিস্তীর্ণ এলাকায় চক্কর কাটছে রাফাল যুদ্ধ বিমান। লাদাখের ভৌগলিক অবস্থানের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্য রাফাল যুদ্ধ বিমান চালিয়ে আম্বালা থেকে উড়়ে যাচ্ছেন পাইলটরা।
গত ১০ সেপ্টেম্বর আম্বালায় বায়ু সেনার ঘাঁটিতে পাঁচটি রাফাল যুদ্ধ বিমানের আনুষ্ঠানিক অন্তর্ভুক্তি হয়েছিল। কিন্তু মাত্র ১০ দিনেরও কম সময় এই যুদ্ধ বিমানগুলি নজরদারীর কাজ শুরু করেছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে বায়ু সেনার অন্তর্ভুক্তির আগেও একাধিকবার রাফাল যুদ্ধ বিমানগুলিকে লাদাখে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে সেই সময় কিছুটা দূর থেকেই সীমান্তে নজরদারী চালিয়েছিল রাফাল। তেমনই জানিয়েছেন এক সেনা কর্তা।
এক সেনা কর্তার কথায় শত্রু পক্ষের আতঙ্ক বাড়িয়ে দিনের পাশাপাশি রাতের আকাশেও টহল দিয়েছে রাফাল।
তবে শুরু রাফাল নয়। ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স পূর্ব লাদাখ ও এলএসির মূল সীমান্তের বিমান ঘাঁটিতে ইতিমধ্যেই মোতায়েন রেখেছে সুখোই ৩০, এমকেআই জাগুয়ার, মিরাজ ২০০০ -র মত যুদ্ধ বিমানগুলি।
পূর্ব লাদাখ সেক্টরে অ্যাপাচি অ্যাটাক হেলিকপ্টারের পাশাপাশই ভারী সামগ্রী বহনের জন্য চিনুক হেলিকপ্টারও মোতায়ন রয়েছে। এয়ারবেসগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। রাতের বেলা হামলার জন্যই ভারতীয় বায়ু সেনাকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
লাদাখ সীমান্তের উত্তাপ কমাতে ভারত এখনও পর্যন্ত আলোচনার পথ খোলা রেখেছে। কেন্দ্রীয় প্রশাসন আশা করছে আলোচনার মাধ্যমেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।
সেই অনুযায়ী সোমবার ভারত-চিন সামরিক বৈঠক রয়েছে চুসুল সীমান্তের ওপারে মোলডোতে। অগাস্টের শেষ সপ্তাহে প্যাংগং লেক এলাকায় গুলি চলার পর এই প্রথম ভারত চিন দুই পক্ষ আলোচনায় বসবে।
সূত্রের খবর সামরিক কর্তাদের পাশাপাশি এই বৈঠকে বিদেশ ও স্বারাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্মকর্তারা হাজির থাকতে পারেন। মে মাস থেকে লাদাখ সীমান্তের উত্তাপের পর এই নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে ৬টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
পূর্ব লাদাখ সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার পাশাপাশি সেনা সরিয়ে নেওয়া নিয়ে আলোচনা হতে পারে। বৈঠকটি খুবই লম্বা সময়ে ধরে চলবে বলেই আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তারা।