- Home
- India News
- লাদাখ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে অরুণাচল সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে চিন, পরিস্থিতি দেখতে অসমে সেনাপ্রধান
লাদাখ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে অরুণাচল সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে চিন, পরিস্থিতি দেখতে অসমে সেনাপ্রধান
- FB
- TW
- Linkdin
পূর্ব লাদাখ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একাধিক বৈঠক হলেও এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে চিন সেনা সরায়নি বলে অভিযোগ করে চলেছে ভারত। আর এই চাপা উত্তেজনার মধ্যেই এবার অরুণাচল সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সন্দেহজনক তৎপরতা বাড়ছে লালফৌজের।
সাম্প্রতিক সময়ে অরুণাচল প্রদেশের এলএসির এই অংশে বিশাল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করছে চিন। লাদাখ থেকে শিক্ষা নিয়ে বেজিংয়ের এই প্ররোচনামূলক কার্যকলাপের উপরে এবার আগে থেকেই সতর্ক নজর রাখছে ভারত।
আর এই পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণরেখায় বাহিনীর প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে অসমের তেজপুরে পৌঁছে গিয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে।
অরুণাচল সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতেই সেনা প্রধানের দু'দিনের এই সফর। সামগ্রিকভাবে সামরিক প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেবেন তিনি।
সিকিম এবং অরুণাচলে চিনের সঙ্গে ভারতের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার সুরক্ষার দায়িত্বে আছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফোর কর্পস । যার সদর দফতর অসমের তেজপুরে।
অরুণাচলের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে জেনারেল নারাভানেকে বিশদে জানান ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই বিষয়েও অবহিত করা হয় তাঁকে।
সূত্রের খবর, সিকিম এবং অরুণাচলের এলএসি-তে সেনা বাহিনীকে চূড়ান্ত সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন নারাভানে।
চলতি বছর মে মাসের শুরু থেকেই পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা বাড়তে থাকে । তা চরমে পৌঁছয় ১৫ জুন রাতে। পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় লালফৌজের অতর্কিত হামলায় সেদিন শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। তবে ভারতীয় সেনার পরাক্রমে একাধিক চিনা সেনাও নিহত হন। বিগত ৪৫ বছরের মধ্যে এমন সংঘর্ষ বাধেনি ভারত-চিন সীমান্তে।
ভারতের দাবি, পূর্ব লাদাখে সীমান্ত বরবার এখনও প্রায় ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন রেখেছে চিন। অথচ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বারবার লাদাখের ওই অঞ্চল থেকে সেনা সরানোর কথা বলেছিল বেজিং। বাস্তবে তেমনটা কোনওভাবেই করছে না চিন।
চিন-ভারত সীমান্তের দৈর্ঘ্য চার হাজার কিলোমিটার। এর চার ভাগের এক ভাগ অরুণাচল প্রদেশেই।
কিছু কিছু সংবাদ মাধ্য দাবি করছে অতিমধ্যে উত্তর সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশের কিছু অংশ লিপুলেখ পাসে এলএসি অতিক্রম করে ঢুকে পড়ছে লালফৌজ।
অরুণাচল, সিকিমে চিনের বাড়াবাড়ির কথা মাথায় রেখে গত কয়েক বছরে পূর্বাঞ্চলে পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিয়েছে কেন্দ্র।
চিনের কথা মাথায় রেখেই পশ্চিমবঙ্গের পানাগড়ে মিলিটারি ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট সি ১৩০ জে সুপার হারকিউলিসের ঘাঁটি বানানো হয়েছে। সেনাবাহিনীর মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের ডিভিশন হয়েছে পানাগড়েই। উত্তরবঙ্গের হাসিমারায় ফরাসি যুদ্ধবিমান রাফালের ঘাঁটি তৈরি হচ্ছে। বলাই বাহুল্য, এই আয়োজনের সবটাই হচ্ছে চিনের কথা মাথায় রেখে।