সাবধান, চিন থেকে আসছে 'বিপজ্জনক পার্সেল', রাজ্যে রাজ্যে এল কেন্দ্রের সতর্কতা
- FB
- TW
- Linkdin
কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গত কয়েক মাসে এই জাতীয় সন্দেহজনক বীজ ভরা হাজার হাজার পার্সেল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রিটেন, নিউজিল্যান্ড, জাপান এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দেশ এই ধরণের পার্সেল বিপদের মুখে পড়েছে।
মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে সতর্ক করেছে মার্কিন কৃষি বিভাগ বা ইউএসডিএ। তারা একে 'ব্রুসিং স্ক্যাম' বা 'কৃষি চোরাচালান' হিসাবে বর্ণনা করেছে। তারা বলেছে, এই সন্দেহজনক বীজের থললিতে এমন কিছু বীজ বা রোগজীবাণু থাকতে পারে যা পরিবেশ, কৃষিকাজ এবং জাতীয় সুরক্ষার জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। ইউএসডিএ মনে করছে এ জাতীয় পার্সেলগুলি মারফত যে বীজ পাঠানো হচ্ছে তা দেশের জীববৈচিত্র্য নষ্ট করে দিতে পারে। আর জীববৈচিত্র্য নষ্ট হলে তা সরাসরি দুর্ভিক্ষের দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে দেশকে। সেই ক্ষেত্রে জাতীয় সুরক্ষা বিঘ্নিত হবে।
তাই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ভারতের সমস্ত রাজ্যের কৃষি বিভাগ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বীজ সমিতি, বীজ শংসাপত্র দানকারী সংস্থাগুলি, বীজ কর্পোরেশন এবং ভারতীয় কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এবং এর ইনস্টিটিউটগুলিকে এই জাতীয় সন্দেহজনক পার্সেল থেকে সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
জানা গিয়েছে এই পার্সেলগুলি অজানা উৎস থেকে পাঠানো হচ্ছে। তাদের গায়ে যে মধ্যে লেবেল থাকছে তা বিভ্রান্তিমূলক, ভুয়ো। তবে এই বীজের থলিগুলি চিন থেকেই আসছে বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। কোভিড মহামারি চিনের উহান শহর থেকে শুরু হয়েছিল। ভাইরাল সংক্রমণের পিছনে চিনের ভূমিকা নিয়ে গত কয়েকমাসে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইতিমধ্যেই চিন থেকে উদ্ভূত কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে। এখন বীজের মাধ্যমে নতুন মহামারি দেখা দিলে, সামলানো কঠিন হবে। তাই অতিরিক্ত সতর্কতার দরকার।
ভারতের বীজ শিল্প ফেডারেশনের ডিরেক্টর রাম কৌদিন্য, কৃষি মন্ত্রকের এই নির্দেশনার বিষয়ে বলেছেন, বীজের মাধ্যমে অন্যান্য গাছপালার মধ্যে রোগ ছড়াতেই পারে। তবে একে বায়ো টেরিরিজম বা জৈবি সন্ত্রাস বলা যাবে না। কারণ বীজের মাধ্যমে রোগ ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে বিপদ যে নেই তা নয়। তাঁর মতে এই জাতীয় পার্সেলের মাধ্যমে আসা বীজগুলি থেকে এমন আগাছা জন্মাতে পারে, যা ভারতের স্থানীয় শস্য এবং গাছপালার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।