জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত মোদীর - ৩ ঘন্টার ঐতিহাসিক বৈঠকে কী কী ঘটল, দেখুন
বৃহস্পতিবার এক ঐতিহাসিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মিলিত হলেন জম্মু ও কাশ্মীরের সব রাজনৈতিক দলের নেতারা। ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর, এই প্রথম এমন একটি বৈঠক আয়োজিত হল। ৩ ঘন্টারও বেশি সয় ধরে চলা বৈঠকে সমস্ত অংশগ্রহণকারীরা খোলামেলাভাবে বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের মতামত প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ধৈর্য সহকারে সকলের পরামর্শ শুনেছেন। এই বৈঠক উন্নত ভবিষ্যতের জন্য কাশ্মীরের ঘুরে দাঁড়াবার লক্ষ্যে এক উন্মুক্ত আলোচনা বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। কিন্তু ঠিক কী আলোচনা হল এদিনের বৈঠকে? সরকারিভাবে কিছু না জানানো হলেও, সূত্র মারফত অনেক কথাই জানা যাচ্ছে -
| Published : Jun 24 2021, 08:05 PM IST / Updated: Jun 24 2021, 08:17 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার বিষয়ে কেন্দ্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যেরকম সফলভাবে ডিডিসি নির্বাচনের পরিচালিত হয়েছে, সেইভাবেই বিধানসভা নির্বাচন করাটাও সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার।
ডিলিমিটেশন অর্থাৎ জম্মু ও কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাসের পরই নির্বাচন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই এই বিষয়ে সদিচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে, তৃণমূল স্তরে গণতন্ত্রকে জোরদার করা এবং একত্রিতভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা যেভাবে দ্বারা সংবিধান ও গণতন্ত্রের প্রতি তাঁদের অজ্ঞিকার প্রকাশ করেছেন, তাতে আনন্দ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
জম্মু ও কাশ্মীরে, এমনকী একটি মৃত্যুও বেদনাদায়ক বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করা, সকলের সম্মিলিত দায়িত্ব। জম্মু ও কাশ্মীরের যুবকরা সুযোগ পেলে, দেশকে প্রচুর পরিমাণে ফিরিয়ে দিতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে একের পর এক জনকল্যানমূলক উদ্যোগ বাস্তবায়নের মারফত যে সাফল্য অর্জন করেছে রাজ্য, সেই বিষয়েও বিশদে আলোচনা হয়েছে এদিনের বৈঠকে।
উপত্যকায় উন্নয়নের গতির বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে উপত্য়কার জনগণের মধ্যে নতুন আশা ও আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরি করে। প্রশাসনের প্রতি মানুষের সহযোগিতা বাড়ে। জম্মু ও কাশ্মীরে আজ এটাই দেখা যাচ্ছে।
রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও, জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের উপকারের জন্য সকলকে জাতীয় স্বার্থে কাজ করার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। কাশ্মীরি সমাজের সকল অংশের জন্য সুরক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রয়োজনের উপর জোর দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, 'দিল্লি কি দূরি' অর্থাৎ দিল্লি থেকে জম্মু-কাশ্মীরের দূরত্ব যেমন ঘোচাতে চান তিনি, তেমনই 'দিল কি দূরি' অর্থাৎ মনের দূরত্বও সরিয়ে দিতে চান তিনি।