- Home
- India News
- করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আসবে জানুয়ারিতে, তারপরেও চ্যালেঞ্জ থাকবে বললেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আসবে জানুয়ারিতে, তারপরেও চ্যালেঞ্জ থাকবে বললেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
- FB
- TW
- Linkdin
এইমস-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, সবকিছু ঠিকঠাক পরিকল্পনা মাফিক চললে আগামী বছর জানুয়ারি মাসেই ভারতের বাজারে দেখা যাবে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক।
রণদীপ গুলেরিয়া পরিষ্কার করে জানিয়েছেন, প্রতিষেধক তৈরির থেকেও এখন আরও বড় চ্যালেঞ্জ দেশের সকল মানুষের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে তা বাতরণ করা।
করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক কার্যকর রূপে গণ্য করার পর দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জটি হল প্রচুর পরিমাণে তা উৎপাদন করা।
তারপরেই তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় কী ভাবে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক গোটা দেশে বিলি করা হবে। সেই সময় তিনি বলেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে।
রণদীপ গুলেরিয়ার কথায় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতেই করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বিলি করা হবে। ঝুঁকি পূর্ণ আর ঝুঁকি বিহীন মানুষের মধ্যে ভাগ করেই তা সরবরাহ করা হবে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কথায় দেশে ঝুঁকিপূর্ণদেরই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রথম প্রতিষেধক দেওয়া হবে। আর সেই তালিকায় রয়েছে চিকিৎসক, নার্সসহ জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। আর রয়েছে যাঁদের মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি।
অগ্রাধিকারের ভিত্তিতেই প্রতিষেধক বিলি করলে তা সুষ্ঠুভাবে বিরতণ করা যাবে। পাশাপাশি তাঁর কথায় সঠিকভাবে প্রতিষেধক বিলি করা হলে তবেই সংক্রমণের সংখ্যা কমবে। আটকানো যাবে মৃত্যুও।
প্রয়োজনের কারণে খুব দ্রুততার সঙ্গেই করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি হচ্ছে। আর সেই কারণেই অনেক বিশেষজ্ঞই এর দীর্ঘমেয়াদী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
সেই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন, হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় আর তৃতীয় পরীক্ষায় যথাযথ সমীক্ষা করলে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক প্রদান করার পরেও সমীক্ষা করা ও তথ্য সংগ্রহের ওপর জোর দিয়েছেন চিকিৎসক। পাশাপাশি আগামী দিনেও মাস্কের ব্যবহার আর নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপরেও জোর দিয়েছেন তিনি। কারণ ২০২১ সালেই মহামারির প্রাদুর্ভাব থেকে যাবে বলেই মনে করছেন তিনি।